কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

৩৩. স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায়

হাদীস নং: ৩৯২০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯২০
স্বপ্নের তা'বীর প্রসঙ্গে
৩৯২০। আবু বাকর ইব্‌ন আবু শায়বা (রাহঃ)..... খারাশা ইবন হুর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি মদীনায় পৌঁছলাম। মসজিদে নববীতে প্রবীনদের এক মজলিসে বসলাম। এ সময় লাঠিতে ভর করে একজন প্রবীণ লোক আসলেন। লোকেরা বললঃ যে ব্যক্তি কোন জান্নাতী লোক দেখে খুশী হতে চায়, সে যেন এ ব্যক্তির দিকে তাকায়। তিনি খুঁটির পেছনে দাঁড়িয়ে দুই রাক'আত সালাত আদায় করেন। আমি দাঁড়িয়ে গেলাম এবং তাঁকে বললামঃ লোকেরা এই এই বলেছে। তিনি বললেনঃ আলহামদু লিল্লাহে জান্নাত আল্লাহর এবং তিনি যাকে চান তাকে তাতে প্রবেশ করাবেন। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর যামানায় একটি স্বপ্ন দেখেছিলাম। আমি দেখলাম, এক ব্যক্তি আমার নিকট এলো। সে আমাকে বললঃ চল। আমি তার সাথে গেলাম। সে আমাকে একটি বিরাট রাস্তায় পৌঁছে দিল। আমার বামদিকে একটি রাস্তা দেখান হল। আমি সে পথ ধরে অগ্রসর হতে চাইলাম। সে বললঃ এ পথে তুমি যেতে পারবে না। এরপর আমার ডানে একটি রাস্তা দেখানো হল। আমি সেই পথে অগ্রসর হলাম। অবশেষে যখন আমি একটি পিচ্ছিল পাহাড়ে পৌছলাম, তখন সে আমার হাত ধরল এবং আমাকে ধাক্কা দিল, ফলে আমি এর চূড়ায় পৌঁছে গেলাম কিন্তু আমি সেখানে স্থির হয়ে থাকতে পারলাম না। তখন হঠাৎ দেখলাম লোহার একটি খুটি। এর মাথায় রয়েছে একটি সোনার হাতল। সে (ফিরিশতা) আমার হাত আঁকড়ে ধরেছে। আমি বললামঃ হ্যাঁ সে তখন খুঁটিতে তার পা দ্বারা আঘাত করল, আর আমি হাতলটি দৃঢ়ভাবে ধরে ফেললাম। সে বললঃ আমি ঘটনাটি নবী (ﷺ) কে অবহিত করলাম। তখন তিনি বললেনঃ তুমি উত্তম স্বপ্ন দেখেছ। বিরাট রাস্তাটি হলো হাশরের ময়দান। তোমার বা দিকে যে রাস্তাটি দৃষ্টিগোচর হয়েছিল, তা হলো জাহান্নামীদের রাস্তা। তুমি জাহান্নামী নও। তোমার ডান দিকে যে রাস্তা দেখা গিয়েছিল তা হলো জান্নাতীদের রাস্তা। পিচ্ছিল পাহাড়টি হলো শহীদদের মনযিল। যে হাতলটি তুমি আঁকড়ে ধরে ছিলে, সেটি হলো ইসলামের হাতল। অতএব তুমি মৃত্যু পর্যন্ত এটি আঁকড়ে ধরে রাখবে।

আশা করি আমি জান্নাতীবাসী হবো। স্বপ্নটি দেখেছিলেন আব্দুল্লাহ ইবন সালাম (রাযিঃ) ।
بَاب تَعْبِيرِ الرُّؤْيَا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى الأَشْيَبُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ خَرَشَةَ بْنِ الْحُرِّ، قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَجَلَسْتُ إِلَى أَشْيِخَةٍ فِي مَسْجِدِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَجَاءَ شَيْخٌ يَتَوَكَّأُ عَلَى عَصًا لَهُ فَقَالَ الْقَوْمُ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَذَا ‏.‏ فَقَامَ خَلْفَ سَارِيَةٍ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ لَهُ قَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ كَذَا وَكَذَا ‏.‏ قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الْجَنَّةُ لِلَّهِ يُدْخِلُهَا مَنْ يَشَاءُ وَإِنِّي رَأَيْتُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رُؤْيَا رَأَيْتُ كَأَنَّ رَجُلاً أَتَانِي فَقَالَ لِيَ انْطَلِقْ ‏.‏ فَذَهَبْتُ مَعَهُ فَسَلَكَ بِي فِي مَنْهَجٍ عَظِيمٍ فَعُرِضَتْ عَلَىَّ طَرِيقٌ عَلَى يَسَارِي فَأَرَدْتُ أَنْ أَسْلُكَهَا فَقَالَ إِنَّكَ لَسْتَ مِنْ أَهْلِهَا ‏.‏ ثُمَّ عُرِضَتْ عَلَىَّ طَرِيقٌ عَنْ يَمِينِي فَسَلَكْتُهَا حَتَّى إِذَا انْتَهَيْتُ إِلَى جَبَلٍ زَلَقٍ فَأَخَذَ بِيَدِي فَزَجَلَ بِي فَإِذَا أَنَا عَلَى ذُرْوَتِهِ فَلَمْ أَتَقَارَّ وَلَمْ أَتَمَاسَكْ وَإِذَا عَمُودٌ مِنْ حَدِيدٍ فِي ذُرْوَتِهِ حَلْقَةٌ مِنْ ذَهَبٍ فَأَخَذَ بِيَدِي فَزَجَّلَ بِي حَتَّى أَخَذْتُ بِالْعُرْوَةِ فَقَالَ اسْتَمْسَكْتَ قُلْتُ نَعَمْ فَضَرَبَ الْعَمُودَ بِرِجْلِهِ ‏.‏ فَاسْتَمْسَكْتُ بِالْعُرْوَةِ ‏.‏ فَقَالَ قَصَصْتُهَا عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ قَالَ ‏ "‏ رَأَيْتَ خَيْرًا أَمَّا الْمَنْهَجُ الْعَظِيمُ فَالْمَحْشَرُ وَأَمَّا الطَّرِيقُ الَّتِي عُرِضَتْ عَنْ يَسَارِكَ فَطَرِيقُ أَهْلِ النَّارِ وَلَسْتَ مِنْ أَهْلِهَا وَأَمَّا الطَّرِيقُ الَّتِي عُرِضَتْ عَنْ يَمِينِكَ فَطَرِيقُ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَأَمَّا الْجَبَلُ الزَّلَقُ فَمَنْزِلُ الشُّهَدَاءِ وَأَمَّا الْعُرْوَةُ الَّتِي اسْتَمْسَكْتَ بِهَا فَعُرْوَةُ الإِسْلاَمِ فَاسْتَمْسِكْ بِهَا حَتَّى تَمُوتَ ‏"‏ ‏.‏ فَأَنَا أَرْجُو أَنْ أَكُونَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَإِذَا هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ ‏.‏
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
rabi
বর্ণনাকারী:
সুনানে ইবনে মাজা - হাদীস নং ৩৯২০ | মুসলিম বাংলা