কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
২১. ওয়াসিয়্যাত ও উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধ্যায়
হাদীস নং: ২৭৩২
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৩২
আযাদকৃত গোলাম-বাঁদীর সম্পদের মীরাছ প্রসঙ্গে
২৭৩২। আবু বকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ)....'আমর ইবন শু'আয়বের দাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাবাব ইবন হুযাইফা ইবন সাঈদ ইবন সাহম উম্মুওয়াইল বিনত মা'মার জুমাহিয়্যাকে বিয়ে করেন। তার থেকে সে তিনটি সন্তান জন্ম দেয়। এরপর তাদের মা ইন্তিকাল করে। তার সন্তানেরা তার ঘর-বাড়ি এবং তার আযাদকৃত গোলামের সম্পদের ওয়ারিছ হয়। অতঃপর তাদেরকে নিয়ে আমর ইবন 'আস শাম (সিরিয়া) গমন করেন। সেখানে তারা আমওয়াস মহামারীতে মৃত্যুবরণ করে। অতঃপর আমর তাদের ওয়ারিছ হন। তিনি ছিলেন তাদের আসাবা[১]। আমর ইবন 'আস (রাযিঃ) যখন ফিরে এলেন তখন মা'মারের পুত্ররা এসে তাদের বোনের আযাদকৃত গোলামের সম্পত্তি নিয়ে উমর (রাযিঃ) এর নিকট মুকাদ্দামা পেশ করল, তখন উমার (রাযিঃ) বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে যা শুনেছি, তা দিয়েই তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করব। আমি তাঁকে বলতে শুনেছি যে, পুত্র এবং পিতা (আযাদকৃত গোলামের সম্পত্তি থেকে) যা জমা করে রাখে তা তার যে আসাবা থাকবে, তারই প্রাপ্য হবে। রাবী বলেনঃ অতঃপর তিনি সে সম্পত্তির ফয়সালা আমাদের জন্যই করে দিলেন এবং আমাদেরকে এক পত্র লিখে দিলেন, যাতে আব্দুর রহমান ইবন আওফ, যায়দ ইবন ছাবিত এবং আরো একজনের সাক্ষ ছিল। এরপর যখন আব্দুল মালিক ইবন মারওয়ান খলীফা নিযুক্ত হলেন তখন উন্মু ওয়াইলের এক আযাদকৃত গোলাম মারা গেল এবং সে দুই হাজার দীনার রেখে গেল। অতঃপর আমার কাছে সংবাদ পৌঁছল যে
(উমার এর) সেই ফয়সালা পরিবর্তন করা হয়েছে। এরপর তারা হিশাম ইবন ইসমাঈলের কাছে মামলা দায়ের করল। তিনি আমাদেরকে আব্দুল মালিকের কাছে পাঠালেন। আমরা তাঁর কাছে উমার (রাযিঃ)-এর পত্র নিয়ে এলাম। তিনি বললেনঃ আমি তো জানতাম যে, এটা এমন ফয়সালা, যাতে কোন সন্দেহ করা হবে না। আর আমি জানতাম না যে, মদীনা বাসীদের অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তারা এই ফয়সালার ব্যাপারেও সন্দেহ করবে। আর তিনি এ ব্যাপারে আমাদের পক্ষে ফয়সালা দিলেন এরপর সব সময়ই আমরা এই মীরাছের অধিকারী ছিলাম।
[১] যাদের অংশ কুরআন কারীমে বর্ণিত নাই এবং যারা আসাবাও নয়, মায়ের দিকের আত্মীয়, যথা: মামা, খালা, নানা প্রমুখ আত্মীয়বর্গ তাদেরকে বলে যাবিল আরহাম।
(উমার এর) সেই ফয়সালা পরিবর্তন করা হয়েছে। এরপর তারা হিশাম ইবন ইসমাঈলের কাছে মামলা দায়ের করল। তিনি আমাদেরকে আব্দুল মালিকের কাছে পাঠালেন। আমরা তাঁর কাছে উমার (রাযিঃ)-এর পত্র নিয়ে এলাম। তিনি বললেনঃ আমি তো জানতাম যে, এটা এমন ফয়সালা, যাতে কোন সন্দেহ করা হবে না। আর আমি জানতাম না যে, মদীনা বাসীদের অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তারা এই ফয়সালার ব্যাপারেও সন্দেহ করবে। আর তিনি এ ব্যাপারে আমাদের পক্ষে ফয়সালা দিলেন এরপর সব সময়ই আমরা এই মীরাছের অধিকারী ছিলাম।
[১] যাদের অংশ কুরআন কারীমে বর্ণিত নাই এবং যারা আসাবাও নয়, মায়ের দিকের আত্মীয়, যথা: মামা, খালা, নানা প্রমুখ আত্মীয়বর্গ তাদেরকে বলে যাবিল আরহাম।
بَاب مِيرَاثِ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ تَزَوَّجَ رِئَابُ بْنُ حُذَيْفَةَ بْنِ سُعَيْدِ بْنِ سَهْمٍ أُمَّ وَائِلٍ بِنْتَ مَعْمَرٍ الْجُمَحِيَّةَ فَوَلَدَتْ لَهُ ثَلاَثَةً فَتُوُفِّيَتْ أُمُّهُمْ فَوَرِثَهَا بَنُوهَا رِبَاعًا وَوَلاَءَ مَوَالِيهَا فَخَرَجَ بِهِمْ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ مَعَهُ إِلَى الشَّامِ فَمَاتُوا فِي طَاعُونِ عَمْوَاسَ فَوَرِثَهُمْ عَمْرٌو وَكَانَ عَصَبَتَهُمْ فَلَمَّا رَجَعَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ جَاءَ بَنُو مَعْمَرٍ يُخَاصِمُونَهُ فِي وَلاَءِ أُخْتِهِمْ إِلَى عُمَرَ فَقَالَ عُمَرُ أَقْضِي بَيْنَكُمْ بِمَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَمِعْتُهُ يَقُولُ " مَا أَحْرَزَ الْوَلَدُ أَوِ الْوَالِدُ فَهُوَ لِعَصَبَتِهِ مَنْ كَانَ " . قَالَ فَقَضَى لَنَا بِهِ وَكَتَبَ لَنَا بِهِ كِتَابًا فِيهِ شَهَادَةُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَآخَرَ حَتَّى إِذَا اسْتُخْلِفَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ تُوُفِّيَ مَوْلًى لَهَا وَتَرَكَ أَلْفَىْ دِينَارٍ فَبَلَغَنِي أَنَّ ذَلِكَ الْقَضَاءَ قَدْ غُيِّرَ فَخَاصَمُوهُ إِلَى هِشَامِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ فَرَفَعَنَا إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ فَأَتَيْنَاهُ بِكِتَابِ عُمَرَ فَقَالَ إِنْ كُنْتُ لأَرَى أَنَّ هَذَا مِنَ الْقَضَاءِ الَّذِي لاَ يُشَكُّ فِيهِ وَمَا كُنْتُ أَرَى أَنَّ أَمْرَ أَهْلِ الْمَدِينَةِ بَلَغَ هَذَا أَنْ يَشُكُّوا فِي هَذَا الْقَضَاءِ . فَقَضَى لَنَا بِهِ فَلَمْ نَزَلْ فِيهِ بَعْدُ .
