আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
২. রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণিত নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৪২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৩
ফরযের পূর্বে ফজরের দু’রাকআত (সুন্নত) আদায় না করা গেলে সূর্যোদয়ের পর এই দু’রাকআত আদায় করা
৪২৩. উকবা ইবনে মুকরাম আল-আম্মী আল-বসরী (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ কেউ যদি ফরযের পূর্বে ফজরের দু’রাকআত আদায় না করে থাকে, তবে সে যেন সূর্যোদয়ের পর তা আদায় করে।
باب مَا جَاءَ فِي إِعَادَتِهِمَا بَعْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ
حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ الْعَمِّيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ لَمْ يُصَلِّ رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ فَلْيُصَلِّهِمَا بَعْدَ مَا تَطْلُعُ الشَّمْسُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ فَعَلَهُ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . قَالَ وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ هَمَّامٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَ هَذَا إِلاَّ عَمْرَو بْنَ عَاصِمٍ الْكِلاَبِيَّ . وَالْمَعْرُوفُ مِنْ حَدِيثِ قَتَادَةَ عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنْ صَلاَةِ الصُّبْحِ قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَقَدْ أَدْرَكَ الصُّبْحَ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, ফজরের ফরযের পূর্বের ছুন্নাত ছুটে গেলে সূর্যোদয়ের পরে (মাকরূহ সময় পার হয়ে গেলে) তা আদায় করা মুস্তাহাব। (বাদায়েউস সানায়ে’: ১/২৮৭)
এর বিপরীতে তিরমিযী শরীফের ৪২২ নাম্বার হাদীসে সূর্যোদয়ের পূর্বে ছুন্নাত পড়ার অনুমতি সম্বলিত একটি হাদীসও বর্ণিত আছে। কিন্তু ইমাম তিরমিযী রহ. নিজে উক্ত হাদীসটিকে منقطع তথা সনদবিচ্ছিন্ন বলে মনত্মব্য করেছেন যা দলীলযোগ্য নয়। হযরত আতা রহ. থেকেও অনুমতির একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে। (ইবনে আবী শাইবা: ৬৫০২ নাম্বারে) কিন্তু সে হাদীসের সনদ মুরসাল। আর মুরসাল হাদীস আমাদের নিকট দলীলযোগ্য হলেও মারফু’ মুত্তাসিল হাদীসের মুকাবিলায় অপ্রবল হওয়ায় সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। তবে যে সকল কর্মব্যসত্ম মানুষ মাসজিদ থেকে একবার বের হয়ে গেলে আর ফিরে এসে নামায পড়তে পারবে না, কোন কোন ইমামের মতে তাদের জন্য সূর্যোদয়ের পূর্বে ছুন্নাত পড়ার অনুমতি আছে।
এর বিপরীতে তিরমিযী শরীফের ৪২২ নাম্বার হাদীসে সূর্যোদয়ের পূর্বে ছুন্নাত পড়ার অনুমতি সম্বলিত একটি হাদীসও বর্ণিত আছে। কিন্তু ইমাম তিরমিযী রহ. নিজে উক্ত হাদীসটিকে منقطع তথা সনদবিচ্ছিন্ন বলে মনত্মব্য করেছেন যা দলীলযোগ্য নয়। হযরত আতা রহ. থেকেও অনুমতির একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে। (ইবনে আবী শাইবা: ৬৫০২ নাম্বারে) কিন্তু সে হাদীসের সনদ মুরসাল। আর মুরসাল হাদীস আমাদের নিকট দলীলযোগ্য হলেও মারফু’ মুত্তাসিল হাদীসের মুকাবিলায় অপ্রবল হওয়ায় সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। তবে যে সকল কর্মব্যসত্ম মানুষ মাসজিদ থেকে একবার বের হয়ে গেলে আর ফিরে এসে নামায পড়তে পারবে না, কোন কোন ইমামের মতে তাদের জন্য সূর্যোদয়ের পূর্বে ছুন্নাত পড়ার অনুমতি আছে।
