কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
১০. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায়
হাদীস নং: ২০৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ২০৬৭
লি'আন প্রসঙ্গে
২০৬৭। মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রাহঃ)....ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, হিলাল ইবন উমায়্যা (রাযিঃ) তাঁর স্ত্রী সম্পর্কে নবী (ﷺ)-এর কাছে এ মর্মে অপবাদ দিয়েছিলেন যে, সে শারীক ইবন সামহার সাথে অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ সাক্ষী পেশ কর, অন্যথায় তোমার পিঠে (শরীয়ত নির্ধারিত) দন্ড পড়বে। হিলাল ইবন উমায়্যা বললেনঃ ঐ সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন; আমি অবশ্যই সত্যবাদী এবং আল্লাহ আমার ব্যাপারে এমন বিধান নাযিল করবেন, যা আমার পিঠকে দন্ড থেকে বাঁচাবে। তখন এই আয়াতটি নাযিল হয়ঃوَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلَّا أَنْفُسُهُمْ حَتَّى بَلَغَ وَالْخَامِسَةَ أَنَّ غَضَبَ اللهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنْ الصَّادِقِينَ
“আর যারা নিজেদের স্ত্রীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে অথচ নিজেরা ব্যতীত তাদের কোন সাক্ষী নেই, তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্য এই হবে যে, সে আল্লাহর সঙ্গে চারবার শপথ করে বলবে, সে অবশ্যই সত্যবাদী, এবং পঞ্চমবারে বলবে, সে মিথ্যাবাদী হলে তার উপর নেমে আসবে আল্লাহর লানত" (২৪ঃ৬-৭)। তখন নবী (ﷺ) ফিরে আসলেন এবং তাদের দু'জনের কাছে লোক পাঠালেন। দুজনই উপস্থিত হলেন। প্রথম হিলাল ইবন উমায়্যা দাঁড়িয়ে শপথ করলেন। এদিকে নবী (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহ অবশ্যই জানেন যে, তোমাদের মধ্যে একজন মিথ্যাবাদী। তাই তোমরা কেউ কি তওবা করবে? এরপর হিলালের স্ত্রী দাঁড়িয়ে গেল এবং সাক্ষ্য দিল। সে যখন পঞ্চম বার এ কথাটি বলতে যাচ্ছিল যে, “আমার স্বামীর কথা যদি সত্য হয়, তবে আমার উপর আল্লাহর গযব আপতিত হোক", তখন লোকেরা বললো যে, এটি কিন্তু চূড়ান্ত কথা। ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বলেনঃ মহিলাটি তখন আর কিছু না বলে পিছনে ফিরে গেল। আর আমরা মনে করলাম যে, সে হয়ত তার কথা প্রত্যাহার করে নেবে। কিন্তু সে বললোঃ আল্লাহর কসম, আমি আমার সম্প্রদায়কে চিরদিনের জন্য অপমানিত করে যাব না। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ তোমরা তার প্রতি লক্ষ্য রাখ। সে যদি এমন সন্তান প্রসব করে, যার চোখগুলো দেখলে সুরমা মাখা চোখ মনে হয় ও নিতম্ব গোশতে ভরা, আর পাগুলো মোটা, তবে সন্তানটি শারীক ইবন সামার বলে মনে করবে। এরপর মহিলাটি এ ধরনের সন্তানই প্রসব করল। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ "কুরআন যদি মিথ্যা লি'আনকারীকে শাস্তি দিতে নিষেধ না করত, তাহলে এই মহিলাটিকে আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে ছাড়তাম।"
“আর যারা নিজেদের স্ত্রীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে অথচ নিজেরা ব্যতীত তাদের কোন সাক্ষী নেই, তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্য এই হবে যে, সে আল্লাহর সঙ্গে চারবার শপথ করে বলবে, সে অবশ্যই সত্যবাদী, এবং পঞ্চমবারে বলবে, সে মিথ্যাবাদী হলে তার উপর নেমে আসবে আল্লাহর লানত" (২৪ঃ৬-৭)। তখন নবী (ﷺ) ফিরে আসলেন এবং তাদের দু'জনের কাছে লোক পাঠালেন। দুজনই উপস্থিত হলেন। প্রথম হিলাল ইবন উমায়্যা দাঁড়িয়ে শপথ করলেন। এদিকে নবী (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহ অবশ্যই জানেন যে, তোমাদের মধ্যে একজন মিথ্যাবাদী। তাই তোমরা কেউ কি তওবা করবে? এরপর হিলালের স্ত্রী দাঁড়িয়ে গেল এবং সাক্ষ্য দিল। সে যখন পঞ্চম বার এ কথাটি বলতে যাচ্ছিল যে, “আমার স্বামীর কথা যদি সত্য হয়, তবে আমার উপর আল্লাহর গযব আপতিত হোক", তখন লোকেরা বললো যে, এটি কিন্তু চূড়ান্ত কথা। ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বলেনঃ মহিলাটি তখন আর কিছু না বলে পিছনে ফিরে গেল। আর আমরা মনে করলাম যে, সে হয়ত তার কথা প্রত্যাহার করে নেবে। কিন্তু সে বললোঃ আল্লাহর কসম, আমি আমার সম্প্রদায়কে চিরদিনের জন্য অপমানিত করে যাব না। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ তোমরা তার প্রতি লক্ষ্য রাখ। সে যদি এমন সন্তান প্রসব করে, যার চোখগুলো দেখলে সুরমা মাখা চোখ মনে হয় ও নিতম্ব গোশতে ভরা, আর পাগুলো মোটা, তবে সন্তানটি শারীক ইবন সামার বলে মনে করবে। এরপর মহিলাটি এ ধরনের সন্তানই প্রসব করল। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ "কুরআন যদি মিথ্যা লি'আনকারীকে শাস্তি দিতে নিষেধ না করত, তাহলে এই মহিলাটিকে আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে ছাড়তাম।"
بَاب اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ أَنْبَأَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ هِلَالَ بْنَ أُمَيَّةَ قَذَفَ امْرَأَتَهُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِشَرِيكِ ابْنِ سَحْمَاءَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْبَيِّنَةَ أَوْ حَدٌّ فِي ظَهْرِكَ فَقَالَ هِلَالُ بْنُ أُمَيَّةَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ إِنِّي لَصَادِقٌ وَلَيُنْزِلَنَّ اللهُ فِي أَمْرِي مَا يُبَرِّئُ ظَهْرِي قَالَ فَنَزَلَتْ (وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلَّا أَنْفُسُهُمْ حَتَّى بَلَغَ وَالْخَامِسَةَ أَنَّ غَضَبَ اللهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنْ الصَّادِقِينَ) فَانْصَرَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمَا فَجَاءَا فَقَامَ هِلَالُ بْنُ أُمَيَّةَ فَشَهِدَ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِنَّ اللهَ يَعْلَمُ أَنَّ أَحَدَكُمَا كَاذِبٌ فَهَلْ مِنْ تَائِبٍ ثُمَّ قَامَتْ فَشَهِدَتْ فَلَمَّا كَانَ عِنْدَ الْخَامِسَةِ (أَنَّ غَضَبَ اللهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنْ الصَّادِقِينَ) قَالُوا لَهَا إِنَّهَا لَمُوجِبَةٌ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَتَلَكَّأَتْ وَنَكَصَتْ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهَا سَتَرْجِعُ فَقَالَتْ وَاللهِ لَا أَفْضَحُ قَوْمِي سَائِرَ الْيَوْمِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم انْظُرُوهَا فَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَكْحَلَ الْعَيْنَيْنِ سَابِغَ الْأَلْيَتَيْنِ خَدَلَّجَ السَّاقَيْنِ فَهُوَ لِشَرِيكِ ابْنِ سَحْمَاءَ فَجَاءَتْ بِهِ كَذَلِكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَوْلَا مَا مَضَى مِنْ كِتَابِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ لَكَانَ لِي وَلَهَا شَأْنٌ
