কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
৫. নামাযের আদ্যোপান্ত বর্ণনা এবং সুন্নাতসমূহ
হাদীস নং: ৮২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৮২৮
নামাযের আদ্যোপান্ত বর্ণনা এবং সুন্নাতসমূহ
যুহর ও 'আসরের সালাতে কির'আত পাঠ
৮২৮। ইয়াহইয়া ইবন হাকীম (রাহঃ) ......... আবু সা'য়ীদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীদের মধ্য হতে ত্রিশজন বদরী সাহাবী একত্রিত হলেন। তাঁরা বললেনঃ আসুন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর চুপে চুপে পঠিত যুহর 'আসরের সালাতের কিরা'আত সম্পর্কে অনুমান করি। তাদের মধ্য হতে দু'জন সাহাবীও এ বিষয়ে মতানৈকা করেন নি যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যুহরের প্রথম রাক'আতে ত্রিশ আয়াত এবং দ্বিতীয় রাকআতে তার অর্ধেক অর্থাৎ পনের আয়াত পাঠ করতেন। এভাবে তাঁরা অনুমান করলেন যে, যুহরের দ্বিতীয় রাকা'আতে পঠিত কিরাআতের পরিমাণ তিনি 'আসরের সালাতে পাঠ করতেন।
أبواب إقامة الصلوات والسنة فيها
بَاب الْقِرَاءَةِ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، حَدَّثَنَا زَيْدٌ الْعَمِّيُّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ اجْتَمَعَ ثَلاَثُونَ بَدْرِيًّا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالُوا تَعَالَوْا حَتَّى نَقِيسَ قِرَاءَةَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِيمَا لَمْ يَجْهَرْ فِيهِ مِنَ الصَّلاَةِ . فَمَا اخْتَلَفَ مِنْهُمْ رَجُلاَنِ فَقَاسُوا قِرَاءَتَهُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى مِنَ الظُّهْرِ بِقَدْرِ ثَلاَثِينَ آيَةً وَفِي الرَّكْعَةِ الأُخْرَى قَدْرَ النِّصْفِ مِنْ ذَلِكَ وَقَاسُوا ذَلِكَ فِي صَلاَةِ الْعَصْرِ عَلَى قَدْرِ النِّصْفِ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ الأُخْرَيَيْنِ مِنَ الظُّهْرِ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
রসূল স. যোহরের নামাযে আলিফ লাম মীম সিজদা বা ভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী ৩০ আয়াত বিশিষ্ট ছূরা তিলাওয়াত করেছেন। আর এটা তিওয়ালে মুফাছ্ছাল (হুজুরাত থেকে বুরুজ পর্যন্ত)-এর সমপরিমাণ বা তার কাছাকাছি হয়। আর আসরের নামাযে তিনি যোহরের অর্ধেক পরিমাণ তিলাওয়াত করেছেন যা আওসাতে মুফাছ্ছাল (ত্বরিক থেকে বায়্যিনাহ পর্যন্ত)-এর সমপরিমাণ হয়। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, যোহরের নামাযের উত্তম কিরাত হলো তিওয়ালে মুফাছ্ছাল। আর আসরের নামাযের উত্তম কিরাত হলো আওসাতে মুফাছ্ছাল। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৯২) এর বিপরীতে মুসলিম শরীফের ৯১৩ নং হাদীসে বর্ণিত আছে যে, রসূলুলস্নাহ স. যোহরের নামাযে ছূরা আল-লাইল পড়তেন। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, তিনি যোহরের নামাযে আওসাতে মুফাছ্ছাল (ত্বরিক থেকে বায়্যিনাহ পর্যন্ত) পড়তেন। এটাও আমল করা যেতে পারে।
বর্ণনাকারী: