আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৭- সৃষ্টি জগতের সূচনা
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৯৯
১৯৮৫. নক্ষত্ররাজি প্রসঙ্গে। কাতাদা (রাহঃ) বলেন, (আল্লাহ তাআলার বাণীঃ) আর আমি দুনিয়ার নিকটতম আসমানকে উজ্জ্বল নক্ষত্ররাজি দ্বারা সুসজ্জিত করেছি। (৬৭ঃ ৫) (এ সম্পর্কে কাতাদা (রাহঃ) বলেন) এ সব নক্ষত্ররাজি তিনটি উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে। (১) বানিয়েছেন এদেরকে আসমানের সৌন্দর্য (২) শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ করার জন্য (৩) এবং পথ ও দিক নির্ণয়ের নিদর্শন হিসেবে। অতএব যে ব্যক্তি এদের সম্পর্কে এছাড়া অন্য কোন ব্যাখ্যা দেয় সে ভুল করে, নিজ প্রাপ্য হারায় এবং সে এমন বিষয়ে কষ্ট করে যে বিষয়ে তার কোন জ্ঞান নেই। আর ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, هَشِيمًا অর্থ পরিবর্তন, আর الأَبُّ তৃণ যা চতুষ্পদ জন্তু ভক্ষণ করে, الأَنَامُ অর্থ মাখলুক بَرْزَخٌ অর্থ প্রতিবন্ধক, আর মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, أَلْفَافًا অর্থ জড়ানো, আর الْغُلْبُ অর্থ ঘন ও সন্নিবেশীত বাগান। فِرَاشًا অর্থ বিছানা। যেমন মহান আল্লাহর বাণীঃ আর তোমাদের জন্য রয়েছে পৃথিবীতে অবস্থান স্থল। نَكِدًا অর্থ অল্প।
২৯৭২। মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আবু যর (রাযিঃ)- কে বললেন, তুমি কি জানো, সূর্য কোথায় যায়? আমি বললাম, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেন, তা যেতে যেতে আরশের নীচে গিয়ে সিজদায় পড়ে যায়। এরপর সে পুনঃ উদিত হওয়ার অনুমতি চায় এবং তাকে অনুমতি দেওয়া হয়। আর অচিরেই এমন সময় আসবে যে, সিজদা করবে তা কবুল করা হবে না এবং সে অনুমতি চাইবে কিন্তু অনুমতি দেওয়া হবে না। তাকে বলা হবে যে পথে এসেছ, সে পথে ফিরে যাও। তখন সে পশ্চিম দিক হতে উদিত হবে--এটাই মর্ম হল মহান আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আর সূর্য গমন করে তার নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে, এটাই পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ। (৩৬ঃ ৩৮)


বর্ণনাকারী: