কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
৩৪. ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
হাদীস নং: ৩৯৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৫৮
ফিতনার যুগে ঈমানের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা
৩৯৫৮। আহমাদ ইব্ন আবাদা (রাযিঃ)...আবু যার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ হে আবু যার! তখন তোমার কি অবস্থা হবে, যখন লোকদের উপর মৃত্যু পতিত হবে, এমনকি একটা কবরের মূল্য হবে এক গোলামের মূল্য বরাবর। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আমার জন্য যা পছন্দ করেন (অথবা বলেনঃ আল্লাহ ও তদীয় রাসূল (ﷺ) সম্যক জ্ঞাত)। তিনি বললেনঃ সবর করবে। অতঃপর তিনি বললেনঃ তখন তোমার কি হাল হবে, যখন লোকেরা দুর্ভিক্ষ তাড়িত হবে? ক্ষুধার তাড়না এত প্রকট রূপ ধারণ করবে যে, তুমি তোমার মসজিদে (সালাত আদায়ের জন্য) আসবে এবং সালাত শেষে নিজের বিছানায় ফিরে আসার শক্তি হারিয়ে ফেলবে। এবং তুমি তোমার বিছানা থেকে উঠে মসজিদে যাওয়ার শক্তিও রাখবে না। তিনি বলেনঃ আমি বললামঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সম্যক জ্ঞাত আছেন। (অথবা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল আমার জন্য যা ভাল মনে করেন।) তিনি বললেনঃ তখন তুমি হারাম থেকে বেঁচে থাকা নিজের জন্য অপরিহার্য করে নিবে (যদিও ভূখা, নাংগা থাকতে হয়)। অতঃপর তিনি বললেনঃ যখন গণহত্যা চলবে, এমনকি মদীনা মুনাওয়ারা রক্তে রঞ্জিত হবে, তখন তোমার কি হাল হবে? حجار ة الزبت দ্বারা واقعة خرة বুঝানো হয়েছে)। আমি বললামঃ যা কিছু আল্লাহ ও তাঁর রাসূল পছন্দ করবেন। তিনি বললেনঃ তুমি যাদের সাথে আছ তারাই সত্য, মিলেমিশে থাকা। আবু যার (রাযিঃ) বললেনঃ আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল। যারা এরূপ করবে, আমি কি তলোয়ার দ্বারা তাদের হত্যা করবো না? তিনি বললেনঃ তুমি যদি এরূপ কর, তাহলে বিপর্যয়কারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে, বরং আপন ঘরে প্রবেশ করবে। আমি বললামঃ যদি তারা আমার ঘরে ঢুকে পড়ে, (তখন কি করবো)? তিনি বললেনঃ যদি তোমার তরবারীর ধারালো জ্যোতির ভয় হয়, তাহলে আপন চাদর মুড়ি দিয়ে ঘরে বসে থাকবে (এবং নিহত হয়ে যাবে)। সে হবে হত্যাকারী। সে তারও তোমার গোনাহের ভার বহন করবে এবং জাহান্নামী হয়ে যাবে।
بَاب التَّثَبُّتِ فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنِ الْمُشَعَّثِ بْنِ طَرِيفٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " كَيْفَ أَنْتَ يَا أَبَا ذَرٍّ وَمَوْتًا يُصِيبُ النَّاسَ حَتَّى يُقَوَّمَ الْبَيْتُ بِالْوَصِيفِ " . يَعْنِي الْقَبْرَ قُلْتُ مَا خَارَ اللَّهُ لِي وَرَسُولُهُ - أَوْ قَالَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ - قَالَ " تَصَبَّرْ " . قَالَ " كَيْفَ أَنْتَ وَجُوعًا يُصِيبُ النَّاسَ حَتَّى تَأْتِيَ مَسْجِدَكَ فَلاَ تَسْتَطِيعَ أَنْ تَرْجِعَ إِلَى فِرَاشِكَ وَلاَ تَسْتَطِيعَ أَنْ تَقُومَ مِنْ فِرَاشِكَ إِلَى مَسْجِدِكَ " . قَالَ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ أَوْ - مَا خَارَ اللَّهُ لِي وَرَسُولُهُ - قَالَ " عَلَيْكَ بِالْعِفَّةِ " . ثُمَّ قَالَ " كَيْفَ أَنْتَ وَقَتْلاً يُصِيبُ النَّاسَ حَتَّى تُغْرَقَ حِجَارَةُ الزَّيْتِ بِالدَّمِ " . قُلْتُ مَا خَارَ اللَّهُ لِي وَرَسُولُهُ . قَالَ " الْحَقْ بِمَنْ أَنْتَ مِنْهُ " . قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ آخُذُ بِسَيْفِي فَأَضْرِبَ بِهِ مَنْ فَعَلَ ذَلِكَ قَالَ " شَارَكْتَ الْقَوْمَ إِذًا وَلَكِنِ ادْخُلْ بَيْتَكَ " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَإِنْ دُخِلَ بَيْتِي قَالَ " إِنْ خَشِيتَ أَنْ يَبْهَرَكَ شُعَاعُ السَّيْفِ فَأَلْقِ طَرَفَ رِدَائِكَ عَلَى وَجْهِكَ فَيَبُوءَ بِإِثْمِهِ وَإِثْمِكَ فَيَكُونَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ " .


বর্ণনাকারী: