আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪- গোসলের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৯২
২০২। স্ত্রীর অঙ্গ থেকে কিছু লাগলে ধুয়ে ফেলা
২৮৮। আবু মা’মার (রাহঃ) .... যায়দ ইবনে খালিদ জুহানী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলেনঃ স্বামী-স্ত্রী সংগত হলে যদি মনি বের না হয় (তখন কি করবে)? উসমান (রাযিঃ) বললেনঃ নামাযের উযুর মত উযু করবে এবং লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলবে। উসমান (রাযিঃ) বলেনঃ আমি এটা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শুনেছি। এরপর আলী ইবনে আবি তালিব, যুবাইর ইবনুল আওয়াম, তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ্ ও উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তাঁরা সবাই ঐ একই জবাব দিয়েছেন। আবু সালামা (রাহঃ) আবু আয়্যূব (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি [আবু আয়্যূব (রাযিঃ)] এ কথা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শুনেছেন।
باب غَسْلِ مَا يُصِيبُ مِنْ فَرْجِ الْمَرْأَةِ
292 - حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَارِثِ، عَنِ الحُسَيْنِ، قَالَ: يَحْيَى، وَأَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَسَارٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ زَيْدَ بْنَ خَالِدٍ الجُهَنِيَّ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَأَلَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ فَقَالَ: أَرَأَيْتَ إِذَا جَامَعَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ فَلَمْ يُمْنِ؟ قَالَ: عُثْمَانُ: «يَتَوَضَّأُ كَمَا يَتَوَضَّأُ لِلصَّلاَةِ وَيَغْسِلُ ذَكَرَهُ» قَالَ عُثْمَانُ: سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلْتُ عَنْ ذَلِكَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، وَالزُّبَيْرَ بْنَ العَوَّامِ، وَطَلْحَةَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ، وَأُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ - فَأَمَرُوهُ بِذَلِكَ. قَالَ: يَحْيَى، وَأَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا أَيُّوبَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, বীর্যপাতবিহীন স্ত্রী সহবাসেও গোসল ফরয হয়। মুসলিম শরীফে হযরত আবু মুসা আশআ’রী রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদীসে আছে যে, বীর্যপাতবিহীন স্ত্রী সহবাসে গোসল ফরয হওয়া বা না হওয়ার বিষয়ে মুহাজির এবং আনসারদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে তিনি হযরত আয়েশা রা.-এর নিকট বিষয়টি জিজ্ঞেস করলেন। জবাবে তিনি বললেন যে, শুধু সহবাস হলেই গোসল ফরয হবে। (মুসলিম-৬৭৮) এ থেকে বুঝা যায় যে, এ বিষয়টি নিয়ে সাহাবায়ে কিরামের শুরু যুগে মতবিরোধ থাকলেও তাঁদের সর্বশেষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো গোসল করতে হবে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/১৬১) সুতরাং হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত যিনি এ বিষয়ে অন্য যে কারো চেয়ে ভালো জানতেন। সুতরাং কোন সাহাবার ভিন্ন মত থাকলেও হযরত আয়েশা রা.-এর মত ও বর্ণনা অগ্রাধিকারের জোর দাবী রাখে।
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)