আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
হাদীস নং: ২৯৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৮২
১৯৭৮. শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
২৯৫৭। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... আবু ওয়ায়েল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমরা সিফফীন যুদ্ধে শরীক ছিলাম। সে সময় সাহল ইবনে হুনাইফ (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, হে লোক সকল! তোমরা নিজ মতামতকে নির্ভুল মনে করো না। আমরা হুদায়বিয়ার দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সঙ্গে ছিলাম। যদি আমরা যুদ্ধ করা যথোচিত মনে করতাম, তবে আমরা যুদ্ধ করতাম। পরে উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা কি হকের উপর নই এবং তারা (মুশরিকরা) বাতিলের উপর? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ। তারপর তিনি বললেন, আমাদের নিহত ব্যক্তিগণ কি জান্নাতী নন এবং তাদের নিহত ব্যক্তিরা কি জাহান্নামী নয়? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ, আমাদের নিহতগণ অবশ্যই জান্নাতী।
উমর (রাযিঃ) বললেন, তবে কি কারণে আমরা আমাদের দ্বীনের ব্যাপারে হীনতা স্বীকার করব? আমরা কি ফিরে যাব? অথচ আল্লাহ তাআলা আমাদের ও তাদের মধ্যে কোন ফয়সালা করেননি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে ইবনে খাত্তাব! আমি নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসুল, আল্লাহ আমাকে কখনো হেয় করবেন না। তারপর উমর (রাযিঃ) আবু বকর (রাযিঃ)- এর নিকট গেলেন এবং নবী (ﷺ)- এর কাছে যা বলেছিলেন, তা তার নিকট বললেন। তখন আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, তিনি আল্লাহর রাসুল, আল্লাহ তাআলা কখনও তাকে হেয় করবেন না। তারপর সূরা ফাতহ নাযিল হয়। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা শেষ পর্যন্ত উমর (রাযিঃ)- কে পাঠ করে শোনান। উমর (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এটা কি বিজয়? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ।
উমর (রাযিঃ) বললেন, তবে কি কারণে আমরা আমাদের দ্বীনের ব্যাপারে হীনতা স্বীকার করব? আমরা কি ফিরে যাব? অথচ আল্লাহ তাআলা আমাদের ও তাদের মধ্যে কোন ফয়সালা করেননি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে ইবনে খাত্তাব! আমি নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসুল, আল্লাহ আমাকে কখনো হেয় করবেন না। তারপর উমর (রাযিঃ) আবু বকর (রাযিঃ)- এর নিকট গেলেন এবং নবী (ﷺ)- এর কাছে যা বলেছিলেন, তা তার নিকট বললেন। তখন আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, তিনি আল্লাহর রাসুল, আল্লাহ তাআলা কখনও তাকে হেয় করবেন না। তারপর সূরা ফাতহ নাযিল হয়। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা শেষ পর্যন্ত উমর (রাযিঃ)- কে পাঠ করে শোনান। উমর (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এটা কি বিজয়? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ।
(بَابٌ (خال عن الترجمة
3182 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ العَزِيزِ، عَنْ أَبِيهِ، حَدَّثَنَا حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو وَائِلٍ، قَالَ: كُنَّا بِصِفِّينَ، فَقَامَ سَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ، فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ اتَّهِمُوا أَنْفُسَكُمْ، فَإِنَّا كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الحُدَيْبِيَةِ، وَلَوْ نَرَى قِتَالًا لَقَاتَلْنَا، فَجَاءَ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلَسْنَا عَلَى الحَقِّ وَهُمْ عَلَى البَاطِلِ؟ فَقَالَ: «بَلَى» . فَقَالَ: أَلَيْسَ قَتْلاَنَا فِي الجَنَّةِ وَقَتْلاَهُمْ فِي النَّارِ؟ قَالَ: «بَلَى» ، قَالَ: فَعَلاَمَ نُعْطِي الدَّنِيَّةَ فِي دِينِنَا، أَنَرْجِعُ وَلَمَّا يَحْكُمِ اللَّهُ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ؟ فَقَالَ: «يَا ابْنَ الخَطَّابِ، إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ، وَلَنْ يُضَيِّعَنِي اللَّهُ أَبَدًا» ، فَانْطَلَقَ عُمَرُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ فَقَالَ لَهُ مِثْلَ مَا قَالَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: إِنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ، وَلَنْ يُضَيِّعَهُ اللَّهُ أَبَدًا، فَنَزَلَتْ سُورَةُ الفَتْحِ فَقَرَأَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عُمَرَ إِلَى آخِرِهَا، فَقَالَ عُمَرُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَوَفَتْحٌ هُوَ؟ قَالَ: «نَعَمْ»
