আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৩৩
১৯০১. যার থেকে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে তার সাথে কৌশল ও সতর্কতা অবলম্বন করা বৈধ। লাঈস (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উবাই ইবনে কা‘ব (রাযিঃ)- কে সাথে নিয়ে ইবনে সাইয়াদের নিকট গমন করেন। তখন লোকেরা বলল, সে খেজুর বাগানে আছে। যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার নিকট খেজুর বাগানে পৌঁছলেন, তখন তিনি খেজুর বৃক্ষের কান্ডের আড়াল করতে লাগলেন। ইবনে সাইয়াদ তখন তার চাদর জড়িয়ে গুণ গুণ করছিল। তখন ইবনে সাইয়াদ এর মা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে দেখে বলে উঠল, হে সাফ! (ইবনে সাইয়াদের সংক্ষিপ্ত নাম) এই যে, মুহাম্মাদ (ﷺ)। তখন ইবনে সাইয়াদ লাফিয়ে উঠল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যদি এ মহিলা তাকে তার অবস্থায় ছেড়ে দিত তবে ব্যাপারটি প্রকাশ হয়ে যেত।
২৮২১। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... বারা ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে খন্দক যুদ্ধের দিন দেখেছি, তিনি স্বয়ং মাটি বহন করেছেন। এমনকি তাঁর সমগ্র বক্ষদেশের কেশরাজিকে মাটি আবৃত করে ফেলেছে আর তাঁর শরীরে অনেক পশম ছিল। তখন তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে রাওহায়া (রাযিঃ) রচিত কবিতা অবৃত্তি করছিলেনঃ
‘‘হে আল্লাহ আপনি যদি আমাদেরকে হিদায়ত না করতেন, তাহলে আমরা হিদায়াত পেতাম না। আর আমরা সাদ্কা করতাম না এবং নামায আদায় করতাম না। আপনি আমাদের প্রতি প্রশান্তি অবতীর্ণ করুন এবং যুদ্ধক্ষেত্রে আমাদেরকে অবিচল রাখুন। শত্রুগণ আমাদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে, যখন তারা ফিত্না সৃষ্টির সংকল্প করেছে, আমরা তা অস্বীকার করেছি।’ আর তিনি এ কবিতাগুলো অবৃত্তিকালে স্বর উঁচু করেছিলেন।
‘‘হে আল্লাহ আপনি যদি আমাদেরকে হিদায়ত না করতেন, তাহলে আমরা হিদায়াত পেতাম না। আর আমরা সাদ্কা করতাম না এবং নামায আদায় করতাম না। আপনি আমাদের প্রতি প্রশান্তি অবতীর্ণ করুন এবং যুদ্ধক্ষেত্রে আমাদেরকে অবিচল রাখুন। শত্রুগণ আমাদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে, যখন তারা ফিত্না সৃষ্টির সংকল্প করেছে, আমরা তা অস্বীকার করেছি।’ আর তিনি এ কবিতাগুলো অবৃত্তিকালে স্বর উঁচু করেছিলেন।
