আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৩৩
১৭৭৩. যুদ্ধের সময় ধৈর্যধারণ
২৬৩৭। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... সালিম আবু নযর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রাযিঃ) লিখে পাঠালেন, আর আমি এতে পড়লাম যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন তোমরা তাদের (শত্রুদের) মুখোমুখি হবে তখন ধৈর্য ধারণ করবে।
হাদীসের ব্যাখ্যা:
যখন তাদের সাথে তোমাদের যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়, তখন ধৈর্যধারণ কর। কারণ এ যুদ্ধ তোমরা চেয়ে নাওনি, আল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। এটা তাঁর পরীক্ষা। এতে সবর করা অবশ্যকর্তব্য। পরীক্ষা যখন তাঁর পক্ষ থেকে, তখন সবরের তাওফীক লাভ হবে বলেও আশা করা যায়। সবরকারীকে আল্লাহ তা'আলা সাহায্য করেন। আল্লাহ সবরকারীর সংগে থাকেন। আল্লাহ যার সংগে থাকেন, তার কি পরাজয় সম্ভব? হাঁ, বাহ্যদৃষ্টিতে পরাজয় হতে পারে, মৃত্যু ঘটতে পারে, কিন্তু মু'মিনের পক্ষে তা আদৌ পরাজয় নয়। আল্লাহর হুকুম পালন করতে পারাটাই মু'মিনের জয়। এ অবস্থায় মারা গেলে শাহাদাত লাভ হয়। শাহাদাতের ফযীলত অনেক বড়। বেঁচে থাকাও লাভজনক। তাতে নগদ তো জিহাদের ফযীলত লাভ হল, পরবর্তীতে আরও জিহাদে শরীক হয়ে কিংবা অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগীতে লিপ্ত থেকে অধিক পুণ্যলাভের সুযোগ হয়। আর যদি বাহ্যিক বিজয় অর্জিত হয়, তবে তো নূরুন আলা নূর- পাভের উপর পাভ।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
যুদ্ধ-বিগ্রহসহ যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে সবর করা অবশ্যকর্তব্য।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
যুদ্ধ-বিগ্রহসহ যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে সবর করা অবশ্যকর্তব্য।
