আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৪- শর্তাবলীর বিধান সংক্রান্ত অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২৭১১
১৬৮৭. ইসলাম গ্রহণ, আহকাম ও ক্রয়-বিক্রয়ে যে সব শর্ত জায়েয
২৫৩০। ইয়াহয়া ইবনে বুকাইর (রাহঃ) .... মারওয়ান ও মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবীগণ থেকে বর্ণনা করেন, সেদিন (সুলহে হুদায়বিয়ার সন্ধির দিন) সুহাইল ইবনে আমর যখন সন্ধিপত্র লিখলেন তখন সুহাইল ইবনে আমর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতি এরূপ শর্ত আরোপ করল যে, আমাদের কেউ আপনার কাছে আসলে সে আপনার দ্বীন গ্রহণ করা সত্ত্বেও আপনি তাকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিবেন। আর আমাদের ও তার মাঝে হস্তক্ষেপ করবেন না। মুমিনরা এটা অপছন্দ করলেন এবং এতে ক্রুদ্ধ হলেন। সুহাইল এটা ছাড়া সন্ধি করতে অস্বীকার করল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সে শর্ত মেনেই সন্ধিপত্র লেখালেন। সেদিন তিনি আবু জানদাল (রাযিঃ) কে তার পিতা সুহাইল ইবনে আমরের কাছে ফেরত দিলেন এবং সে চুক্তি মেয়াদের কালে পুরুষদের মধ্যে যেই এসেছিল মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও তিনি তাকে ফেরত দিলেন।
মুমিন মহিলাগণও হিজরত করে আসলেন। সে সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে উম্মে কুলসুম বিনতে উকবা ইবনে আবু মুয়ায়ত (রাযিঃ) ছিলেন। তিনি ছিলেন যুবতী। তাঁর পরিজন তাদের নিকট একা তাকে ফেরত দেওয়ার জন্য নবী (ﷺ) এর কাছে দাবী জানালো। কিন্তু তাকে তিনি তাদের কাছে ফেরত দিলেন না। কেননা, সেই মহিলাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা আয়াত নাযিল করেছিলেনঃ মুমিন মহিলাগণ হিজরত করে তোমাদের কাছে আসলে তাদের তোমরা পরীক্ষা কর। আল্লাহ তাদের ঈমান সম্বন্ধে সম্যক অবগত আছেন। যদি তোমরা জানতে পার যে, তারা মুমিন হবে তাদেরকে কাফিরদের নিকট ফেরত পাঠাবে না (৬০ঃ ১০)।
উরওয়া (রাযিঃ) বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে, নবী (ﷺ) ...يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا جَاءَكُمْالْمُؤْمِنَاتُ مُهَاجِرَاتٍ এই আয়াতের ভিত্তিতেই তাদের পরীক্ষা করে দেখতেন। উরওয়া (রাযিঃ) বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) বলেছেন, তাদের মধ্যে যারা এই শর্তে সম্মত হতো তাকে রাসূল (ﷺ) শুধু এ কথা বলতেন, আমি তোমাকে বায়আত করলাম। আল্লাহর কসম! বায়আত গ্রহণে তার হাত কখনো কোন মহিলার হাত স্পর্শ করেনি। তিনি তাদের শুধু (মুখের) কথার মাধ্যমে বায়আত করেছেন।
মুমিন মহিলাগণও হিজরত করে আসলেন। সে সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে উম্মে কুলসুম বিনতে উকবা ইবনে আবু মুয়ায়ত (রাযিঃ) ছিলেন। তিনি ছিলেন যুবতী। তাঁর পরিজন তাদের নিকট একা তাকে ফেরত দেওয়ার জন্য নবী (ﷺ) এর কাছে দাবী জানালো। কিন্তু তাকে তিনি তাদের কাছে ফেরত দিলেন না। কেননা, সেই মহিলাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা আয়াত নাযিল করেছিলেনঃ মুমিন মহিলাগণ হিজরত করে তোমাদের কাছে আসলে তাদের তোমরা পরীক্ষা কর। আল্লাহ তাদের ঈমান সম্বন্ধে সম্যক অবগত আছেন। যদি তোমরা জানতে পার যে, তারা মুমিন হবে তাদেরকে কাফিরদের নিকট ফেরত পাঠাবে না (৬০ঃ ১০)।
উরওয়া (রাযিঃ) বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে, নবী (ﷺ) ...يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا جَاءَكُمْالْمُؤْمِنَاتُ مُهَاجِرَاتٍ এই আয়াতের ভিত্তিতেই তাদের পরীক্ষা করে দেখতেন। উরওয়া (রাযিঃ) বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) বলেছেন, তাদের মধ্যে যারা এই শর্তে সম্মত হতো তাকে রাসূল (ﷺ) শুধু এ কথা বলতেন, আমি তোমাকে বায়আত করলাম। আল্লাহর কসম! বায়আত গ্রহণে তার হাত কখনো কোন মহিলার হাত স্পর্শ করেনি। তিনি তাদের শুধু (মুখের) কথার মাধ্যমে বায়আত করেছেন।
