আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৬. সফর-মুসাফিরের অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৯০
আন্তর্জাতিক নং: ৫৯০
নামাযে চোখ ঘুরিয়ে এদিক সেদিক দেখা।
৫৯০. সালিহ ইবনে আব্দিল্লাহ (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ আমি রাসূল (ﷺ)-কে নামাযে এদিক সেদিক তাকান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বললেনঃ এ হল এক ধরনের ছোঁ মারা। এতে শয়তান একজনের নামায থেকে কিছু ছোঁ মেরে নিয়ে যায়।*
*অর্থাৎ নামাযের মনোযোগ বিনষ্ট করে দেয়।
*অর্থাৎ নামাযের মনোযোগ বিনষ্ট করে দেয়।
باب مَا ذُكِرَ فِي الاِلْتِفَاتِ فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ الاِلْتِفَاتِ فِي الصَّلاَةِ قَالَ " هُوَ اخْتِلاَسٌ يَخْتَلِسُهُ الشَّيْطَانُ مِنْ صَلاَةِ الرَّجُلِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, নামাযের মধ্যে এদিক-ওদিক তাকানো মাকরূহ। একান্ত যদি দেখতে হয় তো নফল নামাযে দেখতে পারে ফরযে নয়। বরং মুসল্লীর জন্য উচিত হলো তার দৃষ্টি সিজদার স্থানে নিবদ্ধ রাখা। হযরত ইবরাহীম নাখাঈ রহ. থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি পছন্দ করতেন মুসল্লীর দৃষ্টি সিজদার স্থান অতিক্রম না করুক। (ইবনে আবী শাইবা: ৬৫৬৩) হযরত ইবনে ছীরীন রহ. থেকেও বর্ণিত আছে যে, তিনি পছন্দ করতেন মুসল্লী তার দৃষ্টি সিজদার জায়গা বরাবর রাখবে। যদি সে এটা না করে তাহলে তার দু’চোখ বন্ধ করে রাখবে। (ইবনে আবী শাইবা: ৬৫৬৪)
