আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
হাদীস নং: ২৮৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৮৬
১৯৩৮. জিহাদ থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় যা বলবে
২৮৬৮। আলী (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি ও আবু তালহা (রাযিঃ) নবী (ﷺ)- এর সঙ্গে চলছিলেন। আর নবী (ﷺ)- এর সঙ্গে সাফিয়্যা (রাযিঃ)-ও ছিলেন। তিনি তাঁকে নিজ সাওয়ারীতে তাঁর পিছনে বসিয়ে ছিলেন। পথিমধ্যে এক জায়গায় উটনীটির পা পিছলিয়ে গেল। এতে নবী (ﷺ) ও সাফিয়্যা (রাযিঃ) ছিটকে পড়ে গেলেন। আর আবু তালহা (রাযিঃ) তাঁর উট থেকে তাড়াতাড়ি নেমে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে এসে বললেন, ‘ইয়া নবী আল্লাহ! আল্লাহ তাআলা আমাকে আপনার জন্য কুরবান করুন। আপনার কি কোন আঘাত লেগেছে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, না। তবে তুমি মহিলাটির খোঁজ নাও।’
আবু তালহা (রাযিঃ) একখানা কাপড় দিয়ে মুখমণ্ডল ঢেকে তাঁর কাছে গেলেন আর সেই কাপড় দিয়ে তাঁকে ঢেকে দিলেন। তখন সাফিয়্যা (রাযিঃ) উঠে দাঁড়ালেন। তারপর তিনি আবু তালহা (রাযিঃ) তাঁদের উভয়ের জন্য সাওয়ারীটি উত্তমরূপে বাঁধলেন। আর তাঁরা উভয়ে (তার উপর) আরোহণ করে চলতে শুরু করলেন। অবশেষে তাঁরা যখন মদীনার উপকন্ঠে পৌঁছলেন অথবা বর্ণনাকারী বলেন, যখন মদীনার নিকটবর্তী হলেন, তখন নবী (ﷺ) এ দু‘আ পড়লেন, ‘আমরা প্রত্যাবর্তকারী, তাওবাকারী, ইবাদাতকারী এবং আমাদের প্রতিপালকের প্রশংসাকারী।’ আর মদীনায় প্রবেশ করা পর্যন্ত তিনি এ দু‘আ পড়তে থাকেন।
আবু তালহা (রাযিঃ) একখানা কাপড় দিয়ে মুখমণ্ডল ঢেকে তাঁর কাছে গেলেন আর সেই কাপড় দিয়ে তাঁকে ঢেকে দিলেন। তখন সাফিয়্যা (রাযিঃ) উঠে দাঁড়ালেন। তারপর তিনি আবু তালহা (রাযিঃ) তাঁদের উভয়ের জন্য সাওয়ারীটি উত্তমরূপে বাঁধলেন। আর তাঁরা উভয়ে (তার উপর) আরোহণ করে চলতে শুরু করলেন। অবশেষে তাঁরা যখন মদীনার উপকন্ঠে পৌঁছলেন অথবা বর্ণনাকারী বলেন, যখন মদীনার নিকটবর্তী হলেন, তখন নবী (ﷺ) এ দু‘আ পড়লেন, ‘আমরা প্রত্যাবর্তকারী, তাওবাকারী, ইবাদাতকারী এবং আমাদের প্রতিপালকের প্রশংসাকারী।’ আর মদীনায় প্রবেশ করা পর্যন্ত তিনি এ দু‘আ পড়তে থাকেন।
باب مَا يَقُولُ إِذَا رَجَعَ مِنَ الْغَزْوِ
3086 - حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ المُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّهُ أَقْبَلَ هُوَ وَأَبُو طَلْحَةَ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَفِيَّةُ مُرْدِفَهَا عَلَى رَاحِلَتِهِ، فَلَمَّا كَانُوا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ عَثَرَتِ النَّاقَةُ، فَصُرِعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالمَرْأَةُ، وَإِنَّ أَبَا طَلْحَةَ - قَالَ: أَحْسِبُ قَالَ: - اقْتَحَمَ عَنْ بَعِيرِهِ، فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ جَعَلَنِي اللَّهُ فِدَاءَكَ هَلْ أَصَابَكَ مِنْ شَيْءٍ؟ قَالَ: «لاَ، وَلَكِنْ عَلَيْكَ بِالْمَرْأَةِ» ، فَأَلْقَى أَبُو طَلْحَةَ ثَوْبَهُ عَلَى وَجْهِهِ، فَقَصَدَ قَصْدَهَا، فَأَلْقَى ثَوْبَهُ عَلَيْهَا، فَقَامَتِ المَرْأَةُ، فَشَدَّ لَهُمَا عَلَى رَاحِلَتِهِمَا فَرَكِبَا، فَسَارُوا حَتَّى إِذَا كَانُوا بِظَهْرِ المَدِينَةِ - أَوْ قَالَ أَشْرَفُوا عَلَى المَدِينَةِ - قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «آيِبُونَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ» ، فَلَمْ يَزَلْ يَقُولُهَا حَتَّى دَخَلَ المَدِينَةَ
