আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৪০
১৯৫৭. খুমুস ইমামের জন্য, তাঁর ইখতিয়ার রয়েছে আত্মীয়গণের মধ্যে যাকে ইচ্ছা দিবেন, যাকে ইচ্ছা দিবেন না। এর দলীল এই যে, নবী (ﷺ) খায়বারের খুমুস থেকে বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিবকেই দিয়েছেন। উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাধারণভাবে সকল কুরাইশকে দেননি এবং যে ব্যক্তি অধিক অভাবগ্রস্থ তার উপর কোন আত্মীয়কে অগ্রাধিকার দেননি। যদিও তিনি তাদের দিয়েছেন তা এ হিসেবে যে, তারা তার নিকট তার অভাবের কথা তাকে জানিয়েছেন আর এ হিসেবে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর পক্ষ অবলম্বন করায় তারা স্বগোত্র ও স্বজনদের দ্বারা অধিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন।
২৯১৯। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... জুবাইর ইবনে মুতঈম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এবং উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট গেলাম এবং বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি বনু মুত্তালিবকে দিয়েছেন, আমাদের বাদ দিয়েছেন। অথচ আমরা এবং তারা আপনার সাথে একই পর্যায়ে সম্পর্কিত। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, বনু মুত্তালিব ও বনু হাশিম একই পর্যায়ের।
লাঈস (রাহঃ) বলেন, ইউনুস (রাহঃ) এ হাদীসটিতে আমাকে অতিরিক্ত বলেছেন যে, জুবাইর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বনু আব্দ শামস ও বনু নাওফলকে অংশ দেননি। ইবনে ইসহাক (রাহঃ) বলেন, আব্দ শামস, হাশিম ও মুত্তালিব একই মায়ের গর্ভজাত সহোদর ভাই। তাদের মা আতিকা বিনতে মুররা আর নাওফল তাদের বৈমাত্রেয় ভাই ছিলেন।
লাঈস (রাহঃ) বলেন, ইউনুস (রাহঃ) এ হাদীসটিতে আমাকে অতিরিক্ত বলেছেন যে, জুবাইর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বনু আব্দ শামস ও বনু নাওফলকে অংশ দেননি। ইবনে ইসহাক (রাহঃ) বলেন, আব্দ শামস, হাশিম ও মুত্তালিব একই মায়ের গর্ভজাত সহোদর ভাই। তাদের মা আতিকা বিনতে মুররা আর নাওফল তাদের বৈমাত্রেয় ভাই ছিলেন।


বর্ণনাকারী: