কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
২২. জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
হাদীস নং: ২৮৬২
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৬২
ইমামের অনুগত্য করা
২৮৬২। মুহাম্মাদ ইব্ন বাশশার (রাহঃ) আবু যার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি যখন (নির্বাসনে) রাবাযা নামক স্থানে পৌঁছলেন তখন নামাযের ইকামত দেয়া হলো। সে সময় এক গোলাম লোকদের নামাযে ইমামতি করছে। তখন বলা হলো, ইনি আবু যার (রাযিঃ)। (একথা শুনে) গোলাম পেছনে সরে আসতে থাকলে আবু যার (রাযিঃ) বলেন, আমার প্রিয়তম বন্ধু (মহানবী (ﷺ)) আমাকে ওসিয়াত করেছেন যে, আমি যেন শ্রবণ করি ও আনুগত্য করি-যদিও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কর্তিত হাবশী গোলাম (নেতা)[১] হয়।
[১] উপরোক্ত হাদীসে নেতার আনুগত্যের গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। পিতৃ আদেশ শ্রবণ ও তা মান্য করার উপরই সামাজিক শৃংখলা, শান্তি ও নিরাপত্তা নির্ভর করে। কুরআন মাজীদেও নেতার আনুগত্য করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে তার আনুগত্য, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্যের মত নিঃশর্ত নয়। নেতার বৈধ নির্দেশ অবশ্যই পালন করতে হবে, তা মনোপূত হোক বা না হোক; কিন্তু তার নির্দেশ যদি শরীআতের বিধানের পরিপন্থী হয়, তবে তা অবশ্যই প্রত্যাখ্যান করতে হবে (অনুবাদক)।
[১] উপরোক্ত হাদীসে নেতার আনুগত্যের গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। পিতৃ আদেশ শ্রবণ ও তা মান্য করার উপরই সামাজিক শৃংখলা, শান্তি ও নিরাপত্তা নির্ভর করে। কুরআন মাজীদেও নেতার আনুগত্য করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে তার আনুগত্য, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্যের মত নিঃশর্ত নয়। নেতার বৈধ নির্দেশ অবশ্যই পালন করতে হবে, তা মনোপূত হোক বা না হোক; কিন্তু তার নির্দেশ যদি শরীআতের বিধানের পরিপন্থী হয়, তবে তা অবশ্যই প্রত্যাখ্যান করতে হবে (অনুবাদক)।
بَاب طَاعَةِ الْإِمَامِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، أَنَّهُ انْتَهَى إِلَى الرَّبَذَةِ وَقَدْ أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَإِذَا عَبْدٌ يَؤُمُّهُمْ فَقِيلَ هَذَا أَبُو ذَرٍّ . فَذَهَبَ يَتَأَخَّرُ فَقَالَ أَبُو ذَرٍّ أَوْصَانِي خَلِيلِي صلى الله عليه وسلم أَنْ أَسْمَعَ وَأُطِيعَ وَإِنْ كَانَ عَبْدًا حَبَشِيًّا مُجَدَّعَ الأَطْرَافِ .


বর্ণনাকারী: