কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

৫. নামাযের আদ্যোপান্ত বর্ণনা এবং সুন্নাতসমূহ

হাদীস নং: ১০৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬৩
সফরে সালাত কসর করা
১০৬৩। আবু বকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ) ....... 'উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর যবানীতে সফরের সালাত দুই রাক'আত, জুমু'আর সালাত দুই রাক'আত এবং ঈদের সালাত দুই রাক'আতঃ আর এ-ই হচ্ছে পরিপূর্ণ সালাত।
بَاب تَقْصِيرِ الصَّلَاةِ فِي السَّفَرِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ زُبَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عُمَرَ، قَالَ صَلاَةُ السَّفَرِ رَكْعَتَانِ وَالْجُمُعَةُ رَكْعَتَانِ وَالْعِيدُ رَكْعَتَانِ تَمَامٌ غَيْرُ قَصْرٍ عَلَى لِسَانِ مُحَمَّدٍ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হযরত উমার রা. থেকে বর্ণিত রসূলুল্লাহ স.-এর বাণী থেকে প্রমাণিত হয় যে, মুসাফিরের নামায দু’রাকাত। তিনি এ বর্ণনায় চার রাকাত পড়ার কোন সুযোগের কথা বর্ণনা না করে সরাসরি বলেছেন যে, মুসাফিরের নামায দু’রাকাত। এটা রসূলুল্লাহ স.-এর স্থিরকৃত সিদ্ধানত্ম। সফরে কসরই মূল বিধান মর্মে হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে সহীহ সনদে আরো বর্ণিত আছে যে, আল্লাহ তাআলা তোমাদের নবীর যবানে ফরয করেছেন নিজ অঞ্চলে চার রাকাত, সফরে দু’রাকাত। (মুসলিম: ১৪৪৮) এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ২/১২৩)
কোন কোন ইমাম এটাকে ‘ছাড়’ বলে মনত্মব্য করতঃ পূর্ণ চার রাকাত পড়া উত্তম বলেছেন। দলীল হিসেবে সে সকল বর্ণনা পেশ করেছেন যে সকল বর্ণনায় সফরে কসর করাকে صَدَقَةٌ (ছদকা) বা رُخْصَة (ছাড়) শব্দ দ্বারা ব্যক্ত করা হয়েছে। যেমন বর্ণিত হয়েছে মুসলিম শরীফ: ১৪৪৬ নাম্বার হাদীসে। এ সকল হাদীসের জবাবে আমরা বলি যে, আল্লাহ তাআলার ‘ছদকা’ বা ‘ছাড়’ বান্দার জন্য বড় ধরণের নিআমত যা প্রত্যাখ্যানের কোন সুযোগ নেই। উপরন্তু রসূলুল্লাহ স.কে কোন ব্যাপারে সুযোগ দেয়া হলে তিনি সর্বদা সহজটা গ্রহণ করতেন। (বুখারী-৩৩০৮)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
সুনানে ইবনে মাজা - হাদীস নং ১০৬৩ | মুসলিম বাংলা