আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩১১০
১৯৪৫. নবী (ﷺ)-এর বর্ম, লাঠি, তরবারী, পেয়ালা ও মোহর এবং তার পরবর্তী খলীফাগণ সে সব থেকে যা ব্যবহার করেছেন, আর তা যার বণ্টনের উল্লেখ করা হয়নি এবং তার চুল, পাদুকা ও পাত্র নবী (ﷺ)- এর ওফাতের পর তার সাহাবীগণ ও অন্যরা (বরকত হাসিলে) শরীক ছিলেন।
২৮৯১। সাঈদ ইবনে মুহাম্মাদ জারমী (রাহঃ) .... আলী ইবনে হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, যখন তারা ইয়াযীদ ইবনে মুআবিয়ার নিকট থেকে হুসাইন (রাযিঃ)- এর শাহাদাতের পর মদীনায় আসলেন, তখন তাঁর সঙ্গে মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) মিলিত হলেন এবং বললেন, আপনার কি আমার কাছে কোন প্রয়োজন আছে? তবে তা বলুন। তখন আমি তাঁকে বললাম, না। যখন মিসওয়ার (রাযিঃ) বললেন, আপনি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর তরবারীটি দিবেন? আমার আশঙ্কা হয়, লোকেরা আপনাকে কাবু করে তা ছিনিয়ে নিবে। আল্লাহর কসম! আপনি যদি আমাকে এটি দেন, তবে আমার জীবন থাকা পর্যন্ত কেউ আমার নিকট থেকে তা নিতে পারবে না।
একবার আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) ফাতিমা (রাযিঃ) থাকা অবস্থায় আবু জাহল কন্যাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দেয়। আমি তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে তাঁর মিঁম্বারে দাঁড়িয়ে লোকদের এ খুতবা দিতে শুনেছি, আর তখন আমি সাবালক। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (উক্ত ভাষণে) বললেন, ‘ফাতিমা আমার থেকে (অতি আদরের)। আমি আশঙ্কা করছি সে দ্বীনের ব্যাপারে পরীক্ষার সম্মুখীন হয়ে পড়ে।’ তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বনু আব্দে শামস গোত্রের এক জামাতার প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি তাঁর জামাতা সম্পর্কে প্রশংসা করেন এবং বলেন, সে আমার সঙ্গে যা বলেছে, তা সত্য বলেছে, আমার সঙ্গে যে ওয়াদা করেছে, তা পূরণ করেছে। আমি হালালকে হারামকারী নই এবং হারামকে হালালকারী নই। কিন্তু আল্লাহর কসম! আল্লাহর রাসূলের কন্যা এবং আল্লাহর শত্রুর কন্যা একত্রিত হতে পারে না।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন