কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
৫. নামাযের আদ্যোপান্ত বর্ণনা এবং সুন্নাতসমূহ
হাদীস নং: ১০২০
আন্তর্জাতিক নং: ১০২০
নামাযের আদ্যোপান্ত বর্ণনা এবং সুন্নাতসমূহ
অজ্ঞতাবশতঃ কিবলা ছাড়া অন্যদিকে ফিরে সালাত আদায় করা
১০২০। ইয়াহইয়া ইবন হাকীম (রাহঃ)... আমির ইবন রবী'আ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম। তখন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যায় এবং কিবলা নির্ণয় করা আমাদের উপর কঠিন হয়। তখন আমরা সালাত আদায় করি এবং একটি চিহ্ন রাখি। এরপর যখন সূর্য প্রকাশিত হলো, তখন বুঝতে পারলাম যে, আমরা কিবলা ছাড়া অন্য দিকে সালাত আদায় করেছি। অবশেষে আমরা বিষয়টি নবী (ﷺ)-এর কাছে উল্লেখ করলাম। তখন আল্লাহ এই আয়াত নাযিল করেনঃ فَأَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ
“তোমরা সে দিকেই মুখ ফিরাবে, সে দিকেই আল্লাহ্ বিদ্যমান"।
“তোমরা সে দিকেই মুখ ফিরাবে, সে দিকেই আল্লাহ্ বিদ্যমান"।
أبواب إقامة الصلوات والسنة فيها
بَاب مَنْ يُصَلِّي لِغَيْرِ الْقِبْلَةِ وَهُوَ لَا يَعْلَمُ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا أَشْعَثُ بْنُ سَعِيدٍ أَبُو الرَّبِيعِ السَّمَّانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي سَفَرٍ فَتَغَيَّمَتِ السَّمَاءُ وَأَشْكَلَتْ عَلَيْنَا الْقِبْلَةُ فَصَلَّيْنَا وَأَعْلَمْنَا فَلَمَّا طَلَعَتِ الشَّمْسُ إِذَا نَحْنُ قَدْ صَلَّيْنَا لِغَيْرِ الْقِبْلَةِ فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَنْزَلَ اللَّهُ (فَأَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ) .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
উল্লিখিত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, কোন ব্যক্তি নামাযের পূর্বে কিবলার দিক হারিয়ে চিহ্নিত করতে না পারলে তার দায়িত্ব হবে সঠিক দিক নির্ণয়ের সর্বাত্মক চেষ্টা করা। চেষ্টা সত্ত্বেও সঠিক দিক নির্ণয়ে ব্যর্থ হলে নিজের মনে চিন্তা-ফিকির করবে এবং তা দ্বারা যে দিকে কিবলা সাব্যস্ত হয় সে দিকেই নামায পড়বে। যদি সেটা ভুলও হয় তাহলেও ঐ ব্যক্তির নামায হয়ে যাবে। কেননা সে ব্যক্তি দিক নির্ণয়ের সকল পদ্ধতি যথাসাধ্য ব্যবহার করেছে। আর আল্লাহ তাআলা মানুষকে সাধ্যের বাইরে কোন বিধান চাপিয়ে দেননি। (ছূরা বাকারা: ২৮৬)। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৩৩) কিন্তু কোন ধরণের চেষ্টা-গবেষণা ব্যতীত যে কোন দিকে ফিরে নামায পড়ে নিলে সে নামায শুদ্ধ হবে না যদিও সেটা প্রকৃত কিবলা হয়। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৩৫)
বর্ণনাকারী: