আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪. জুমআর অধ্যায়
হাদীস নং: ৫২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৭
জুমআর অধ্যায়
জুমআর দিন মিসওয়াক করা এবং সুগদ্ধি ব্যবহার করা।
৫২৭. আহমদ ইবনে মানী (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ রাসূল (ﷺ) একবার আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাযিঃ)-কে কোন এক অভিযানে প্রেরণ করেন। সে দিন ছিল জুমআর দিন। তার সঙ্গীরা সকলে ভোরেই রওয়ানা হয়ে গেলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি পিছনে রয়ে গেলাম। (মনে করলাম) রাসূল (ﷺ)-এর সঙ্গে নামায আদায় করে পরে তাদের সঙ্গে গিয়ে মিলিত হব। যা হোক, তিনি যখন রাসূল (ﷺ)-এর সঙ্গে নামায আদায় করলেন তখন তিনি তাকে দেখনে পেলেন। বললেনঃ তোমার সঙ্গীদের সঙ্গে ভোরে রওয়ানা হতে তোমাকে কে বাধা দিল? তিনি বললেনঃ পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব যদি তুমি বিলিয়ে দাও তবুও তুমি তাদের এই একটি সকালের ফযীলত ধরতে পারবে না।
ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ এই সনদ ছাড়া হাদীসটি সম্পর্কে আমরা জানি না। আলী ইবনে মাদীনী (রাহঃ) বর্ণনা করেন, ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন যে, শুবা (রাহঃ) বলেনঃ মিকসাম (রাহঃ) থেকে হাকাম (রাহঃ) মাত্র পাঁচটি হাদীস শুনেছেন। এরপর শু’বা (রাহঃ) উক্ত পাঁচটির বিবরণ দেন, কিন্তু এই হাদীসটির উল্লেখ সেখানে নেই। এতে বুঝা যায়, মিকসাম (রাহঃ) থেকে হাকাম (রাহঃ) এই হাদীসটি শুনেননি।
জুমআর দিন (সকালে) সফর করা সম্পর্কে আলিমগণ মতবিরোধ করেছেন। কতক আলিম [ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) সহ] নামাযের ওয়াক্ত না হওয়া পর্যন্ত সফরে রওয়ানা হওয়ায় কোন অসুবিধা আছে বলে বলে মনে করেন না। অপর কতক আলিম বলেনঃ রওয়ানা হতে হতে সকাল হয়ে গেলে জুমআর নামায আদায় না করে বের হবে না।
ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ এই সনদ ছাড়া হাদীসটি সম্পর্কে আমরা জানি না। আলী ইবনে মাদীনী (রাহঃ) বর্ণনা করেন, ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন যে, শুবা (রাহঃ) বলেনঃ মিকসাম (রাহঃ) থেকে হাকাম (রাহঃ) মাত্র পাঁচটি হাদীস শুনেছেন। এরপর শু’বা (রাহঃ) উক্ত পাঁচটির বিবরণ দেন, কিন্তু এই হাদীসটির উল্লেখ সেখানে নেই। এতে বুঝা যায়, মিকসাম (রাহঃ) থেকে হাকাম (রাহঃ) এই হাদীসটি শুনেননি।
জুমআর দিন (সকালে) সফর করা সম্পর্কে আলিমগণ মতবিরোধ করেছেন। কতক আলিম [ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) সহ] নামাযের ওয়াক্ত না হওয়া পর্যন্ত সফরে রওয়ানা হওয়ায় কোন অসুবিধা আছে বলে বলে মনে করেন না। অপর কতক আলিম বলেনঃ রওয়ানা হতে হতে সকাল হয়ে গেলে জুমআর নামায আদায় না করে বের হবে না।
أبواب الجمعة
باب مَا جَاءَ فِي السِّوَاكِ وَالطِّيبِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بَعَثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَوَاحَةَ فِي سَرِيَّةٍ فَوَافَقَ ذَلِكَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَغَدَا أَصْحَابُهُ فَقَالَ أَتَخَلَّفُ فَأُصَلِّي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ أَلْحَقُهُمْ . فَلَمَّا صَلَّى مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَآهُ فَقَالَ " مَا مَنَعَكَ أَنْ تَغْدُوَ مَعَ أَصْحَابِكَ " . فَقَالَ أَرَدْتُ أَنْ أُصَلِّيَ مَعَكَ ثُمَّ أَلْحَقَهُمْ . قَالَ " لَوْ أَنْفَقْتَ مَا فِي الأَرْضِ جَمِيعًا مَا أَدْرَكْتَ فَضْلَ غَدْوَتِهِمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ قَالَ شُعْبَةُ لَمْ يَسْمَعِ الْحَكَمُ مِنْ مِقْسَمٍ إِلاَّ خَمْسَةَ أَحَادِيثَ . وَعَدَّهَا شُعْبَةُ وَلَيْسَ هَذَا الْحَدِيثُ فِيمَا عَدَّ شُعْبَةُ فَكَأَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ لَمْ يَسْمَعْهُ الْحَكَمُ مِنْ مِقْسَمٍ . وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي السَّفَرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَلَمْ يَرَ بَعْضُهُمْ بَأْسًا بِأَنْ يَخْرُجَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فِي السَّفَرِ مَا لَمْ تَحْضُرِ الصَّلاَةُ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِذَا أَصْبَحَ فَلاَ يَخْرُجْ حَتَّى يُصَلِّيَ الْجُمُعَةَ .