কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

৭. রোযা ও ই'তিকাফের অধ্যায়

হাদীস নং: ১৬৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯৭
জলদি (যথাসময়ে) ইফতার করা
১৬৯৭। হিশাম ইবন 'আম্মার ও মুহাম্মাদ ইবন সাব্বাহ (রাহঃ)....সাহল ইবন সা'দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেছেনঃ মানুষ ততদিন কল্যাণের সাথে থাকবে, যতদিন তারা জলদি (যথাসময়ে) ইফতার করবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي تَعْجِيلِ الْإِفْطَارِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ قَالَا حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْإِفْطَارَ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

সূর্য অস্তমিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোযাদার ইফতার করবে এবং মুয়াজ্জিন আযান দিবে। ইফতারের ওয়াক্ত আযান শুরু হওয়ার পর হয় বিষয়টি এমন নয়।

আমাদের দেশে রেওয়াজ আছে যে, লোকেরা ইফতার সামনে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে এবং আযানের শব্দ শোনার আগ পর্যন্ত ইফতার করে না। এ থেকে কারো কারো মনে এ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, ইফতারের ওয়াক্তই শুরু হয় আযানের পর। এই ধারণা ঠিক নয়। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই ইফতারের ওয়াক্ত হয়। আর বিনা কারণে ইফতার বিলম্ব করা খেলাফে সুন্নত। ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা উচিত।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
সুনানে ইবনে মাজা - হাদীস নং ১৬৯৭ | মুসলিম বাংলা