কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

২৮. পানীয় দ্রব্যাদীর বিধান

হাদীস নং: ৩৪১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪১৯
মশকের মুখ উল্টিয়ে পানি পান করা
৩৪১৯। মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রাহঃ)...... ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মশকের মুখ উল্টিয়ে পানি পান করতে নিষেধ করেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর এই নিষেধাজ্ঞার পর এক ব্যক্তি রাতের বেলা উঠে মুখ উল্টে পানি পান করতে যাচ্ছিল। এমন সময় তা থেকে একটি সাপ বেরিয়ে আসে।
بَاب اخْتِنَاثِ الْأَسْقِيَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا زَمْعَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ وَهْرَامَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنِ اخْتِنَاثِ الأَسْقِيَةِ وَإِنَّ رَجُلاً بَعْدَمَا نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنْ ذَلِكَ قَامَ مِنَ اللَّيْلِ إِلَى سِقَاءٍ فَاخْتَنَثَهُ فَخَرَجَتْ عَلَيْهِ مِنْهُ حَيَّةٌ ‏.‏

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীছটিতে কলস বা মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করতে নিষেধ করা হয়েছে। কোনও কোনও ফকীহ এর কারণ বলেছেন এই যে, এভাবে পানি পান করলে কলসের ভেতর পানকারীর নিঃশ্বাস পড়তে পারে। পড়তে পারে তার পেট থেকে উঠে আসা গ্যাসও। এতে পানি অরুচিকর হয়ে যায়। সকলের সে পানি পান করার রুচি হবে না। তাই এভাবে পানি পান করা উচিত নয়।

তাছাড়া এভাবে পানি পান করলে নিজেরও ক্ষতির আশঙ্কা আছে। হয়তো অনেক বেশি পানি পড়ে তার নাকে-মুখে চলে যাবে। গলায় আটকে যেতে পারে। তাছাড়া কলসের ভেতর পোকা-মাকড়ও থাকতে পারে, যা তার মুখে চলে যাবে। এ বিষয়ে একটি হাদীছও আছে।
لَقَدْ شَرِبَ رَجُلٌ مِنْ فَم سِقَاء، فَانْسَابَ فِي بَطْنِهِ جَانٌّ، فَنَهَى رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ اخْتِنَاث الْأَسْقِيَةِ
‘এক ব্যক্তি মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করল। তখন তার পেটে একটা সাপ ঢুকে গেল। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মশক উল্টে তার মুখ থেকে পানি পান করতে নিষেধ করে দিলেন।’(মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৪১২৭: বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ১৪৬৬২)

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

কলস, মশক ইত্যাদির মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করা উচিত নয়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)