আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

২. রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণিত নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৩৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৬
প্রথম দু’রাকআতের পর বসার পরিমাণ।
৩৬৬. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) .... আবু উবাইদা (রাহঃ) তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল (ﷺ) প্রথম দু‘রাকআতের পর যখন বসতেন তখন মনে হত তিনি যেন কোন উত্তপ্ত পাথরের উপর বসেছেন। শু‘বা বলেন, অতঃপর (এই হাদীসের রাবী) সা’দ ঠোঁট নাড়িয়ে কি যেন বললেন। আমি বললামঃ حتى يقوم (দাঁড়িয়ে না পড়া পর্যন্ত) বলছেন? তিনি বললেন’ হ্যাঁ, حتى يقوم
باب مَا جَاءَ فِي مِقْدَارِ الْقُعُودِ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، - هُوَ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنَا سَعْدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا جَلَسَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ كَأَنَّهُ عَلَى الرَّضْفِ . قَالَ شُعْبَةُ ثُمَّ حَرَّكَ سَعْدٌ شَفَتَيْهِ بِشَيْءٍ فَأَقُولُ حَتَّى يَقُومَ فَيَقُولُ حَتَّى يَقُومَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ إِلاَّ أَنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ أَبِيهِ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَخْتَارُونَ أَنْ لاَ يُطِيلَ الرَّجُلُ الْقُعُودَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ وَلاَ يَزِيدَ عَلَى التَّشَهُّدِ شَيْئًا . وَقَالُوا إِنْ زَادَ عَلَى التَّشَهُّدِ فَعَلَيْهِ سَجْدَتَا السَّهْوِ . هَكَذَا رُوِيَ عَنِ الشَّعْبِيِّ وَغَيْرِهِ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

উপরিউক্ত হাদীসের আলোকে আমরা বিশ্বাস করি যে, যদি কোন ব্যক্তি তাশাহহুদের পরে অতিরিক্ত কিছু পড়ে, তাহলে পরবর্তী রাকাতের জন্য দাঁড়ানোর ফরয আমল আদায়ে বিলম্ব হওয়ার কারণে সিজদায়ে সাহু করতে হবে।
حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ ، عَنْ شُعْبَةَ ، عَنِ الْحَكَمِ ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ ، عَن رَجُلٍ صَلَّى خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ ؛ فَكَانَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ ، كَأَنَّهُ عَلَى الْجَمْرِ حَتَّى يَقُومَ.
হযরত ইবরাহীম নাখাঈ রহ. এমন এক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেন যিনি হযরত আবু বকার ছিদ্দীক রা.-এর পিছে নামায পড়েছেন, প্রথম দুই রাকাতে (বৈঠকে) হযরত আবু বকার ছিদ্দীক রা. এমন থাকতেন কেমন যেন গরম পাথরের উপর অর্থাৎ তাশাহুদের পরে মোটেও দেরি করতেন না। (ইবনে আবী শাইবা-৩০৩৫)

عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ طَاوُسًا يَقُولُ: «لَا أَعْلَمُ بَعْدَ الرَّكْعَتَيْنِ إِلَّا التَّشَهُّدَ»
হযরত ইবরাহীম বিন মাইসারা রহ. বলেন, আমি হযরত তাউস রহ.কে বলতে শুনেছি, দুই রাকাত পরে তাশাহহুদ ব্যতীত আর কোন কিছু করণীয় আছে বলে মনে করি না। (আব্দুর রায্‌যাক-৩০৫৯)

عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ قَالَ: «الْمَثْنَى الْأُولَى إِنَّمَا هُوَ لِلتَّشَهُّدِ، وَإِنَّ الْآخِرَ لِلدُّعَاءِ وَالرَّغْبَةِ، وَالْآخَرُ أَطْوَلُهُمَا»
হযরত আতা রহ. বলেন, প্রথম দু’রাকাত (-এর বৈঠক) তাশাহহুদের জন্য। আর শেষ বৈঠক আলস্নাহ’র নিকট দুআ’ এবং তাঁর প্রতি মনোনিবেসের জন্য। আর শেষ বৈঠক প্রথম বৈঠকের চেয়ে লম্বা হবে। (আব্দুর রায্‌াক-৩০৬০)
উপরিউক্ত আছারসমূহ থেকেও প্রমাণিত হলো যে, প্রথম বৈঠকটি শুধু তাশাহহুদের জন্য। অতএব, এ বৈঠকের পরে দেরি করা যাবে না।