আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৮. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত রোযার অধ্যায়
হাদীস নং: ৭২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৭
রোযা অবস্থায় (নিজ স্ত্রীকে) চুম্বন করা।
৭২৫. হান্নাদ ও কুতায়রা (রাহঃ) ...... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) রোযার মাসে তাকে (রোযা অবস্থায়) চুম্বন করতেন। - ইবনে মাজাহ ১৬৮৩, বুখারি, মুসলিম
এই বিষয়ে উমর ইবনে খাত্তাব, হাফসা, আবু সাঈদ, উম্মে সালামা, ইবনে আব্বাস, আনাস ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ। রোযাদারের চুম্বন করা বিষয়ে নবী (ﷺ) এর আহলে ইলম সাহাবী ও আলিমদের মতভেদ রয়েছে। কোন কোন সাহাবী বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে এর অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু যুবকদের ক্ষেত্রে এর অনুমতি দেননি; এই আশঙ্কায় যে, এতে হয়ত বা এরা তাদের রোযা হিফাজত করতে পারবে না। আর স্ত্রী আলিঙ্গণ করার বিষয়টি তাদের মতে আরো মারাত্মক। কোন কোন আলিম বলেন, চুম্বনে সাওয়াব কমে যায়, কিন্তু রোযা ভঙ্গ হবে না। তারা মনে করেন; রোযাদার ব্যক্তি নিজের নফসের উপর নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হলে চুম্বন করতে পারে। আর যদি তার নফসের ব্যাপারে আস্থা না থাকে তবে সে তা পরিত্যাগ করবে; যাতে রোযার হিফাযত হয়। এ হলো সুফিয়ান সাওরী ও শাফিঈ (রাহঃ) এর অভিমত। (ইমাম আবু হানিফা (রাহ;) এরও এই মত)।
এই বিষয়ে উমর ইবনে খাত্তাব, হাফসা, আবু সাঈদ, উম্মে সালামা, ইবনে আব্বাস, আনাস ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ। রোযাদারের চুম্বন করা বিষয়ে নবী (ﷺ) এর আহলে ইলম সাহাবী ও আলিমদের মতভেদ রয়েছে। কোন কোন সাহাবী বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে এর অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু যুবকদের ক্ষেত্রে এর অনুমতি দেননি; এই আশঙ্কায় যে, এতে হয়ত বা এরা তাদের রোযা হিফাজত করতে পারবে না। আর স্ত্রী আলিঙ্গণ করার বিষয়টি তাদের মতে আরো মারাত্মক। কোন কোন আলিম বলেন, চুম্বনে সাওয়াব কমে যায়, কিন্তু রোযা ভঙ্গ হবে না। তারা মনে করেন; রোযাদার ব্যক্তি নিজের নফসের উপর নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হলে চুম্বন করতে পারে। আর যদি তার নফসের ব্যাপারে আস্থা না থাকে তবে সে তা পরিত্যাগ করবে; যাতে রোযার হিফাযত হয়। এ হলো সুফিয়ান সাওরী ও শাফিঈ (রাহঃ) এর অভিমত। (ইমাম আবু হানিফা (রাহ;) এরও এই মত)।
باب مَا جَاءَ فِي الْقُبْلَةِ لِلصَّائِمِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، وَقُتَيْبَةُ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُقَبِّلُ فِي شَهْرِ الصَّوْمِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَحَفْصَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ وَأُمِّ سَلَمَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَنَسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ فِي الْقُبْلَةِ لِلصَّائِمِ فَرَخَّصَ بَعْضُ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْقُبْلَةِ لِلشَّيْخِ وَلَمْ يُرَخِّصُوا لِلشَّابِّ مَخَافَةَ أَنْ لاَ يَسْلَمَ لَهُ صَوْمُهُ وَالْمُبَاشَرَةُ عِنْدَهُمْ أَشَدُّ . وَقَدْ قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ الْقُبْلَةُ تَنْقُصُ الأَجْرَ وَلاَ تُفْطِرُ الصَّائِمَ . وَرَأَوْا أَنَّ لِلصَّائِمِ إِذَا مَلَكَ نَفْسَهُ أَنْ يُقَبِّلَ وَإِذَا لَمْ يَأْمَنْ عَلَى نَفْسِهِ تَرَكَ الْقُبْلَةَ لِيَسْلَمَ لَهُ صَوْمُهُ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
বীর্যপাত ঘটা বা সহবাসে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা না থাকলে স্ত্রীকে চুমু খাওয়া জায়েয। তবে কামভাবের সাথে চুমু খাওয়া যাবে না। আর তরুণদের যেহেতু এ আশঙ্কা থাকে তাই তাদের বেঁচে থাকা উচিত।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রা. বলেন, আমরা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে ছিলাম। ইতিমধ্যে একজন যুবক এল এবং প্রশ্ন করল, আল্লাহর রাসূল! আমি কি রোযা অবস্থায় চুম্বন করতে পারি? নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না। এরপর এক বৃদ্ধ এল এবং একই প্রশ্ন করল। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হাঁ। আমরা তখন অবাক হয়ে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছিলাম। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি জানি, তোমরা কেন একে অপরের দিকে তাকাচ্ছ। শোন, বৃদ্ধ ব্যক্তি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।-মুসনাদে আহমদ ২/১৮০, ২৫০
আবু মিজলায রাহ. বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা.-এর নিকট এক বৃদ্ধ রোযা অবস্থায় চুমু খাওয়ার মাসআলা জিজ্ঞাসা করল। তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। অতঃপর এক যুবক এসে একই মাসআলা জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে নিষেধ করলেন।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ৪/১৮৫; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০০
আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রা. বলেন, আমরা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে ছিলাম। ইতিমধ্যে একজন যুবক এল এবং প্রশ্ন করল, আল্লাহর রাসূল! আমি কি রোযা অবস্থায় চুম্বন করতে পারি? নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না। এরপর এক বৃদ্ধ এল এবং একই প্রশ্ন করল। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হাঁ। আমরা তখন অবাক হয়ে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছিলাম। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি জানি, তোমরা কেন একে অপরের দিকে তাকাচ্ছ। শোন, বৃদ্ধ ব্যক্তি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।-মুসনাদে আহমদ ২/১৮০, ২৫০
আবু মিজলায রাহ. বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা.-এর নিকট এক বৃদ্ধ রোযা অবস্থায় চুমু খাওয়ার মাসআলা জিজ্ঞাসা করল। তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। অতঃপর এক যুবক এসে একই মাসআলা জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে নিষেধ করলেন।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ৪/১৮৫; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০০
