আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৮
১৮৯১. (বন্দী সম্পর্কে আল্লাহ বলেন) এর পর হয় অনুকম্পা নয় মুক্তিপণ। যতক্ষণ না যুদ্ধ তার অস্ত্র নামিয়ে ফেলে (৪৭ঃ ৪) প্রসঙ্গে ছুমামা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি রয়েছে আর আল্লাহ তাআলার বাণীঃ কোন নবীর জন্য সঙ্গত নয় যে, তার নিকট বন্দি থাকবে দেশে ব্যাপক ভাবে শত্রুপরাভূত না করা পর্যন্ত অর্থাৎ দেশে বিজয় লাভ না করা পর্যন্ত। তোমরা কামনা কর পার্থিব সম্পদ। (৮ঃ ৬৭)
২৮০৯। মুআল্লা ইবনে আসাদ (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, উকল নামক গোত্রের আট ব্যক্তির একটি দল নবী (ﷺ)- এর নিকট এল। মদীনার আবহাওয়া তারা উপযোগী মনে করেনি। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের জন্য দুগ্ধবতী উটনীর ব্যবস্থা করুন। রাসূল (ﷺ) বললেন তোমরা বরং সাদ্‌কার উটের পালের কাছে যাও। তখন তারা সেখানে গিয়ে সেগুলোর পেশাব ও দুধ পান করে সুস্থ এবং মোটাতাজা হয়ে গেল। তারপর তারা উটের রাখালকে হত্যা করে উটের পাল হাকিয়ে নিয়ে গেল এবং মুসলমান হওয়ার পর তারা মুরতাদ হয়ে গেল। তখন জনৈক সংবাদদাতা নবী (ﷺ)- এর নিকট উপস্থিত হল। নবী (ﷺ) অশ্বারোহীদেরকে তাদের সন্ধানে পাঠালেন। তখন পর্যন্ত দিনের আলো পূর্ণতা লাভ করেনি।
ইতোমধ্যেই তাদেরকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের হাত পা কেটে ফেললেন। তারপর তাঁর নির্দেশে লৌহশলাকা উতপ্ত করে তাদের চোখে প্রবেশ করানো হয় এবং তাদেরকে প্রস্তরময় উতপ্ত ভূমিতে ফেলে রাখা হয়। তারা পানি চেয়েছিল। কিন্তু তাদেরকে পানি দেওয়া হয়নি। অবশেষে তারা মারা যায়। আবু কিলাবা (রাযিঃ) বলেন, (তাদের এরূপ শাস্তি এ জন্য দেওয়া হয়েছে যে,) তারা হত্যা করেছে, চুরি করেছে, আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসূল (ﷺ)- এর সঙ্গে (ধর্ম ত্যাগী হয়ে) যুদ্ধ করেছে এবং পৃথিবীতে বিশৃংখলা ছড়াতে চেষ্টা করেছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন