কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

৭. রোযা ও ই'তিকাফের অধ্যায়

হাদীস নং: ১৭২১
আন্তর্জাতিক নং: ১৭২১
রোযা ও ই'তিকাফের অধ্যায়
ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযাহার দিনে সাওম পালন করা নিষিদ্ধ
১৭২১। আবু বকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ)....আবু সায়ীদ (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিনে সাওম পালন করতে নিষেধ করেছেন।
أبواب الصيام
بَاب فِي النَّهْيِ عَنْ صِيَامِ يَوْمِ الْفِطْرِ وَالْأَضْحَى
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْلَى التَّيْمِيُّ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ قَزَعَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ نَهَى عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الْفِطْرِ وَيَوْمِ الْأَضْحَى

হাদীসের ব্যাখ্যা:

আইয়ামে তাশরীক ও দুই ঈদের দিনকে পানাহারের দিন হসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, সুতরাং এই ৫দিন রোযা রাখা নিষিদ্ধ।

যিলহজ্ব মাসের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখকে পরিভাষায় আইয়ামে তাশরীক বলে। আইয়ামে তাশরীক-এর অন্যতম প্রধান আমল হল, আল্লাহর যিকির-তাকবীর উচ্চারণ করা।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

أَيّامُ التّشْرِيقِ أَيّامُ أَكْلٍ، وَشُرْبٍ، وَذِكْرِ اللهِ.

আইয়ামে তাশরীক পানাহার ও আল্লাহর যিকিরের দিন। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২০৭২২; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৪১
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)