আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪৩- সন্ধি - আপোষরফা সংক্রান্ত অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২৭০৪
১৬৮১. হাসান ইবনে আলী (রাযিঃ) সম্পর্কে নবী (ﷺ) এর উক্তিঃ আমার এ সন্তনটি নেতৃস্থানীয় । সম্ভবত আল্লাহ এর মাধ্যমে দু’টি বড় দলের মাঝে সন্ধি স্থাপন করাবেন। আর আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তোমরা তাদের উভয় দলের মাঝে মীমাংসা করে দাও। (৪৯ঃ ৯)
২৫২৩। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... হাসান (বসরী) (রাহঃ) বলেন, আল্লাহর কসম, হাসান ইবনে আলী (রাযিঃ) পর্বত সদৃশ সেনাদল নিয়ে মুআবিয়া (রাযিঃ) এর মুখোমুখি হলেন। আমর ইবনে আ'স (রাযিঃ) বললেন, আমি এমন সেনাদল দেখতে পাচ্ছি যারা প্রতিপক্ষকে হত্যা না করে ফিরে যাবে না। মুআবিয়া (রাযিঃ) তখন বললেন, আল্লাহর কসম! আর (মুআবিয়া ও আমর ইবনে আস) উভয়ের মধ্যে মুআবিয়া (রাযিঃ) ছিলেন উত্তম ব্যক্তি। ‘হে আমর! এরা ওদের এবং ওরা এদের হত্যা করলে আমি কাকে দিয়ে লোকের সমস্যার সমাধান করব? তাদের নারীদের কে তত্ত্বাবধান করবে? তাদের দূর্বল ও শিশুদের কে রক্ষণাবেক্ষণ করবে? তারপর তিনি কুরাইশের বনু আব্দে শামস শাখার দু’জন আব্দুর রহমান ইবনে সামুরাহ ও আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) কে হাসান (রাযিঃ) এর কাছে পাঠালেন। তিনি তাদের বললেন, ‘তোমরা উভয়ে এই লোকটির কাছে যাও এবং তার কাছে (সন্ধির) প্রস্তাব পেশ করো, তাঁর সঙ্গে আলোচনা কর ও তার বক্তব্য জানতে চেষ্টা কর।’
তারা হাসান (রাযিঃ) এর কাছে গেলেন এবং তার সঙ্গে কখা বললেন, আলাপ-আলোচনা করলেন এবং তার বক্তব্য জানলেন। হাসান ইবনে আলী (রাযিঃ) তাদের বললেন, আমরা আব্দুল মুত্তালিবের সন্তান, এই সম্পদ (বায়তুল মালের) আমরা পেয়েছি। আর এরা রক্তপাতে লিপ্ত হয়েছে।’ তারা উভয়ে বললেন, (মুআবিয়া (রাযিঃ) আপনার কাছে এরূপ বক্তব্য পেশ করেছেন। আর আপনার বক্তব্যও জানতে চেয়েছেন ও সন্ধি কামনা করেছেন। তিনি বললেন, ‘এ দায়িত্ব কে নেবে? তারা বললেন, আমরা আপনার জন্য এ দায়িত্ব গ্রহণ করছি।’ এরপর তিনি তাদের কাছে যে সব প্রশ্ন করলেন, তারা (তার জওয়াবে) বললেন, আমরা এ দায়িত্ব নিচ্ছি।’ তারপর তিনি তার সাথে সন্ধি করলেন।
হাসান (বসরী) (রাহঃ) বলেন, আমি আবু বাকরা (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছিঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে আমি মিম্বরের উপর দেখেছি, হাসান (রাযিঃ) তাঁর পাশে ছিলেন। তিনি একবার লোকদের দিকে আর একবার তাঁর দিকে তাকাচ্ছিলেন আর বলছিলেন, আমার এ সন্তান নেতৃস্থানীয়। সম্ভবত তাঁর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মুসলমানের দু’টি বড় দলের মধ্যে মীমাংসা করাবেন।’ আবু আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আলী ইবনে আব্দুল্লাহ আমাকে বলেছেন যে, এ হাদীসের মাধ্যমেই আবু বাকরা (রাযিঃ) থেকে হাসানের শ্রুতি আমাদের কাছে প্রমাণিত হয়েছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
rabi
বর্ণনাকারী: