কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
৩৫. যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
হাদীস নং: ৪১৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৩৯
কানা'আত (অল্পে তুষ্টি)
৪১৩৯। মুহাম্মাদ ইব্ন আব্দুল্লাহ ইব্ন নুমায়র ও আলী ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ)...আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদের পরিবার-পরিজনকে প্রয়োজন মাফিক জীবিকা দান করুন।
بَاب الْقَنَاعَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " اللَّهُمَّ اجْعَلْ رِزْقَ آلِ مُحَمَّدٍ قُوتًا " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
মানুষের জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুকেই রিযিক বলে, তা খাদ্য, পানীয়, পোশাক যাই হোক না কেন। তবে এ হাদীছে বিশেষভাবে খাদ্য বোঝানো হয়েছে।
قوت বলা হয় ক্ষুধা নিবারণ পরিমাণ খাদ্যকে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পরিবারবর্গের জন্য দু'আ করেছেন যেন আল্লাহ তা'আলা তাঁদেরকে এ পরিমাণ খাদ্য দান করেন। অর্থাৎ তাঁরা যেন ক্ষুধায় কষ্টও না পায়, আবার ঐশ্বর্যেরও অধিকারী না হয়। ক্ষুধার কষ্ট যেমন মানুষের ঈমান-আমলের পক্ষে ঝুঁকি, তেমনি ঐশ্বর্য ও প্রাচুর্যও আমল-আখলাকের পক্ষে বিপজ্জনক। নিজ পরিবারবর্গ ও বংশধরগণ যাতে এ উভয় রকম ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়, সে লক্ষ্যে দয়াল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদের জন্য মাঝামাঝি অবস্থার দু'আ করেছেন।
কারও মতে এ হাদীছে ال বলে অনুসারী বোঝানো হয়েছে। এ অর্থেও শব্দটির ব্যবহার আছে। এ হিসেবে তিনি তাঁর প্রিয় উম্মত, যারা তাঁর সুন্নাহ ও জীবনাদর্শের যথাযথ অনুসরণ করে, তাদের সকলের জন্য দু'আ করেছেন।
প্রকাশ থাকে যে, এর দ্বারা ধনীদের নিন্দা করা হয়নি এবং ধন-সম্পদ ও ঐশ্বর্য সন্ধানকেও নাজায়েয বলা হয়নি। যদি কেউ ধন-সম্পদের শর'ঈ হকসমূহ আদায়ে সক্ষম হয়, তবে সে ধন তার দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতের পক্ষে কল্যাণকর বটে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
যারা কোনওরকম জীবনধারণের মত জীবিকার মধ্য দিয়ে চলছে, না সেজন্য কোনও আক্ষেপ আছে আর না ধন-সম্পদের জন্য লালায়িত, তারা বড় ভাগ্যবান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ দু'আর মধ্যে তাদের জন্য স্বস্তি ও সান্ত্বনার বাণী রয়েছে।
قوت বলা হয় ক্ষুধা নিবারণ পরিমাণ খাদ্যকে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পরিবারবর্গের জন্য দু'আ করেছেন যেন আল্লাহ তা'আলা তাঁদেরকে এ পরিমাণ খাদ্য দান করেন। অর্থাৎ তাঁরা যেন ক্ষুধায় কষ্টও না পায়, আবার ঐশ্বর্যেরও অধিকারী না হয়। ক্ষুধার কষ্ট যেমন মানুষের ঈমান-আমলের পক্ষে ঝুঁকি, তেমনি ঐশ্বর্য ও প্রাচুর্যও আমল-আখলাকের পক্ষে বিপজ্জনক। নিজ পরিবারবর্গ ও বংশধরগণ যাতে এ উভয় রকম ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়, সে লক্ষ্যে দয়াল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদের জন্য মাঝামাঝি অবস্থার দু'আ করেছেন।
কারও মতে এ হাদীছে ال বলে অনুসারী বোঝানো হয়েছে। এ অর্থেও শব্দটির ব্যবহার আছে। এ হিসেবে তিনি তাঁর প্রিয় উম্মত, যারা তাঁর সুন্নাহ ও জীবনাদর্শের যথাযথ অনুসরণ করে, তাদের সকলের জন্য দু'আ করেছেন।
প্রকাশ থাকে যে, এর দ্বারা ধনীদের নিন্দা করা হয়নি এবং ধন-সম্পদ ও ঐশ্বর্য সন্ধানকেও নাজায়েয বলা হয়নি। যদি কেউ ধন-সম্পদের শর'ঈ হকসমূহ আদায়ে সক্ষম হয়, তবে সে ধন তার দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতের পক্ষে কল্যাণকর বটে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
যারা কোনওরকম জীবনধারণের মত জীবিকার মধ্য দিয়ে চলছে, না সেজন্য কোনও আক্ষেপ আছে আর না ধন-সম্পদের জন্য লালায়িত, তারা বড় ভাগ্যবান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ দু'আর মধ্যে তাদের জন্য স্বস্তি ও সান্ত্বনার বাণী রয়েছে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
