কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

৩৩. স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায়

হাদীস নং: ৩৯১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯১৮
স্বপ্নের তা'বীর প্রসঙ্গে
৩৯১৮। ইয়াকূব ইব্‌ন হুমায়দ ইব্‌ন কাসিব মাদানী (রাহঃ)..... ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি উহুদ পাহাড়ের দিক থেকে নবী (ﷺ)-এর নিকট এসে বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ(ﷺ)! আমি স্বপ্নে একটি ছায়া থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় ঘি ও মধু পড়তে দেখেছি এবং লোকদেরকে তা থেকে তুলে নিতে দেখেছি, কেউ কম নিচ্ছে এবং কেউ বেশী নিচ্ছে। আর আমি স্বপ্নে একটি দেখেছি রশি দেখেছি, যা আসমানে গিয়ে মিশেছে। আমি দেখেছি, আপনি তা ধরলেন এবং তা ধরে উপরে উঠে গেলেন। আপনার পর আরেকজন তা ধরল এবং তা ধরে সেও উপরে উঠে গেল। তারপর তা আরেকজন ধরল এবং তা ধরে সেও উপরে উঠে গেল। তারপর অন্য একজন তা ধরলো এবং রশিটি ছিঁড়ে গেল। পুনরায় তা জোড়া লেগে গেল। সেও তা ধরে উপরে উঠে গেল। তখন আবু বকর (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আমাকে এ স্বপ্নের তা'বীর করার অনুমতি দিন। তিনি বললেন, তুমি এর তা'বীর কর। তিনি আবু বকর (রাযিঃ) বললেনঃ ছায়াটি হল ইসলাম। ছায়া থেকে যে ঘি ও মধু ফোঁটায় ফোঁটায় পড়েছে, তা হল কুরআন এবং কুরআনের মাধুর্য বা তার কোমলতা। মানুষ তা থেকে কুড়িয়ে নিচ্ছে। কাজেই গ্রহণকারী কুরআন থেকে কম-বেশী গ্রহণ করছে। আর যে রশিটি আসমানে গিয়ে মিলেছে, তা হলো আপনি যে হকের উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছেন। আপনি রশিটি ধরলেন এবং তা আপনাকে উপরে উঠিয়ে নিল। আপনার পর তা আরেকজন ধরবে এবং রশিটি তাকে নিয়ে উপরে উঠে যাবে। তারপর আরেকজন ধরবে, সেও তা ধরে উপরে উঠে যাবে। এরপর আরেকজন তা ধরবে এবং রশি ছিঁড়ে যাবে। আবার তা জোড়া লাগিয়ে দেওয়া হবে। এবং সে তা ধরে উপরে উঠে যাবে। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি তো কিছু ঠিক বলেছ, আর কিছু ভুল বলেছ। আবু বকর (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ) ! আমি আপনাকে কসম করে বলছিঃ আপনি আমাকে বলে দিন, আমি যা ঠিক করেছি এবং যা ভুল করেছি। নবী (ﷺ) বললেনঃ হে আবু বকর। তুমি কসম করো না। মুহাম্মাদ ইবন ইয়াহইয়া (রাহঃ)..... ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এই মর্মে হাদীস বর্ণনা করতেন যে, এক ব্যক্তি রাসূলাল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! আমি আসমান যমীনের মাঝে একটি ছায়া থেকে ঘি ও মধু ফোঁটায় ফোঁটায় পড়তে স্বপ্নে দেখেছি। পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
بَاب تَعْبِيرِ الرُّؤْيَا
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَتَى النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَجُلٌ مُنْصَرَفَهُ مِنْ أُحُدٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي رَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ ظُلَّةً تَنْطِفُ سَمْنًا وَعَسَلاً وَرَأَيْتُ النَّاسَ يَتَكَفَّفُونَ مِنْهَا فَالْمُسْتَكْثِرُ وَالْمُسْتَقِلُّ وَرَأَيْتُ سَبَبًا وَاصِلاً إِلَى السَّمَاءِ رَأَيْتُكَ أَخَذْتَ بِهِ فَعَلَوْتَ بِهِ ثُمَّ أَخَذَ بِهِ رَجُلٌ بَعْدَكَ فَعَلاَ بِهِ ثُمَّ أَخَذَ بِهِ رَجُلٌ بَعْدَهُ فَعَلاَ بِهِ ثُمَّ أَخَذَ بِهِ رَجُلٌ بَعْدَهُ فَانْقَطَعَ بِهِ ثُمَّ وُصِلَ لَهُ فَعَلاَ بِهِ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ دَعْنِي أَعْبُرْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ اعْبُرْهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَمَّا الظُّلَّةُ فَالإِسْلاَمُ وَأَمَّا مَا يَنْطِفُ مِنْهَا مِنَ الْعَسَلِ وَالسَّمْنِ فَهُوَ الْقُرْآنُ حَلاَوَتُهُ وَلِينُهُ وَأَمَّا مَا يَتَكَفَّفُ مِنْهُ النَّاسُ فَالآخِذُ مِنَ الْقُرْآنِ كَثِيرًا وَقَلِيلاً وَأَمَّا السَّبَبُ الْوَاصِلُ إِلَى السَّمَاءِ فَمَا أَنْتَ عَلَيْهِ مِنَ الْحَقِّ أَخَذْتَ بِهِ فَعَلاَ بِكَ ثُمَّ يَأْخُذُهُ رَجُلٌ مِنْ بَعْدِكَ فَيَعْلُو بِهِ ثُمَّ آخَرُ فَيَعْلُو بِهِ ثُمَّ آخَرُ فَيَنْقَطِعُ بِهِ ثُمَّ يُوَصَّلُ لَهُ فَيَعْلُو بِهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَصَبْتَ بَعْضًا وَأَخْطَأْتَ بَعْضًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو بَكْرٍ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَتُخْبِرَنِّي بِالَّذِي أَصَبْتُ مِنَ الَّذِي أَخْطَأْتُ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ لاَ تُقْسِمْ يَا أَبَا بَكْرٍ ‏"‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُ أَنَّ رَجُلاً، أَتَى رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ رَأَيْتُ ظُلَّةً بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ تَنْطِفُ سَمْنًا وَعَسَلاً فَذَكَرَ الْحَدِيثَ نَحْوَهُ ‏.‏
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
সুনানে ইবনে মাজা - হাদীস নং ৩৯১৮ | মুসলিম বাংলা