কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

৭. রোযা ও ই'তিকাফের অধ্যায়

হাদীস নং: ১৭২২
আন্তর্জাতিক নং: ১৭২২
ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযাহার দিনে সাওম পালন করা নিষিদ্ধ
১৭২২। সাহল ইবন সাহল (রাহঃ)....আবু উবায়দ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি 'উমর ইবন খাত্তাব (রাযিঃ) এর সঙ্গে ঈদের দিন উপস্থিত ছিলাম। তিনি খুতবার আগে সালাত আদায় করেন। এরপর বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার এ দু'দিনে সাওম পালন করতে নিষেধ করেছেন। কেননা, ঈদুল ফিতরের দিন হচ্ছে তোমাদের জন্য সাওম ভঙ্গের দিন। আর ঈদুল আযহার দিনে তোমরা তোমাদের কুরবানীর গোশত খাবে।
بَاب فِي النَّهْيِ عَنْ صِيَامِ يَوْمِ الْفِطْرِ وَالْأَضْحَى
حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ أَبِي سَهْلٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ قَالَ شَهِدْتُ الْعِيدَ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَبَدَأَ بِالصَّلَاةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ صِيَامِ هَذَيْنِ الْيَوْمَيْنِ يَوْمِ الْفِطْرِ وَيَوْمِ الْأَضْحَى أَمَّا يَوْمُ الْفِطْرِ فَيَوْمُ فِطْرِكُمْ مِنْ صِيَامِكُمْ وَيَوْمُ الْأَضْحَى تَأْكُلُونَ فِيهِ مِنْ لَحْمِ نُسُكِكُمْ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

আইয়ামে তাশরীক ও দুই ঈদের দিনকে পানাহারের দিন হসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, সুতরাং এই ৫দিন রোযা রাখা নিষিদ্ধ।

যিলহজ্ব মাসের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখকে পরিভাষায় আইয়ামে তাশরীক বলে। আইয়ামে তাশরীক-এর অন্যতম প্রধান আমল হল, আল্লাহর যিকির-তাকবীর উচ্চারণ করা।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

أَيّامُ التّشْرِيقِ أَيّامُ أَكْلٍ، وَشُرْبٍ، وَذِكْرِ اللهِ.

আইয়ামে তাশরীক পানাহার ও আল্লাহর যিকিরের দিন। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২০৭২২; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৪১
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
সুনানে ইবনে মাজা - হাদীস নং ১৭২২ | মুসলিম বাংলা