আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৬. সফর-মুসাফিরের অধ্যায়
হাদীস নং: ৬০২
আন্তর্জাতিক নং: ৬০২
এক রাকআতে দুই সূরা পাঠ করা।
৬০২. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ...... আবু ওয়াইল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন জনৈক ব্যক্তি একবার আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেনঃ শব্দটি غَيْرِ آسِنٍ না يَاسِنٍ? তিনি বললেনঃ এটি ছাড়া কুরআনের সব কিছু কি তুমি পড়ে ফেলেছ? সে বললঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ কোন কোন সম্প্রদায় কুরআন পড়ে এবং রদ্দী খেজুরের মতো ছুঁড়ে ফেলে দেয়। তাদের কণ্ঠ তা অতিক্রম করে না। আমি তো সেই সা’দৃশ্যপূর্ণ সূরাগুলি সম্পর্কে জানি, যেগুলিকে রাসূল (ﷺ) একত্রিত (পাঠ) করতেন। আবু ওয়ায়ল বলেনঃ আমরা আলাকামা (রাহঃ)-কে ঐগুলি সম্পর্কে ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) এর নিকট জিজ্ঞাসা করতে বললাম। তিনি সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বললেনঃ এ হল মুফাসসাল পর্যায়ের বিশটি সূরা। রাসূল (ﷺ) প্রতি রাকআতে এই সূরাসমূহের দুটি দুটি সূরা করে একত্রিত (পাঠ) করতেন।
ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا ذُكِرَ فِي قِرَاءَةِ سُورَتَيْنِ فِي رَكْعَةٍ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ، قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ عَبْدَ اللَّهِ عَنْ هَذَا الْحَرْفِ (غَيرِ آسِنٍ) أَوْ يَاسِنٍ قَالَ كُلَّ الْقُرْآنِ قَرَأْتَ غَيْرَ هَذَا الْحَرْفِ قَالَ نَعَمْ . قَالَ إِنَّ قَوْمًا يَقْرَءُونَهُ يَنْثُرُونَهُ نَثْرَ الدَّقَلِ لاَ يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ إِنِّي لأَعْرِفُ السُّوَرَ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرِنُ بَيْنَهُنَّ . قَالَ فَأَمَرْنَا عَلْقَمَةَ فَسَأَلَهُ فَقَالَ عِشْرُونَ سُورَةً مِنَ الْمُفَصَّلِ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْرِنُ بَيْنَ كُلِّ سُورَتَيْنِ فِي رَكْعَةٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, রসূলুল্লাহ স. এক রাকাতে একাধিক সুরা পাঠ করতেন। অবশ্য এ হাদীসে ফরয বা নফল কোন কথা উল্লেখ না থাকায় নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না যে, এটা ফরযের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কি না। তবে সাহাবায়ে কিরাম ফরয নামাযের একই রাকাতে একাধিক সুরা পড়ার আমল করতেন। তা থেকে অনুমিত হয় যে, এক রাকাতে একাধিক সুরা পড়ার আমলটি হয়তো রসূলুল্লাহ স.-এর ফরয নামাযেও ছিলো। আর সাহাবায়ে কিরাম তাঁর থেকেই এ আমল গ্রহণ করেছেন।
