আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪৭- সৃষ্টি জগতের সূচনা

হাদীস নং: ৩০৪০
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৬৮
১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা। মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পদাতিকগণ। এর একবচন رَاجِلٌ যেমন صَاحِبٍ এর বহুবচন صَحْبٍ আর تَاجِرٍ এর বহুবচনلأَحْتَنِكَنَّ , تَجْرٍ - অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৪০। ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ)- কে যাদু করা হয়েছিল। লাঈস (রাহঃ) বলেন, আমার নিকট হিশাম পত্র লিখেন, তাতে লেখা ছিল যে, তিনি তাঁর পিতার সূত্রে আয়িশা (রাযিঃ) থেকে হাদীস শুনেছেন এবং তা ভাল করে মুখস্ত করেছেন। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ)- কে যাদু করা হয়। এমনকি যাদুর প্রভাবে তার খেয়াল হতো যে, তিনি স্ত্রীগণের বিষয়ে কোন কাজ করে ফেলেছেন অথচ তিনি তা করেন নি। শেষ পর্যন্ত তিনি একদিন রোগ আরোগ্যের জন্য বারবার দু‘আ করলেন, এরপর তিনি আমাকে বললেন, তুমি কি জান? আল্লাহ আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন, যাতে আমার রোগের আরোগ্য নিহিত আছে? আমার নিকট দু’জন লোক আসল। তাদের একজন মাথার কাছে বসল আর অপর জন আমার পায়ের কাছে বসল। এরপর একজন অপরজনকে জিজ্ঞাসা করল এ ব্যক্তির রোগটা কি? জিজ্ঞাসিত লোকটি জবাব দিল, তাকে যাদু করা হয়েছে।
প্রথম লোকটি বলল, তাকে যাদু কে করল? সে বলল, লবীদ ইবনে আ‘সাম। প্রথম ব্যক্তি বলল, কিসের দ্বারা (যাদু করল)? দ্বিতীয় ব্যক্তি বলল, তাকে যাদু করা হয়েছে, চিরুনি, সুতার তাগা এবং খেজুরের খোসায়। প্রথম ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, এগুলো কোথায় আছে? দ্বিতীয় ব্যক্তি জবাব দিল, যারওয়ান কূপে। তখন নবী (ﷺ) সেখানে গেলেন এবং ফিরে আসলেন, এরপর তিনি আয়িশা (রাযিঃ)- কে বললেন, কূপের কাছের খেজুর গাছগুলো যেন এক একটা শয়তানের মুণ্ড। তখন আমি (আয়িশা (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি সেই যাদু করা জিনিসগুলো বের করতে পেরেছেন? তিনি বলেন, না। তবে আল্লাহ আমাকে আরোগ্য দিয়েছেন। আমার আশঙ্কা হয়েছিল এসব জিনিস বের করলে মানুষের মধ্যে ফাসাদ সৃষ্টি হতে পারে। এরপর সেই কূপটি বন্ধ করে দেয়া হল।
باب صِفَةِ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ وَقَالَ مُجَاهِدٌ: {يُقْذَفُونَ} يُرْمَوْنَ. {دُحُورًا} مَطْرُودِينَ. {وَاصِبٌ} دَائِمٌ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: {مَدْحُورًا} مَطْرُودًا يُقَالُ: {مَرِيدًا} مُتَمَرِّدًا. بَتَّكَهُ قَطَّعَهُ. {وَاسْتَفْزِزْ} اسْتَخِفَّ. {بِخَيْلِكَ} الْفُرْسَانُ. وَالرَّجْلُ الرَّجَّالَةُ وَاحِدُهَا رَاجِلٌ مِثْلُ صَاحِبٍ وَصَحْبٍ، وَتَاجِرٍ وَتَجْرٍ، {لأَحْتَنِكَنَّ} لأَسْتَأْصِلَنَّ. {قَرِينٌ} شَيْطَانٌ
3268 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عِيسَى، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: سُحِرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَ اللَّيْثُ: كَتَبَ إِلَيَّ هِشَامٌ أَنَّهُ سَمِعَهُ وَوَعَاهُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشةَ قَالَتْ: سُحِرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى كَانَ يُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهُ يَفْعَلُ الشَّيْءَ وَمَا يَفْعَلُهُ، حَتَّى كَانَ ذَاتَ يَوْمٍ دَعَا وَدَعَا، ثُمَّ قَالَ: " أَشَعَرْتِ أَنَّ اللَّهَ أَفْتَانِي فِيمَا فِيهِ شِفَائِي، أَتَانِي رَجُلاَنِ: فَقَعَدَ أَحَدُهُمَا عِنْدَ رَأْسِي وَالآخَرُ عِنْدَ رِجْلَيَّ، فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِلْآخَرِ مَا وَجَعُ الرَّجُلِ؟ قَالَ: مَطْبُوبٌ، قَالَ: وَمَنْ طَبَّهُ؟ قَالَ لَبِيدُ بْنُ الأَعْصَمِ، قَالَ: فِيمَا ذَا، قَالَ: فِي مُشُطٍ وَمُشَاقَةٍ وَجُفِّ طَلْعَةٍ ذَكَرٍ، قَالَ فَأَيْنَ هُوَ؟ قَالَ: فِي بِئْرِ ذَرْوَانَ " فَخَرَجَ إِلَيْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ رَجَعَ فَقَالَ لِعَائِشَةَ حِينَ رَجَعَ: «نَخْلُهَا كَأَنَّهُ رُءُوسُ الشَّيَاطِينِ» فَقُلْتُ اسْتَخْرَجْتَهُ؟ فَقَالَ: «لاَ، أَمَّا أَنَا فَقَدْ شَفَانِي اللَّهُ، وَخَشِيتُ أَنْ يُثِيرَ ذَلِكَ عَلَى النَّاسِ شَرًّا» ثُمَّ دُفِنَتِ البِئْرُ
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
সহীহ বুখারী - হাদীস নং ৩০৪০ | মুসলিম বাংলা