কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

৫. নামাযের আদ্যোপান্ত বর্ণনা এবং সুন্নাতসমূহ

হাদীস নং: ১২৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ১২৮৩
নামাযের আদ্যোপান্ত বর্ণনা এবং সুন্নাতসমূহ
উভয় ঈদের সালাতের কিরাআত পাঠ প্রসঙ্গে
১২৮৩। আবু বকর ইবন খাল্লাদ বাহিলী (রাহঃ) ……. ইব্‌ন 'আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) উভয় ঈদের সালাতে 'সাব্বিহিসমি রাব্বিকাল আলা' এবং 'হাল আতাকা হাদীসুল গাশিয়াহ'(সূরাদ্বয়) পাঠ করতেন।
أبواب إقامة الصلوات والسنة فيها
بَاب مَا جَاءَ فِي الْقِرَاءَةِ فِي صَلَاةِ الْعِيدَيْنِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعُ بْنُ الْجَرَّاحِ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُبَيْدَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَقْرَأُ فِي الْعِيدَيْنِ بِـ ‏(سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى )‏ وَ ‏(هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ )‏ ‏.‏

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, উভয় ঈদের নামাযে ছূরা আ’লা এবং গাশিয়া বা এ পরিমাণ দীর্ঘ ছূরা পড়া ছুন্নাত। হযরত উমার রা. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, তিনি আবু ওয়াকেদ লাইসীকে জিজ্ঞেস করলেন, রসূল স. ঈদুল আযহা এবং ঈদুল ফিতরে কি কিরাত পড়তেন? জবাবে হযরত আবু ওয়াকেদ রা. বলেন, রসূল স. উভয় ঈদে ছূরায়ে কফ এবং ছূরায়ে ক্বমার পাঠ করতেন। (মুসলিম-১৯৩২) এ হাদীসে একটু বড় ধরণের ছূরা পড়ার কথা বর্ণিত হয়েছে। এ দুইয়ের সমন্বয় এভাবে হতে পারে যে, স্থান, কাল ও পাত্র ভেদে ঈদের নামাযের কিরাত খাটো বা লম্বা করা যেতে পারে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (বাদায়েউস সানায়ে’: ১/২৬৯)