আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪২- সাক্ষ্যপ্রদানের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৮৭
১৬৭২. জটিল বিষয়ে কুর’আর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
২৫০৮। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... উম্মুল আলা (রাযিঃ) একজন আনসারী মহিলা যিনি নবী (ﷺ) এর (হাতে) বায়আত হয়েছিলেন, তিনি বলেন, মুহাজিরদের বাসস্থান দানের জন্য আনসারগণ যখন কুর’আ নিক্ষেপ করলেন, তখন তাদের ভাগে উসমান ইবনে মাযউনের জন্য বাসস্থান দান নির্ধারিত হল। উম্মুল আলা (রাযিঃ) বলেন, সেই থেকে উসমান ইবনে মাযউন (রাযিঃ) আমাদের এখানে বসবাস করতে থাকেন। এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা তার সেবা শুশ্রুষা করলাম। পরে তিনি যখন মারা গেলেন এবং আমরা তাকে কাফন পরালাম, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের এখানে আসলেন। আমি (উসমান ইবনে মাযউনকে লক্ষ্য করে) বললাম, হে আবু সায়িব! তোমার প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক। তোমার সম্পর্কে আমার সাক্ষ্য এই যে, আল্লাহ তোমাকে অবশ্য মর্যাদা দান করেছেন।
নবী (ﷺ) তাকে বললেন, তোমাকে কে জানাল যে, আল্লাহ তাকে মর্যাদা দান করেছেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক। আমি জানি না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আল্লাহর কসম। উসমানের কাছে তো মৃত্যু এসে গেছে, আমি তো তার জন্য কল্যাণের আশা করি। আল্লাহর কসম! আমি আল্লাহর রাসূল হওয়া সত্ত্বেও জানি না তার সাথে কি আচরণ করা হবে। তিনি (উম্মুল আলা) বলেন, আল্লাহর কসম, একথার পরে কখনো আমি কাউকে পূত পবিত্র বর্ণনা করি না। সে কথা আমাকে চিন্তায় ফেলে দিল। তিনি বলেন, পরে আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, উসমান ইবনে মাযউন (রাযিঃ) এর জন্য একটা প্রস্রবণ প্রবহিত হচ্ছে। এরপর আমি রাসূল (ﷺ) এর কাছে এসে তাকে সে খবর জানালাম। তিনি বলেন, সেটা হচ্ছে তার নেক আমল।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
rabi
বর্ণনাকারী: