কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
৫. নামাযের আদ্যোপান্ত বর্ণনা এবং সুন্নাতসমূহ
হাদীস নং: ১২৮১
আন্তর্জাতিক নং: ১২৮১
 নামাযের আদ্যোপান্ত বর্ণনা এবং সুন্নাতসমূহ
উভয় ঈদের সালাতের কিরাআত পাঠ প্রসঙ্গে
১২৮১। মুহাম্মাদ ইবন সাব্বাহ (রাহঃ)...... নুমান ইবন বাশীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উভয় ঈদের সালাতে سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى  এবং وهَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ(সূরাদ্বয়) পাঠ করতেন।
أبواب إقامة الصلوات والسنة فيها
بَاب مَا جَاءَ فِي الْقِرَاءَةِ فِي صَلَاةِ الْعِيدَيْنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَقْرَأُ فِي الْعِيدَيْنِ بِـ (سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى) وَ (هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ) .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
মুক্তাদী কর্তৃক ইমামের জুমআহ এবং উভয় ঈদের নামাযের কিরাত শ্রবণ করা থেকে প্রমাণিত হয় যে, রসূলুল্লাহ স. জুমআহ এবং উভয় ঈদের নামাযে সশব্দে কুরআন পাঠ করেছেন। এ আমলের ব্যতিক্রম তিনি কখনো করেছেন মর্মে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অতএব, উভয় ঈদের নামাযে ইমামের জন্য উচ্চস্বরে কুরআন পড়া জরুরী।
এ হাদীস থেকে এটিও প্রমাণিত হয় যে, উভয় ঈদের নামাযে ছূরা আ’লা এবং গাশিয়া বা এ পরিমাণ দীর্ঘ ছূরা পড়া ছুন্নাত। হযরত উমার রা. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, তিনি আবু ওয়াকেদ লাইসীকে জিজ্ঞেস করলেন, রসূল স. ঈদুল আযহা এবং ঈদুল ফিতরে কি কিরাত পড়তেন? জবাবে হযরত আবু ওয়াকেদ রা. বলেন, রসূল স. উভয় ঈদে ছূরায়ে কফ এবং ছূরায়ে ক্বমার পাঠ করতেন। (মুসলিম-১৯৩২) এ হাদীসে একটু বড় ধরণের ছূরা পড়ার কথা বর্ণিত হয়েছে। এ দুইয়ের সমন্বয় এভাবে হতে পারে যে, স্থান, কাল ও পাত্র ভেদে ঈদের নামাযের কিরাত খাটো বা লম্বা করা যেতে পারে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (বাদায়েউস সানায়ে’: ১/২৬৯)
এ হাদীস থেকে এটিও প্রমাণিত হয় যে, উভয় ঈদের নামাযে ছূরা আ’লা এবং গাশিয়া বা এ পরিমাণ দীর্ঘ ছূরা পড়া ছুন্নাত। হযরত উমার রা. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, তিনি আবু ওয়াকেদ লাইসীকে জিজ্ঞেস করলেন, রসূল স. ঈদুল আযহা এবং ঈদুল ফিতরে কি কিরাত পড়তেন? জবাবে হযরত আবু ওয়াকেদ রা. বলেন, রসূল স. উভয় ঈদে ছূরায়ে কফ এবং ছূরায়ে ক্বমার পাঠ করতেন। (মুসলিম-১৯৩২) এ হাদীসে একটু বড় ধরণের ছূরা পড়ার কথা বর্ণিত হয়েছে। এ দুইয়ের সমন্বয় এভাবে হতে পারে যে, স্থান, কাল ও পাত্র ভেদে ঈদের নামাযের কিরাত খাটো বা লম্বা করা যেতে পারে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (বাদায়েউস সানায়ে’: ১/২৬৯)