আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

৮. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত রোযার অধ্যায়

হাদীস নং: ৭৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭৭৪
রোযা পালনকারীর জন্য শিংগা লাগান মাকরূহ।
৭৭২. মুহাম্মাদ ইবনে রাফি আন-নায়সাবূরী, মাহমুদ ইবনে গায়লান ও ইয়াহয়া ইবনে মুসা (রাহঃ) .... রাফি ইবনে খাদীজ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি শিংগা লাগায় এবং যাকে শিংগা লাগানো হয় উভয়ের রোযাই বিনষ্ট হয়ে গেল। - ইবনে মাজাহ ১৬৭৯-১৬৮১

এই বিষয়ে সা’দ, আলী, শাদ্দাদ ইবনে আওস, সাওবান, উসামা ইবনে যায়দ, আয়িশা, মাকিল ইবনে ইয়াসার, আবু হুরায়রা, ইবনে আব্বাস, আবু মুসা ও বিলাল (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, রাফি ইবনে খাদীজ (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। আহমাদ ইবনে হাম্বাল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, এই বিষয়ে সবচেয়ে সহীহ হাদীস আল রাফি ইবনে খাদীজ (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীস এবং আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস। তিনি বলেন, সাওবান ও শাদ্দাদ ইবনে আওস (রাযিঃ) কর্তৃক এ বিষয়ে বর্ণিত হাদীসটি অধিকতর সহীহ।

ইয়াহয়া ইবনে আবু কাসীর (রাহঃ) আবু কিলাবা (রাযিঃ) থেকে দুটো হাদীসই রিওয়ায়াত করেছেন। আর এই উভয়টই হল সাওবান ও শাদ্দাদ ইবনে আওসের দুটো হাদীস। সাহাবী ও পরবর্তী আলিমদর একদল রোযা পালনকারীর জন্য শিংগা লাগান মাকরূহ বলে মনে করেন। এমন কি কতক সাহাবী যেমন আবু মুসা আল-আশআরী ও ইবনে উমর (রাযিঃ) রাত্রিতে শিংগা লাগাতেন। ইবনে মুবারক ও এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আমি ইসহাক ইবনে মনসুরকে বলতে শুনেছি যে, আব্দুর রহমান ইবনে মাহদী বলেছেন, রোযারত অবস্থায় যদি কেউ শিংগা লাগায় তবে তাকে তা কাযা করতে হবে। ইসহাক ইবনে মানসুর বলেন, আহমাদ ইবনে হাম্বাল, ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ও এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন যে, নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি রোযা অবস্থায়ও শিংগা লাগিয়েছেন, আর তাঁর থেকে এ-ও বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি শিংগা লাগায় এবং যাকে শিংগা লাগানো হয় তাদের উভয়ের রোযাই বিনষ্ট হয়ে গেল। এই রিওয়ায়াতদ্বয়ের একটিও সঠিক বলে আমার জানা নাই। রোযা অবস্থায় কেউ যদি শিংগা পালন থেকে বেঁচে থাকে তবে তা আমার মতে অধিক পছন্দনীয়। আর কেউ যদি শিংগা লাগায় তবে এতে তার রোযা ভেঙ্গে গেল বলে আমি মনে করি না। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এ ছিল বাগদাদ থাকা অবস্থায় ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) এর বক্তব্য। কিন্তু মিসরে গমনের পর তিনি এই বিষয়ে অনুমতি প্রদানের অভিমতের প্রতি ঝুঁকে পড়েন এবং রোযা অবস্থায় শিংগা লাগানোতে কোনরূপ দোষ আছে বলে আর তিনি মনে করেননি। এ বিষয়ে তিনি দলীল হিসাবে বলেন যে, বিদায় হচ্ছে নবী (ﷺ) রোযা এবং ইহরাম অবস্থায় শিংগা লাগিয়েছেন।
باب كَرَاهِيَةِ الْحِجَامَةِ لِلصَّائِمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ النَّيْسَابُورِيُّ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، وَيَحْيَى بْنُ مُوسَى، قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَارِظٍ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَفْطَرَ الْحَاجِمُ وَالْمَحْجُومُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَسَعْدٍ وَشَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ وَثَوْبَانَ وَأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ وَعَائِشَةَ وَمَعْقِلِ بْنِ سِنَانٍ وَيُقَالُ ابْنُ يَسَارٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي مُوسَى وَبِلاَلٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَذُكِرَ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ أَنَّهُ قَالَ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ حَدِيثُ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ . وَذُكِرَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ قَالَ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ حَدِيثُ ثَوْبَانَ وَشَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ لأَنَّ يَحْيَى بْنَ أَبِي كَثِيرٍ رَوَى عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ الْحَدِيثَيْنِ جَمِيعًا حَدِيثَ ثَوْبَانَ وَحَدِيثَ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ . وَقَدْ كَرِهَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمُ الْحِجَامَةَ لِلصَّائِمِ حَتَّى أَنَّ بَعْضَ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ بِاللَّيْلِ مِنْهُمْ أَبُو مُوسَى الأَشْعَرِيُّ وَابْنُ عُمَرَ وَبِهَذَا يَقُولُ ابْنُ الْمُبَارَكِ . قَالَ أَبُو عِيسَى سَمِعْتُ إِسْحَاقَ بْنَ مَنْصُورٍ يَقُولُ قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ مَنِ احْتَجَمَ وَهُوَ صَائِمٌ فَعَلَيْهِ الْقَضَاءُ . قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ وَهَكَذَا قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ . وَقَالَ أَبُو عِيسَى وَأَخْبَرَنِي الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزَّعْفَرَانِيُّ قَالَ قَالَ الشَّافِعِيُّ قَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ احْتَجَمَ وَهُوَ صَائِمٌ وَرُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " أَفْطَرَ الْحَاجِمُ وَالْمَحْجُومُ " . وَلاَ أَعْلَمُ وَاحِدًا مِنْ هَذَيْنِ الْحَدِيثَيْنِ ثَابِتًا وَلَوْ تَوَقَّى رَجُلٌ الْحِجَامَةَ وَهُوَ صَائِمٌ كَانَ أَحَبَّ إِلَىَّ وَلَوِ احْتَجَمَ صَائِمٌ لَمْ أَرَ ذَلِكَ أَنْ يُفْطِرَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا كَانَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ بِبَغْدَادَ وَأَمَّا بِمِصْرَ فَمَالَ إِلَى الرُّخْصَةِ وَلَمْ يَرَ بِالْحِجَامَةِ لِلصَّائِمِ بَأْسًا وَاحْتَجَّ بِأَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَهُوَ مُحْرِمٌ صَائِمٌ .
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান