আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
হাদীস নং: ২৮৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৭৬
১৯৩৩. বিজয়ের সুসংবাদ দান করা
২৮৫৯। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) .... জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, ‘তুমি কি যুলখালাসা মন্দিরটিকে ধ্বংস করে আমাকে সান্ত্বনা দিবে না? এ ঘরটি খাসআম গোত্রের একটি মন্দির ছিল। যাকে ইয়ামানের কা‘বা বলা হত। এরপর আমি আহমাস গোত্রের দেড়‘শ লোক নিয়ে রওয়ানা হলাম। তাঁরা সবাই নিপুণ অশ্বারোহী ছিলেন। আমি নবী (ﷺ)- কে জানালাম যে, আমি ঘোড়ার উপর স্থির থাকতে পারি না। তখন তিনি আমার বুকে হাত দ্বারা আঘাত করলেন। এমনকি আমি আমার বুকে তার আঙ্গুলির ছাপ দেখতে পেলাম এবং তিনি আমার জন্য দু‘আ করে বললেন, ‘হে আল্লাহ! তাকে ঘোড়ার পিঠে স্থির রাখ এবং তাকে পথপ্রদর্শক ও সুপথপ্রাপ্ত করুন।’
অবশেষে জারীর (রাযিঃ) তথায় গমন করলেন। ঐ মন্দিরিটি ভেঙ্গে দিলেন ও জ্বালিয়ে দিলেন। এরপর নবী (ﷺ)- কে সুসংবাদ প্রদানের জন্য দূত প্রেরণ করলেন। জারীর (রাযিঃ)- এর দূত রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে বললেন, যিনি আপনাকে সত্য দ্বীনসহ প্রেরণ করেছেন, সে সত্তার কসম! আমি ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার নিকট আসিনি, যতক্ষণ না আমি তাকে জ্বালিয়ে কাল উটের ন্যায় করে ছেড়েছি। (অর্থাৎ তা জ্বালিয়ে ছাই করে দিয়েছি)। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আহমাস গোত্রের অশ্বারোহী ও পদাতিক লোকদেল জন্য পাঁচবার বরকতের দু‘আ করলেন। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) বলেন, হাদীসে উল্লেখিত যুলখালাসা অর্থ খাসআম গোত্রের একটি ঘর।
অবশেষে জারীর (রাযিঃ) তথায় গমন করলেন। ঐ মন্দিরিটি ভেঙ্গে দিলেন ও জ্বালিয়ে দিলেন। এরপর নবী (ﷺ)- কে সুসংবাদ প্রদানের জন্য দূত প্রেরণ করলেন। জারীর (রাযিঃ)- এর দূত রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে বললেন, যিনি আপনাকে সত্য দ্বীনসহ প্রেরণ করেছেন, সে সত্তার কসম! আমি ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার নিকট আসিনি, যতক্ষণ না আমি তাকে জ্বালিয়ে কাল উটের ন্যায় করে ছেড়েছি। (অর্থাৎ তা জ্বালিয়ে ছাই করে দিয়েছি)। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আহমাস গোত্রের অশ্বারোহী ও পদাতিক লোকদেল জন্য পাঁচবার বরকতের দু‘আ করলেন। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) বলেন, হাদীসে উল্লেখিত যুলখালাসা অর্থ খাসআম গোত্রের একটি ঘর।
باب الْبِشَارَةِ فِي الْفُتُوحِ
3076 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنِي قَيْسٌ، قَالَ: قَالَ لِي جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلاَ تُرِيحُنِي مِنْ ذِي الخَلَصَةِ» ، وَكَانَ بَيْتًا فِيهِ خَثْعَمُ، يُسَمَّى كَعْبَةَ اليَمَانِيَةِ، فَانْطَلَقْتُ فِي خَمْسِينَ وَمِائَةٍ مِنْ أَحْمَسَ، وَكَانُوا أَصْحَابَ خَيْلٍ، فَأَخْبَرْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنِّي لاَ أَثْبُتُ عَلَى الخَيْلِ، فَضَرَبَ فِي صَدْرِي حَتَّى رَأَيْتُ أَثَرَ أَصَابِعِهِ فِي صَدْرِي، فَقَالَ: «اللَّهُمَّ ثَبِّتْهُ، وَاجْعَلْهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا» ، فَانْطَلَقَ إِلَيْهَا، فَكَسَرَهَا وَحَرَّقَهَا، فَأَرْسَلَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُبَشِّرُهُ، فَقَالَ رَسُولُ جَرِيرٍ لِرَسُولِ اللَّهِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالحَقِّ، مَا جِئْتُكَ حَتَّى تَرَكْتُهَا كَأَنَّهَا جَمَلٌ أَجْرَبُ، فَبَارَكَ عَلَى خَيْلِ أَحْمَسَ وَرِجَالِهَا خَمْسَ مَرَّاتٍ، قَالَ مُسَدَّدٌ: بَيْتٌ فِي خَثْعَمَ
