কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
৭. রোযা ও ই'তিকাফের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৬৭১
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৭১
রামাযানের একটি সাওম ভঙ্গকারীর কাফফারা প্রসঙ্গে
১৬৭১। আবু বকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ)....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ জনৈক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর কাছে এসে বললো, আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। তিনি বললেনঃ কিসে তোমাকে ধ্বংস করেছে? সে বললোঃ আমি রামাযানে আমার স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করেছি। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ তুমি একজন গোলাম আযাদ কর। সে বললোঃ আমি এর সামর্থ্য রাখি না। তিনি (ﷺ) বললেন, লাগাতর দুই মাস সাওম পালন করবে। সে বললোঃ আমি এর সামর্থ্য রাখি না। তিনি বললেনঃ ষাট জন মিসকীনকে খাবার খাওয়াবে। সে বললো, আমি সামর্থ্য রাখি না। তখন তিনি বললেনঃ তুমি বস। সে বসলো। এ সময় এক ঝুড়ি পরিমাণ খেজুর এলো। খাজাঞ্চিকে ডাকা হলো। এরপর তিনি বললেনঃ এটা নিয়ে যাও এবং সদকা করে দাও। সে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, তাঁর কসম, মদীনার দুই প্রান্তের মাঝে আমাদের চাইতে অধিক অভাবগ্রস্ত আর কেউ নেই। তিনি (ﷺ) বললেনঃ চলে যাও এবং এগুলো তোমার পরিবার-পরিজনদের খাওয়াও।
হারমালা ইবন ইয়াহইয়া (রাহঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এরূপ বর্ণিত যে, তিনি বলেছেনঃ “তার স্থলে একদিন সাওম পালন কর।"
হারমালা ইবন ইয়াহইয়া (রাহঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এরূপ বর্ণিত যে, তিনি বলেছেনঃ “তার স্থলে একদিন সাওম পালন কর।"
بَاب مَا جَاءَ فِي كَفَّارَةِ مَنْ أَفْطَرَ يَوْمًا مِنْ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ هَلَكْتُ قَالَ وَمَا أَهْلَكَكَ قَالَ وَقَعْتُ عَلَى امْرَأَتِي فِي رَمَضَانَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَعْتِقْ رَقَبَةً قَالَ لَا أَجِدُ قَالَ صُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ قَالَ لَا أُطِيقُ قَالَ أَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا قَالَ لَا أَجِدُ قَالَ اجْلِسْ فَجَلَسَ فَبَيْنَمَا هُوَ كَذَلِكَ إِذْ أُتِيَ بِمِكْتَلٍ يُدْعَى الْعَرَقَ فَقَالَ اذْهَبْ فَتَصَدَّقْ بِهِ قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا بَيْنَ لَابَتَيْهَا أَهْلُ بَيْتٍ أَحْوَجُ إِلَيْهِ مِنَّا قَالَ فَانْطَلِقْ فَأَطْعِمْهُ عِيَالَكَ
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ فَقَالَ وَصُمْ يَوْمًا مَكَانَهُ.
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ فَقَالَ وَصُمْ يَوْمًا مَكَانَهُ.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
রমযানে রোযা রেখে দিনে স্ত্রী সহবাস করলে বীর্যপাত না হলেও স্বামী-স্ত্রী উভয়ের উপর কাযা ও কাফফারা ওয়াজিব হবে।
কাফফারা আদায়ের নিয়ম
একটি রোযার জন্য দুই মাস ধারাবাহিকভাবে রোযা রাখতে হবে। রোযা রাখতে সক্ষম না হলে ৬০ জন ফকির-মিসকীনকে দুই বেলা পেট ভরে খাওয়াতে হবে। অথবা প্রত্যেককে এর মূল্য দিয়ে দিতে হবে।
মনে রাখতে হবে, রোযা রাখতে সক্ষম হলে ফিদিয়া আদায় করলে তা আদায় হবে না।
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬০; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪১৩; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৩৯৪
কোনো কারণে ধারাবাহিকতা ছুটে গেলে পুনরায় নতুন করে রোযা রাখতে হবে। পেছনের রোযাগুলো কাফফারার রোযা হিসাবে ধর্তব্য হবে না। তবে মহিলাদের হায়েযের কারণে ধারাবাহিকতা নষ্ট হলে অসুবিধা নেই।
ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. বলেন, ‘যার উপর কাফফারা হিসাবে দুই মাস ধারাবাহিকভাবে রোযা রাখা জরুরি সে যদি মাঝে অসুস্থ হওয়ার কারণে রোযা রাখতে না পারে, তাহলে আবার নতুন করে রোযা রাখা শুরু করবে।’-আলমুহাল্লা ৪/৩৩১; মাবসূত, সারাখসী ৭/১৪; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৫/১৯৬
#সংগৃহীত
কাফফারা আদায়ের নিয়ম
একটি রোযার জন্য দুই মাস ধারাবাহিকভাবে রোযা রাখতে হবে। রোযা রাখতে সক্ষম না হলে ৬০ জন ফকির-মিসকীনকে দুই বেলা পেট ভরে খাওয়াতে হবে। অথবা প্রত্যেককে এর মূল্য দিয়ে দিতে হবে।
মনে রাখতে হবে, রোযা রাখতে সক্ষম হলে ফিদিয়া আদায় করলে তা আদায় হবে না।
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬০; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪১৩; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৩৯৪
কোনো কারণে ধারাবাহিকতা ছুটে গেলে পুনরায় নতুন করে রোযা রাখতে হবে। পেছনের রোযাগুলো কাফফারার রোযা হিসাবে ধর্তব্য হবে না। তবে মহিলাদের হায়েযের কারণে ধারাবাহিকতা নষ্ট হলে অসুবিধা নেই।
ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. বলেন, ‘যার উপর কাফফারা হিসাবে দুই মাস ধারাবাহিকভাবে রোযা রাখা জরুরি সে যদি মাঝে অসুস্থ হওয়ার কারণে রোযা রাখতে না পারে, তাহলে আবার নতুন করে রোযা রাখা শুরু করবে।’-আলমুহাল্লা ৪/৩৩১; মাবসূত, সারাখসী ৭/১৪; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৫/১৯৬
#সংগৃহীত
