আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৬. সফর-মুসাফিরের অধ্যায়
হাদীস নং: ৬০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬০৬
শৌচাগারে প্রবেশের সময় বিসমিল্লাহ বলা।
৬০৬. মুহাম্মাদ ইবনে হুমায়দ আর-রাযী (রাহঃ) .... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ জ্বীনদের চোখ ও আদম সন্তানের লজ্জাস্থানের মাঝে পর্দা হল এই যে, কেউ যখন শৌচাগারে প্রবেশ করবে, তখন সে বলবে ‘‘বিসমিল্লাহ’’। - ইবনে মাজাহ ২৯৭
ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি গারীব। এই সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নাই। এর সনদ তেমন শক্তিশালী নয়। আনাস (রাযিঃ) সূত্রেও রাসূল (ﷺ) থেকে এই বিষয়ে কিছু বর্ণনা আছে।
ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি গারীব। এই সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নাই। এর সনদ তেমন শক্তিশালী নয়। আনাস (রাযিঃ) সূত্রেও রাসূল (ﷺ) থেকে এই বিষয়ে কিছু বর্ণনা আছে।
باب مَا ذُكِرَ مِنَ التَّسْمِيَةِ عِنْدَ دُخُولِ الْخَلاَءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ بَشِيرِ بْنِ سَلْمَانَ، حَدَّثَنَا خَلاَّدٌ الصَّفَّارُ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ النَّصْرِيِّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رضى الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " سَتْرُ مَا بَيْنَ أَعْيُنِ الْجِنِّ وَعَوْرَاتِ بَنِي آدَمَ إِذَا دَخَلَ أَحَدُهُمُ الْخَلاَءَ أَنْ يَقُولَ بِسْمِ اللَّهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَإِسْنَادُهُ لَيْسَ بِذَاكَ الْقَوِيِّ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَشْيَاءُ فِي هَذَا .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, ইস্তিঞ্জাখানায় প্রবেশের পূর্বে উপরযুক্ত দুআ পড়া মুস্তাহাব। অবশ্য হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত আছে যে, রসূল স. উক্ত দুআর পূর্বে বিসমিল্লাহ পড়তেন। (ইবনে আবী শাইবা-৫) সুতরাং বিসমিল্লাহসহ দুআটি পড়া উত্তম হবে। আর এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৪৫) উল্লেখ্য খোলা ময়দানে কেউ ইস্তিঞ্জা করতে চাইলে সতর খোলার পূর্বে উক্ত দুআ পাঠ করবে। কেউ দুআ পড়তে ভুলে গিয়ে ইস্তিঞ্জাখানায় ঢুকে পড়লে ইস্তিঞ্জাখানার ভেতর পরিচ্ছন্ন হলে দুআ পড়বে। আর অপরিচ্ছন্ন হলে শব্দ উচ্চারণ ব্যতীত মনে মনে দুআ পড়বে। কারণ অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে আল্লাহর জিকির করা উচিত নয়।
বর্তমানে টয়লেট ও গোসলখানা একই কক্ষে বা রম্নমে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে গোসলখানা যদি বড় হয় এবং টয়লেটের প্যান বা কমোড অযুর বেসিন বা ট্যাপ থেকে কিছুটা দূরত্বে থাকে তাহলে সেখানে অযু-গোসলের সময় দুআ পড়া যাবে। আর যদি একই জায়গায় হয় তবে মুখে উচ্চারণ না করে মনে মনে দুআ পড়ার অবকাশ রয়েছে। (মাআরিফুস সুনান ১/৭৭, রদ্দুল মুহতার ১/৩৪৪)
বর্তমানে টয়লেট ও গোসলখানা একই কক্ষে বা রম্নমে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে গোসলখানা যদি বড় হয় এবং টয়লেটের প্যান বা কমোড অযুর বেসিন বা ট্যাপ থেকে কিছুটা দূরত্বে থাকে তাহলে সেখানে অযু-গোসলের সময় দুআ পড়া যাবে। আর যদি একই জায়গায় হয় তবে মুখে উচ্চারণ না করে মনে মনে দুআ পড়ার অবকাশ রয়েছে। (মাআরিফুস সুনান ১/৭৭, রদ্দুল মুহতার ১/৩৪৪)
