কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

৩৫. যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা

হাদীস নং: ৪২৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৬৮
কবরের অবস্থা ও মুসীবতের বর্ণনা
৪২৬৮। আবু বাকর ইব্‌ন আবু শায়বা (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যখন মৃত ব্যক্তিকে কবরে রাখা হয়, তখন নেক লোক হলে তাকে এমনভাবে বসানো হয়, যাতে সে ভয়-ভীতি শূন্য হয় এবং পেরেশানীমুক্ত হয়। অতঃপর তাকে প্রশ্ন করা হয়ঃ তুমি কিসের উপর কায়েম ছিলে? তখন সে বলবেঃ আমি ইসলামের উপরে কায়েম ছিলাম। অতঃপর তাকে প্রশ্ন করা হবে এই ব্যক্তি কে? তখন সে বলবেঃ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ যিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে স্পষ্ট প্রমাণাদি সহ আমাদের কাছে এসেছিলেন, তখন আমরা তাঁকে সত্য নবী বলে স্বীকার করেছিলাম। অতঃপর তাকে জিজ্ঞাসা করা হবেঃ তুমি কি আল্লাহকে দেখেছিলে? তখন সে বলবেঃ আল্লাহকে দেখা কারোর পক্ষে সম্ভব নয়। এরপর তার জন্য জাহান্নামের দিকে একটি সুড়ঙ্গ পথ খুলে দেয়া হবে। তখন সে সেদিকে (জাহান্নামের দিকে) তাকিয়ে দেখতে পাবে, তার এক অংশ অপরাংশকে ভক্ষণ করছে। অনন্তর তাকে বলা হবেঃ দেখে নাও, যা থেকে আল্লাহ তা'আলা তোমাকে রক্ষা করেছেন। অতঃপর তার জন্য জান্নাতের দিকে একটি সুড়ংগ পথ খুলে দেওয়া হবে। তখন সে তথাকার সবুজ বন-বীথিকা এবং যা তার মধ্যে আছে, তা দেখতে পাবে। তখন তাকে বলা হবেঃ এই হলো তোমার আবাসস্থল। আর তাকে আরও বলা হবেঃ তুমি ঈমানের পরে দৃঢ়ভাবে অটল ছিলো, এর উপরই মারা গেছ, এবং এর উপরই হাশরের ময়দানে উত্থিত হবে- ইনশাআল্লাহ তা'আলা । পক্ষান্তরে, মন্দ প্রকৃতির লোককে তার কবরে পেরেশানী ও অস্থির অবস্থায় বসানো হবে। তখন তাকে প্রশ্ন করা হবেঃ তুমি কিসে (কোন দ্বীনে) ছিলে ? সে বলবেঃ আমি তো জানি না। এরপর তাকে প্রশ্ন করা হবেঃ এ ব্যক্তিকে? সে বলবেঃ আমি লোকদের একটা কথা বলাবলি করতে শুনেছি, আমিও তাই বলতাম। এরপর তার জন্য জান্নাতের সবুজ শ্যামলীমা বন-বীথিকা এবং তার ভিতরে যা আছে তা দেখতে পাবে। তাকে বলা হবেঃ তা দেখে নাও, যা আল্লাহ তা'আলা তোমার থেকে ফিরিয়ে নিয়েছিল। অতঃপর তার জন্য জাহান্নামের দিকে একটা দরজা খুলে দেওয়া হবে। তখন সে তার দিকে (জাহান্নামের দিকে) তাকাবে, যার একাংশ অপরাংশকে ভক্ষণ করছে। তারপর তাকে বলা হবেঃ এই হলো তোমার ঠিকানা। তুমি (দুনিয়াতে) সন্দেহের উপর ছিলে এবং এর উপরেই মারা গেছ এবং ইনশাআল্লাহ এই শংশয়ের উপরই তোমাকে উঠানো হবে।
بَاب ذِكْرِ الْقَبْرِ وَالْبِلَى
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏:‏ ‏ "‏ إِنَّ الْمَيِّتَ يَصِيرُ إِلَى الْقَبْرِ فَيُجْلَسُ الرَّجُلُ الصَّالِحُ فِي قَبْرِهِ غَيْرَ فَزِعٍ وَلاَ مَشْعُوفٍ ثُمَّ يُقَالُ لَهُ ‏:‏ فِيمَ كُنْتَ فَيَقُولُ ‏:‏ كُنْتُ فِي الإِسْلاَمِ ‏.‏ فَيُقَالُ لَهُ ‏:‏ مَا هَذَا الرَّجُلُ فَيَقُولُ ‏:‏ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ جَاءَنَا بِالْبَيِّنَاتِ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ فَصَدَّقْنَاهُ ‏.‏ فَيُقَالُ لَهُ ‏:‏ هَلْ رَأَيْتَ اللَّهَ فَيَقُولُ ‏:‏ مَا يَنْبَغِي لأَحَدٍ أَنْ يَرَى اللَّهَ ‏.‏ فَيُفْرَجُ لَهُ فُرْجَةٌ قِبَلَ النَّارِ فَيَنْظُرُ إِلَيْهَا يَحْطِمُ بَعْضُهَا بَعْضًا فَيُقَالُ لَهُ ‏:‏ انْظُرْ إِلَى مَا وَقَاكَ اللَّهُ ‏.‏ ثُمَّ يُفْرَجُ لَهُ فُرْجَةٌ قِبَلَ الْجَنَّةِ فَيَنْظُرُ إِلَى زَهْرَتِهَا وَمَا فِيهَا فَيُقَالُ لَهُ ‏:‏ هَذَا مَقْعَدُكَ ‏.‏ وَيُقَالُ لَهُ ‏:‏ عَلَى الْيَقِينِ كُنْتَ وَعَلَيْهِ مُتَّ وَعَلَيْهِ تُبْعَثُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ‏.‏ وَيُجْلَسُ الرَّجُلُ السُّوءُ فِي قَبْرِهِ فَزِعًا مَشْعُوفًا فَيُقَالُ لَهُ ‏:‏ فِيمَ كُنْتَ فَيَقُولُ ‏:‏ لاَ أَدْرِي ‏.‏ فَيُقَالُ لَهُ ‏:‏ مَا هَذَا الرَّجُلُ فَيَقُولُ ‏:‏ سَمِعْتُ النَّاسَ يَقُولُونَ قَوْلاً فَقُلْتُهُ ‏.‏ فَيُفْرَجُ لَهُ قِبَلَ الْجَنَّةِ فَيَنْظُرُ إِلَى زَهْرَتِهَا وَمَا فِيهَا فَيُقَالُ لَهُ ‏:‏ انْظُرْ إِلَى مَا صَرَفَ اللَّهُ عَنْكَ ‏.‏ ثُمَّ يُفْرَجُ لَهُ فُرْجَةٌ قِبَلَ النَّارِ فَيَنْظُرُ إِلَيْهَا يَحْطِمُ بَعْضُهَا بَعْضًا فَيُقَالُ لَهُ ‏:‏ هَذَا مَقْعَدُكَ عَلَى الشَّكِّ كُنْتَ وَعَلَيْهِ مُتَّ وَعَلَيْهِ تُبْعَثُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى ‏"‏ ‏.‏
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
সুনানে ইবনে মাজা - হাদীস নং ৪২৬৮ | মুসলিম বাংলা