আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫- হায়েয-ইস্তিহাযার অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৫
২০৯। হায়য অবস্থায় কা'বার তাওয়াফ ছাড়া হজ্জের অন্যান্য কাজ করা যায়।
ইবরাহীম (রাহঃ) বলেছেনঃ (হায়য অবস্থায়) আয়াত পাঠে কোন দোষ নেই।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) জুনুবীর জন্য কুরআন পাঠে কোন দোষ মনে করতেন না।
নবী (ﷺ) সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিক্‌র করতেন।
উম্মে আতিয়্যা (রাযিঃ) বলেনঃ (ঈদের দিন) হায়য অবস্থায় মহিলাদের বাইরে নিয়ে আসার জন্য আমাদের বলা হতো, যাতে তারা পুরুষদের সাথে তাকবীর বলে ও দুআ করে।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) আবু সুফিয়ান (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, হিরাকল (রোম সম্রাট) নবী (ﷺ)-এর পত্র চেয়ে নিলেন এবং তা পাঠ করলেন। তাতে লেখা ছিলঃ
((بسم الله الرحمن الرحيم: {يا أهل الكتاب تعالوا إلى كلمة سواء بيننا وبينكم ألا نعبد إلا الله} الى قوله مسلمون [آل عمران: 64] . “দয়াময় পরম দয়ালু আল্লাহর নামে। আপনি বলুন! হে কিতাবীগণ! এস সে কথায় যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই-যেন আমরা আল্লাহ্ ব্যতীত কারো ইবাদত না করি। কোন কিছুকেই তাঁর শরীক না করি এবং আমাদের কেউ কাউকে আল্লাহ্ ব্যতীত রবরূপে গ্রহণ না করি। যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে বলুন, তোমরা সাক্ষী থাক আমরা মুসলিম (৩ : ৬৪)।
আতা (রাহঃ) জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আয়িশা (রাযিঃ) হায়য অবস্থায় কা'বা তাওয়াফ ছাড়া হজ্জের অন্যান্য আহকাম পালন করেছেন কিন্তু নামায আদায় করেন নি।
হাকাম (রাহঃ) বলেছেনঃ আমি জুনুবী অবস্থায়ও যবেহ করে থাকি। অথচ আল্লাহর বাণী হলোঃ وَلاَ تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ “তোমরা আহার করো না সে সব প্রাণী, যার ওপর আল্লাহর নাম নেয়া হয়নি।” (৬ : ১২১)
২৯৯। আবু নুআয়ম (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে হজ্জের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম। আমরা সারিফ নামক স্থানে পৌঁছলে আমি ঋতুবতী হই। এ সময় নবী (ﷺ) এসে আমাকে কাঁদতে দেখলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললামঃ আল্লাহর শপথ! এ বছর হজ্জ না করাই আমার জন্য পছন্দনীয়। তিনি বললেনঃ সম্ভবত তুমি ঋতুবতী হয়েছ। আমি বললাম, ‘হ্যাঁ’। তিনি বললেনঃ এ তো আদম-কন্যাদের জন্য আল্লাহ্ নির্ধারিত করেছেন। তুমি পাক হওয়া পর্যন্ত অন্যান্য হাজীদের মত সমস্ত কাজ করে যাও, কেবল কা'বার তাওয়াফ করবে না।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন