আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৮১
১৯৩৬. প্রয়োজনবোধে জিম্মী অথবা মুসলিম মহিলার চুল দেখা এবং তাদের বিবস্ত্র করা,যখন তারা আল্লাহ তাআলার নাফরমানী করে
২৮৬৩। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে হাওশাব তায়িফী (রাহঃ) .... আবু আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, আর তিনি ছিলেন উসমান (রাযিঃ)- এর সমর্থক। তিনি ইবনে আতিয়্যাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যিনি আলী (রাযিঃ) এর সমর্থক ছিলেন, কোন বস্তু তোমাদের সাথী (আলী রাযিঃ)- কে রক্তপাতে সাহস যুগিয়েছে, তা আমি জানি। আমি তাঁর কাছে শুনেছি, তিনি বলতেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে এবং যুবাইর (ইবনে আওয়াম) (রাযিঃ)- কে প্রেরণ করেছেন, আর বলেছেন, তোমরা খাক বাগান অভিমুখে চলে যাও, সেখানে তোমরা একজন মহিলাকে পাবে, হাতিব তাকে একটি পত্র দিয়েছে।’ আমরা সে বাগানে পৌঁছলাম এবং মহিলাটিকে বললাম, পত্রখানি দাও, সে বলল, (হাতিব) আমাকে কোন পত্র দেয়নি। তখন আমরা বললাম, ‘হয় তুমি পত্র বের করে দাও, নচেৎ আমরা তোমাকে বিবস্ত্র করব।’ তখন সে মহিলা তার কেশের ভাঁজ থেকে পত্রখানা বের করে দিল।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (আমাদের পত্রসহ প্রত্যাবর্তনের পর) হাতিবকে ডেকে পাঠান। তখন সে বলল, ‘আমার ব্যাপারে তাড়াহুড়া করবেন না। আল্লাহর কসম! আমি কোন কুফরী করিনি, আমার হৃদয়ে ইসলামের প্রতি অনুরাগই বর্ধিত হয়েছে। আপনার সাহাবীগণের মধ্যে কেউ এমন নেই, মক্কায় যার সাহায্যকারী আত্মীয়-স্বজন না আছে। যদ্বারা আল্লাহ তাআলা তাঁর পরিবার-পরিজন ধন-সম্পদ রক্ষা করেছেন। আর আমার এমন কেউ নেই। তাই আমি তাদের প্রতি অনুগ্রহ করতে চেয়েছি। (যার বিনিময়ে তারা আমার মাল-আওলাদ হিফাজত করবে।)’
তখন নবী (ﷺ) তাকে সত্যবাদীরূপে স্বীকার করে নিলেন। উমর (রাযিঃ) বললেন, ‘লোকটিকে আমার হাতে ছেড়ে দিন, আমি তার গর্দান উড়িয়ে দেই, সে তো মুনাফিকী করেছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘তুমি জানো কি? অবশ্যই আল্লাহ তাআলা আহলে বদর সম্পর্কে ভালভাবে অবহিত রয়েছেন এবং তাদের সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘তোমরা যেমন ইচ্ছা আমল কর।’ একথাই তাঁকে (আলী রাযিঃ) দুঃসাহসী করেছে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (আমাদের পত্রসহ প্রত্যাবর্তনের পর) হাতিবকে ডেকে পাঠান। তখন সে বলল, ‘আমার ব্যাপারে তাড়াহুড়া করবেন না। আল্লাহর কসম! আমি কোন কুফরী করিনি, আমার হৃদয়ে ইসলামের প্রতি অনুরাগই বর্ধিত হয়েছে। আপনার সাহাবীগণের মধ্যে কেউ এমন নেই, মক্কায় যার সাহায্যকারী আত্মীয়-স্বজন না আছে। যদ্বারা আল্লাহ তাআলা তাঁর পরিবার-পরিজন ধন-সম্পদ রক্ষা করেছেন। আর আমার এমন কেউ নেই। তাই আমি তাদের প্রতি অনুগ্রহ করতে চেয়েছি। (যার বিনিময়ে তারা আমার মাল-আওলাদ হিফাজত করবে।)’
তখন নবী (ﷺ) তাকে সত্যবাদীরূপে স্বীকার করে নিলেন। উমর (রাযিঃ) বললেন, ‘লোকটিকে আমার হাতে ছেড়ে দিন, আমি তার গর্দান উড়িয়ে দেই, সে তো মুনাফিকী করেছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘তুমি জানো কি? অবশ্যই আল্লাহ তাআলা আহলে বদর সম্পর্কে ভালভাবে অবহিত রয়েছেন এবং তাদের সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘তোমরা যেমন ইচ্ছা আমল কর।’ একথাই তাঁকে (আলী রাযিঃ) দুঃসাহসী করেছে।
