আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৩- সন্ধি - আপোষরফা সংক্রান্ত অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২৭০৯
১৬৮৫. পাওনাদারদের মধ্যে এবং মৃত ব্যক্তির ওয়ারিসদের মধ্যে আপোষ মীমাংসা করে দেওয়া। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, দুই অংশীদার যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে, একজন বাকী আর একজন নগদ নিবে, তাতে কোন দোষ নেই। আর কারো মাল বিনষ্ট হয়ে গেলে সে তার সাথীর নিকট দাবী করতে পারবে না।
২৫২৮। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পিতার মৃত্যু হল, আর তার কিছু ঋণ ছিল। আমি তার ঋণের বিনিময়ে পাওনাদারদের খেজুর নেয়ার প্রস্তাব দিলাম। তাতে ঋণ পরিশোধ হবে না বলে তারা তা নিতে অস্বীকার করল। আমি তখন নবী (ﷺ) এর কাছে এসে এ বিষয়ে তাঁর নিকট উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, খেজুর পেড়ে মাচায় রেখে রাসূলুল্লাহকে খবর দিও।
(যথা সময়ে) তিনি এলেন এবং তাঁর সঙ্গে আবু বকর ও উমর (রাযিঃ)-ও ছিলেন। তিনি খেজুর স্তুুপের পার্শ্বে বসলেন এবং বরকতের দুআ করলেন। পরে বললেন, তোমার পাওনাদারদের ডাক এবং তাদের প্রাপ্য পরিশোধ করে দাও। তারপর আমার পিতার পাওনাদারদের কেউ এমন ছিল না যার ঋণ পরিশোধ করিনি। এরপরও (আমার কাছে) তের ওয়াসক* খেজুর উদ্ধৃত্ত রয়ে গেল। সাত ওয়াসক (عَجْوَةٌ) মিশ্র খেজুর আর ছয় ওয়াসক (لَوْنٌ) নিম্নমানের খেজুর কিংবা ছয় ওয়াসক মিশ্র ও সাত ওয়াসক নিম্নমানের খেজুর।
তারপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে মাগরিবের নামায আদায় করলাম এবং নবীজীকে তা বললাম। তিনি হাসলেন এবং বললেন, আবু বকর ও উমরের কাছে গিয়ে তা বল।’ তাঁরা বললেন, আমরা আগেই জানতাম যে, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা করার তা করেছেন, তখন অবশ্য এরূপই হবে।’
হিশাম (রাহঃ) ওয়াহাব (রাহঃ)-এর মাধ্যমে জাবির (রাযিঃ) থেকে (বর্ণনায়) আসরের নামাযের কথা উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি আবু বকর (রাযিঃ) এবং রাসূল (ﷺ) এর হাসার কথা উল্লেখ করেন নি। তিনি বর্ণনা করেছেন, (জাবির (রাযিঃ) বলেছেন) আমার পিতা তার যিম্মায় ত্রিশ ওয়াসক ঋণ রেখে মারা গিয়েছেন। ইবনে ইসহাক (রাহঃ) ওয়াহাব (রাহঃ)-এর মাধ্যমে জাবির (রাযিঃ) থেকে যোহরের নামাযের কথা উল্লেখ করেছেন।
(যথা সময়ে) তিনি এলেন এবং তাঁর সঙ্গে আবু বকর ও উমর (রাযিঃ)-ও ছিলেন। তিনি খেজুর স্তুুপের পার্শ্বে বসলেন এবং বরকতের দুআ করলেন। পরে বললেন, তোমার পাওনাদারদের ডাক এবং তাদের প্রাপ্য পরিশোধ করে দাও। তারপর আমার পিতার পাওনাদারদের কেউ এমন ছিল না যার ঋণ পরিশোধ করিনি। এরপরও (আমার কাছে) তের ওয়াসক* খেজুর উদ্ধৃত্ত রয়ে গেল। সাত ওয়াসক (عَجْوَةٌ) মিশ্র খেজুর আর ছয় ওয়াসক (لَوْنٌ) নিম্নমানের খেজুর কিংবা ছয় ওয়াসক মিশ্র ও সাত ওয়াসক নিম্নমানের খেজুর।
তারপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে মাগরিবের নামায আদায় করলাম এবং নবীজীকে তা বললাম। তিনি হাসলেন এবং বললেন, আবু বকর ও উমরের কাছে গিয়ে তা বল।’ তাঁরা বললেন, আমরা আগেই জানতাম যে, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা করার তা করেছেন, তখন অবশ্য এরূপই হবে।’
হিশাম (রাহঃ) ওয়াহাব (রাহঃ)-এর মাধ্যমে জাবির (রাযিঃ) থেকে (বর্ণনায়) আসরের নামাযের কথা উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি আবু বকর (রাযিঃ) এবং রাসূল (ﷺ) এর হাসার কথা উল্লেখ করেন নি। তিনি বর্ণনা করেছেন, (জাবির (রাযিঃ) বলেছেন) আমার পিতা তার যিম্মায় ত্রিশ ওয়াসক ঋণ রেখে মারা গিয়েছেন। ইবনে ইসহাক (রাহঃ) ওয়াহাব (রাহঃ)-এর মাধ্যমে জাবির (রাযিঃ) থেকে যোহরের নামাযের কথা উল্লেখ করেছেন।
