আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৬. সফর-মুসাফিরের অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬৪
সালাতুল খাওফ।
৫৬৪. মুহাম্মাদ ইবনে আব্দিল মালিক ইবনে আবিশ-শাওয়ারিব (রাহঃ) ...... সালিম তৎপিতা ইবনে উমর (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত যে, রাসূল (ﷺ) এইভাবে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন যে, (পুরো দলকে দুই ভাগে বিভক্ত করে) এক দলকে নিয়ে এক রাকআত পড়েছেন। এই সময়ে অপর একদল শক্রর সামনে থেকেছেন। এরপর যে দল এক রাকআত নামায আদায় করেছন তারা যে দল শক্রর সামনে রয়েছেন তাদের স্থানে গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন আর শক্রর সম্মুখে অবস্থানরত দল নামাযে এসে শরীক হয়েছেন। রাসূল (ﷺ) তাদেরকে নিয়ে অপর এক রাকআত সমাধা করেছেন এবং নিজে সালাম ফিরিয়ে নিয়েছেন (কারণ তাঁর নামায শেষ হয়ে গেছে) এরপর নামায রত দল দাঁড়িয়ে তাদের এক রাকআত পুরা করেছেন এবং শক্রর সম্মুখে যারা অবস্থানরত তারাও দাঁড়িয়ে (অবশিষ্ট) এক রাকআত পুরা করে নিয়েছেন। - বুখারি ও মুসলিম,
ইবনে উমর (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি (৫৬১ নং) হাসান-সহীহ। মুসা ইবনে উকবা (রাহঃ)-ও এটি নাফি ইবনে উমর রাসূল (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ এই বিষয়ে জাবির, হুসায়ফা, যায়দ ইবনে সাবিত, ইবনে আব্বাস, আবু হুরায়রা, ইবনে মাসউদ, সাহল ইবনে আবু আয়্যাশ আয্ যুরাকী-তাঁর নাম হল যায়দ ইবনে সামিত এবং আবু বাকরা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ ইমাম মালিক (রাহঃ) সালাতুল খাওফ-এর ব্যাপারে সাহল ইবনে আবী হাসমা (রাহঃ) বর্ণিত হাদীস অনুসারে পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। এটা ঈমাম শাফিঈ (রাহঃ)-এরও অভিমত।
ইমাম আহমদ (রাহঃ) বলেনঃ রাসূল (ﷺ) থেকে কয়েকভাবে সালাতুল খাওফ আদায়ের পদ্ধতি বর্ণিত আছে।এই বিষয়ে বর্ণিত হাদীসগুলো সহীহ বলেই আমি জানি। তবে আমি সাহল ইবনে আবী হাসমা বর্ণিত পদ্ধতিটই গ্রহণ করেছি। ইসহাক ইবনে ইবরাহীমও এইরূপ বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেনঃ সালাতুল খাওফ সম্পর্কিত রিওয়ায়াতসমূহ সহীহ বলে প্রমাণিত। এই বিষয়ে রাসূল (ﷺ) থেকে যতগুলো পদ্ধতি বর্ণিত আছে, সবগুলোই জায়েয। এই বিভিন্নতা হল খাওফ বা ভীতির পরিমাণের তারতম্য হিসাবে। ইসহাক বলেনঃ আমরা অন্যান্য রিওয়ায়াতসমূহের উপর সাহল আবী হাসমার রিওয়ায়াতটির প্রাধান্য দেই না।
ইবনে উমর (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি (৫৬১ নং) হাসান-সহীহ। মুসা ইবনে উকবা (রাহঃ)-ও এটি নাফি ইবনে উমর রাসূল (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ এই বিষয়ে জাবির, হুসায়ফা, যায়দ ইবনে সাবিত, ইবনে আব্বাস, আবু হুরায়রা, ইবনে মাসউদ, সাহল ইবনে আবু আয়্যাশ আয্ যুরাকী-তাঁর নাম হল যায়দ ইবনে সামিত এবং আবু বাকরা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ ইমাম মালিক (রাহঃ) সালাতুল খাওফ-এর ব্যাপারে সাহল ইবনে আবী হাসমা (রাহঃ) বর্ণিত হাদীস অনুসারে পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। এটা ঈমাম শাফিঈ (রাহঃ)-এরও অভিমত।
ইমাম আহমদ (রাহঃ) বলেনঃ রাসূল (ﷺ) থেকে কয়েকভাবে সালাতুল খাওফ আদায়ের পদ্ধতি বর্ণিত আছে।এই বিষয়ে বর্ণিত হাদীসগুলো সহীহ বলেই আমি জানি। তবে আমি সাহল ইবনে আবী হাসমা বর্ণিত পদ্ধতিটই গ্রহণ করেছি। ইসহাক ইবনে ইবরাহীমও এইরূপ বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেনঃ সালাতুল খাওফ সম্পর্কিত রিওয়ায়াতসমূহ সহীহ বলে প্রমাণিত। এই বিষয়ে রাসূল (ﷺ) থেকে যতগুলো পদ্ধতি বর্ণিত আছে, সবগুলোই জায়েয। এই বিভিন্নতা হল খাওফ বা ভীতির পরিমাণের তারতম্য হিসাবে। ইসহাক বলেনঃ আমরা অন্যান্য রিওয়ায়াতসমূহের উপর সাহল আবী হাসমার রিওয়ায়াতটির প্রাধান্য দেই না।
باب مَا جَاءَ فِي صَلاَةِ الْخَوْفِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى صَلاَةَ الْخَوْفِ بِإِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ رَكْعَةً وَالطَّائِفَةُ الأُخْرَى مُوَاجِهَةُ الْعَدُوِّ ثُمَّ انْصَرَفُوا فَقَامُوا فِي مَقَامِ أُولَئِكَ وَجَاءَ أُولَئِكَ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً أُخْرَى ثُمَّ سَلَّمَ عَلَيْهِمْ فَقَامَ هَؤُلاَءِ فَقَضَوْا رَكْعَتَهُمْ وَقَامَ هَؤُلاَءِ فَقَضَوْا رَكْعَتَهُمْ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَى مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ مِثْلَ هَذَا . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَحُذَيْفَةَ وَزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَسَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ وَأَبِي عَيَّاشٍ الزُّرَقِيِّ وَاسْمُهُ زَيْدُ بْنُ صَامِتٍ وَأَبِي بَكْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ ذَهَبَ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ فِي صَلاَةِ الْخَوْفِ إِلَى حَدِيثِ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ . وَقَالَ أَحْمَدُ قَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صَلاَةُ الْخَوْفِ عَلَى أَوْجُهٍ وَمَا أَعْلَمُ فِي هَذَا الْبَابِ إِلاَّ حَدِيثًا صَحِيحًا وَأَخْتَارُ حَدِيثَ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ . وَهَكَذَا قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ ثَبَتَتِ الرِّوَايَاتُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْخَوْفِ . وَرَأَى أَنَّ كُلَّ مَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْخَوْفِ فَهُوَ جَائِزٌ وَهَذَا عَلَى قَدْرِ الْخَوْفِ . قَالَ إِسْحَاقُ وَلَسْنَا نَخْتَارُ حَدِيثَ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ عَلَى غَيْرِهِ مِنَ الرِّوَايَاتِ .
