আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৭- সৃষ্টি জগতের সূচনা
হাদীস নং: ৩০৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৫৯
১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা সৃষ্টবস্তু।
৩০৩১। মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন যে, (যোহরের) নামায (রৌদ্রের উত্তাপ) ঠাণ্ডা হলে পরে আদায় করবে। কেননা গরমের তীব্রতা জাহান্নামের উত্তাপ থেকে বের হয়ে থাকে।’
باب صِفَةِ النَّارِ وَأَنَّهَا مَخْلُوقَةٌ
3259 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ ذَكْوَانَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «أَبْرِدُوا بِالصَّلاَةِ فَإِنَّ شِدَّةَ الحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, গরমকালে রসূল স. যোহরের নামায ঠান্ডা করে পড়তে বলেছেন অর্থাৎ দেরি করে পড়তে বলেছেন যাতে সূর্যের তাপ কমে ঠান্ডা হয়ে যায়। এ বিষয়টি হযরত আবু মাসউদ বদরী রা. থেকে আবু দাউদ শরীফের একটি হাদীসে আরো স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الظُّهْرَ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ، وَرُبَّمَا أَخَّرَهَا حِينَ يَشْتَدُّ الْحَرُّ، আমি রসূল স.কে দেখেছি সূর্য ঢলে পড়ার সাথে সাথে যোহরের নামায আদায় করতেন। তবে গরমের প্রচন্ডতা বৃদ্ধি পেলে তিনি নামায দেরি করে আদায় করতেন। (আবু দাউদ-৩৯৪)


বর্ণনাকারী: