আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
হাদীস নং: ২৯১২
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৩৩
১৯৫৫. যিনি বলেন, এক পঞ্চমাংশ মুসলিমগণের প্রয়োজন মিটানোর জন্য।
২৯১২। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব (রাহঃ) .... যাহদাম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আবু মুসা (রাযিঃ)- এর কাছে ছিলাম, এ সময় মুরগীর (গোশত) সম্বন্ধে আলোচনা উঠল। তথায় তাইমুল্লাহ গোত্রের এমন লাল বর্ণের এক ব্যক্তিও উপস্থিত ছিল, যেন সে মাওয়ালী (রোমক ক্রীতদাস) -দের একজন। তাকে খাওয়ার জন্য ডাকলেন। তখন সে বলে উঠল, আমি মুরগীকে এমন বস্তু খেতে দেখেছি, যাতে আমার ঘৃণা জন্মেছে। তাই আমি শপথ করেছি যে, তা খাব না। আবু মুসা (রাযিঃ) বললেন, আস, আমি তোমাকে এ সম্পর্কে হাদীস শুনাচ্ছি। আমি কয়েকজন আশআরী ব্যক্তির পক্ষে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট সাওয়ারী চাইতে যাই। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের সাওয়ারী দিব না এবং আমার কাছে তোমাদের দেওয়ার মত কোন সাওয়ারীও নেই। এ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট গনীমতের কয়েকটি উট আনা হল।
তখন তিনি আমাদের খোজ নিলেন এবং বললেন, সেই আশআরী লোকেরা কোথায়? তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উচু সাদা চুলওয়ালা পাঁচটি উট আমাদের দিতে বললেন। যখন আমরা উট নিয়ে রওয়ানা হলাম আর বললাম, আমরা কী করলাম? আমাদের মঙ্গল হবে না। আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট ফিরে এলাম এবং বললাম, আমরা আপনার নিকট সাওয়ারীর জন্য আবেদন করেছিলাম, তখন আপনি শপথ করে বলেছিলেন, আমাদের সাওয়ারী দিবেন না। আপনি তা ভুলে গিয়েছিলেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি তোমাদের সাওয়ারী দেইনি বরং আল্লাহ তাআলাই তোমাদের সাওয়ারী দান করেছেন। আল্লাহর কসম, আমার অবস্থা এই যে, ইনশাআল্লাহ কোন বিষয়ে আমি কসম করি এবং তার বিপরীতটি মঙ্গলজনক মনে করি, তখন সেই মঙ্গলজনকটি আমি করি এবং কাফফারা দিয়ে কসম থেকে মুক্ত হই।
তখন তিনি আমাদের খোজ নিলেন এবং বললেন, সেই আশআরী লোকেরা কোথায়? তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উচু সাদা চুলওয়ালা পাঁচটি উট আমাদের দিতে বললেন। যখন আমরা উট নিয়ে রওয়ানা হলাম আর বললাম, আমরা কী করলাম? আমাদের মঙ্গল হবে না। আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট ফিরে এলাম এবং বললাম, আমরা আপনার নিকট সাওয়ারীর জন্য আবেদন করেছিলাম, তখন আপনি শপথ করে বলেছিলেন, আমাদের সাওয়ারী দিবেন না। আপনি তা ভুলে গিয়েছিলেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি তোমাদের সাওয়ারী দেইনি বরং আল্লাহ তাআলাই তোমাদের সাওয়ারী দান করেছেন। আল্লাহর কসম, আমার অবস্থা এই যে, ইনশাআল্লাহ কোন বিষয়ে আমি কসম করি এবং তার বিপরীতটি মঙ্গলজনক মনে করি, তখন সেই মঙ্গলজনকটি আমি করি এবং কাফফারা দিয়ে কসম থেকে মুক্ত হই।
بَابٌ من قال وَمِنَ الدَّلِيلِ عَلَى أَنَّ الخُمُسَ لِنَوَائِبِ المُسْلِمِينَ
3133 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الوَهَّابِ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، قَالَ: وَحَدَّثَنِي القَاسِمُ بْنُ عَاصِمٍ الكُلَيْبِيُّ، - وَأَنَا لِحَدِيثِ القَاسِمِ أَحْفَظُ - عَنْ زَهْدَمٍ، قَالَ: كُنَّا عِنْدَ أَبِي مُوسَى، فَأُتِيَ - ذَكَرَ دَجَاجَةً -، وَعِنْدَهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي تَيْمِ اللَّهِ أَحْمَرُ كَأَنَّهُ مِنَ المَوَالِي، فَدَعَاهُ لِلطَّعَامِ، فَقَالَ: إِنِّي رَأَيْتُهُ يَأْكُلُ شَيْئًا فَقَذِرْتُهُ، فَحَلَفْتُ لاَ آكُلُ، فَقَالَ: هَلُمَّ فَلْأُحَدِّثْكُمْ عَنْ ذَاكَ، إِنِّي أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نَفَرٍ مِنَ الأَشْعَرِيِّينَ نَسْتَحْمِلُهُ، فَقَالَ: «وَاللَّهِ لاَ أَحْمِلُكُمْ، وَمَا عِنْدِي مَا أَحْمِلُكُمْ» ، وَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَهْبِ إِبِلٍ، فَسَأَلَ عَنَّا فَقَالَ: «أَيْنَ النَّفَرُ الأَشْعَرِيُّونَ؟» ، فَأَمَرَ لَنَا بِخَمْسِ ذَوْدٍ غُرِّ الذُّرَى، فَلَمَّا انْطَلَقْنَا قُلْنَا: مَا صَنَعْنَا؟ لاَ يُبَارَكُ لَنَا، فَرَجَعْنَا إِلَيْهِ، فَقُلْنَا: إِنَّا سَأَلْنَاكَ أَنْ تَحْمِلَنَا، فَحَلَفْتَ أَنْ لاَ تَحْمِلَنَا، أَفَنَسِيتَ؟ [ص:90] قَالَ: «لَسْتُ أَنَا حَمَلْتُكُمْ، وَلَكِنَّ اللَّهَ حَمَلَكُمْ، وَإِنِّي وَاللَّهِ - إِنْ شَاءَ اللَّهُ - لاَ أَحْلِفُ عَلَى يَمِينٍ، فَأَرَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا، إِلَّا أَتَيْتُ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ، وَتَحَلَّلْتُهَا»


বর্ণনাকারী: