কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
৫. নামাযের আদ্যোপান্ত বর্ণনা এবং সুন্নাতসমূহ
হাদীস নং: ১২৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ১২৯৮
 নামাযের আদ্যোপান্ত বর্ণনা এবং সুন্নাতসমূহ
ঈদগাহে এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া এবং অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরে আসা প্রসঙ্গে
১২৯৮। হিশাম ইবন 'আম্মার (রাহঃ)........সা'দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) যখন দুই ঈদের সালাতের জন্য বের হতেন, তখন সা'য়ীদ ইবন আবুল আ'স (রাযিঃ)-এর ঘরের নিকট দিয়ে, আসহাবে ফাসাতীত-এর দিক থেকে ঈদগাহে যেতেন। আর সালাত শেষে অন্য রাস্তা তথা বনু যুরায়ক-এর পথ ধরে, আম্মার ইবন ইয়াসার ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর ঘরের সম্মুখ দিয়ে বিলাত নামক স্থানের দিকে ফিরে আসতেন।
أبواب إقامة الصلوات والسنة فيها
بَاب مَا جَاءَ فِي الْخُرُوجِ يَوْمَ الْعِيدِ مِنْ طَرِيقٍ وَالرُّجُوعِ مِنْ غَيْرِهِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَعْدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ سَعْدٍ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ إِذَا خَرَجَ إِلَى الْعِيدَيْنِ سَلَكَ عَلَى دَارَىْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ ثُمَّ عَلَى أَصْحَابِ الْفَسَاطِيطِ ثُمَّ انْصَرَفَ فِي الطَّرِيقِ الأُخْرَى طَرِيقِ بَنِي زُرَيْقٍ ثُمَّ يَخْرُجُ عَلَى دَارِ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ وَدَارِ أَبِي هُرَيْرَةَ إِلَى الْبَلاَطِ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছ অনুযায়ী আমাদের জন্যও ঈদগাহে এক পথে যাওয়া এবং সেখান থেকে অন্য পথে ফেরা মুস্তাহাব হবে। কেননা সকল নেককাজে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের আদর্শ। ঈদগাহে আসা-যাওয়া করাটাও একটি নেককাজ। তিনি যখন যাওয়া-আসাটা পৃথক পৃথক পথে করতেন, তখন আমাদেরও সেরকমই করা উচিত। একজন নবীপ্রেমী ও ছাওয়াবের প্রত্যাশী কেবল ফরয-ওয়াজিব কাজ করেই ক্ষান্ত থাকতে পারে না। সে পদে পদে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুকরণ করবে। আগ্রহ-উদ্দীপনার সঙ্গে সুন্নত, মুস্তাহাবও মেনে চলবে।
   
উলামায়ে কেরাম লেখেন, ঈদগাহে যাওয়া-আসার দুই পথের এক পথ যদি বেশি লম্বা হয়, তবে যাওয়ার সময় লম্বা পথ ধরবে আর ফিরবে সংক্ষিপ্ত পথে। কারণ যাওয়ার সময় আগ্রহ-উদ্দীপনা বেশি থাকে। তাই তখন পথ দীর্ঘ হলে তাতে ক্লান্তিবোধ হবে না। কিন্তু ফেরার সময় শরীর ক্লান্ত থাকে। তাই এ সময় সংক্ষিপ্ত পথই উপযোগী।
   
ঈদগাহে দুই পথে যাওয়া-আসা করার কারণ কী? এ বিষয়ে উলামায়ে কেরাম বিভিন্ন কথা বলেছেন। যেমন, কিয়ামতের দিন রাস্তাও সাক্ষ্য দেবে। তাই এর দ্বারা সাক্ষীর সংখ্যা বাড়ে। যাওয়া-আসার পথে যিকির করলে দুই পথেই যিকির করা হয়। এতে করে আল্লাহর যিকিরের প্রচার বৃদ্ধি হয়। আল্লাহর মহিমা প্রচার যত বেশি হয় ততোই কল্যাণ। দুই পথে আসা-যাওয়া করলে মানুষজনের খোঁজখবর বেশি নেওয়া যায়। এতে করে দান-খয়রাতও বেশি করা সম্ভব হয়। এ পন্থায় ঈদের আনন্দ উপভোগে তুলনামূলক বেশি মানুষকে শরীক করা যায়। এছাড়াও উলামায়ে কেরাম এর বিভিন্ন কারণ বর্ণনা করেছেন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
সম্ভব হলে ঈদগাহ, মসজিদ প্রভৃতি স্থানে দুই পথে যাওয়া-আসা করা চাই। এতে করে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আরও একটি সুন্নতের উপর আমল হয়ে যায়।
উলামায়ে কেরাম লেখেন, ঈদগাহে যাওয়া-আসার দুই পথের এক পথ যদি বেশি লম্বা হয়, তবে যাওয়ার সময় লম্বা পথ ধরবে আর ফিরবে সংক্ষিপ্ত পথে। কারণ যাওয়ার সময় আগ্রহ-উদ্দীপনা বেশি থাকে। তাই তখন পথ দীর্ঘ হলে তাতে ক্লান্তিবোধ হবে না। কিন্তু ফেরার সময় শরীর ক্লান্ত থাকে। তাই এ সময় সংক্ষিপ্ত পথই উপযোগী।
ঈদগাহে দুই পথে যাওয়া-আসা করার কারণ কী? এ বিষয়ে উলামায়ে কেরাম বিভিন্ন কথা বলেছেন। যেমন, কিয়ামতের দিন রাস্তাও সাক্ষ্য দেবে। তাই এর দ্বারা সাক্ষীর সংখ্যা বাড়ে। যাওয়া-আসার পথে যিকির করলে দুই পথেই যিকির করা হয়। এতে করে আল্লাহর যিকিরের প্রচার বৃদ্ধি হয়। আল্লাহর মহিমা প্রচার যত বেশি হয় ততোই কল্যাণ। দুই পথে আসা-যাওয়া করলে মানুষজনের খোঁজখবর বেশি নেওয়া যায়। এতে করে দান-খয়রাতও বেশি করা সম্ভব হয়। এ পন্থায় ঈদের আনন্দ উপভোগে তুলনামূলক বেশি মানুষকে শরীক করা যায়। এছাড়াও উলামায়ে কেরাম এর বিভিন্ন কারণ বর্ণনা করেছেন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
সম্ভব হলে ঈদগাহ, মসজিদ প্রভৃতি স্থানে দুই পথে যাওয়া-আসা করা চাই। এতে করে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আরও একটি সুন্নতের উপর আমল হয়ে যায়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)