কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
২৮. পানীয় দ্রব্যাদীর বিধান
হাদীস নং: ৩৪১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪১৩
রূপার পাত্রে পান করা
৩৪১৩। মুহাম্মাদ ইব্ন রুমহ (রাহঃ)...... উম্মে সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রূপার পাত্রে পান করে, সে নিজের পেটে গড়গড় করে জাহান্নামের আগুন ঢেলে দেয়।
بَاب الشُّرْبِ فِي آنِيَةِ الْفِضَّةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " إِنَّ الَّذِي يَشْرَبُ فِي إِنَاءِ الْفِضَّةِ إِنَّمَا يُجَرْجِرُ فِي بَطْنِهِ نَارَ جَهَنَّمَ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
‘পেটে জাহান্নামের আগুন ঢোকায়’-এর অর্থ এটা তার জাহান্নামের আগুনে শাস্তিপ্রাপ্ত হওয়ার কারণ হবে। যেমন এতিমদের মাল খাওয়া সম্পর্কে কুরআন মাজীদে ইরশাদ-
إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَىٰ ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ نَارًا
‘নিশ্চয়ই যারা এতিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করে, তারা নিজেদের পেটে কেবল আগুন ভরতি করে।’ (সূরা নিসা (৪), আয়াত ১০) এর মানে এতিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করলে আখিরাতে জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে।
এ হাদীছেও সে কথাই বোঝানো উদ্দেশ্য। এটা কঠিন সতর্কবাণী। এর দ্বারা বোঝা যায় সোনা-রুপার পাত্র ব্যবহার করা কবীরা গুনাহ। কাজেই এর থেকে বিরত থাকা একান্ত জরুরি।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
সোনা-রুপার যে-কোনও পাত্র ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম।
إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَىٰ ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ نَارًا
‘নিশ্চয়ই যারা এতিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করে, তারা নিজেদের পেটে কেবল আগুন ভরতি করে।’ (সূরা নিসা (৪), আয়াত ১০) এর মানে এতিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করলে আখিরাতে জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে।
এ হাদীছেও সে কথাই বোঝানো উদ্দেশ্য। এটা কঠিন সতর্কবাণী। এর দ্বারা বোঝা যায় সোনা-রুপার পাত্র ব্যবহার করা কবীরা গুনাহ। কাজেই এর থেকে বিরত থাকা একান্ত জরুরি।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
সোনা-রুপার যে-কোনও পাত্র ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
