আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪২- সাক্ষ্যপ্রদানের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৮৫
১৬৭১. সাক্ষী ইত্যাদির ক্ষেত্রে মুশরিকদের কিছু জিজ্ঞাসা করা হবে না। ইমাম শা’বী (রাহঃ) বলেন, এক ধর্মাবলম্বীর সাক্ষ্য অন্য ধর্মাবলম্বীর বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “...তাই আমি তাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ জাগরুক করেছি...” (সূরা আল-মায়িদাহ : ৫:১৪)। আবু হুরাইরা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তোমরা আহলে কিতাবদের সত্যবাদীও মনে কর না আবার মিথ্যাবাদীও মনে কর না। আল্লাহ তাআলার বাণী : “বরং তোমরা বলবে, আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখি এবং যা আমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে...” (সূরা আল-বাক্বারা : ২:১৩৬)।
২৫০৬। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হে মুসলিম সমাজ! কি করে তোমরা আহলে কিতাবদের নিকট জিজ্ঞাসা কর? অথচ আল্লাহ্ তার নবীর উপর যে কিতাব অবর্তীণ করেছেন, তা আল্লাহ সম্পর্কিত নবতর তথ্য সম্বলিত, যা তোমরা তিলাওয়াত করছ এবং যার মধ্যে মিথ্যার কোন সংমিশ্রন নেই। তদুপরি আল্লাহ তোমাদের জানিয়ে দিয়েছেন যে, আহলে কিতাবরা আল্লাহ যা লিখে দিয়েছিলেন, তা পরিবর্তন করে ফেলেছে এবং নিজ হাতে সেই কিতাবের বিকৃতি সাধন করে তা দিয়ে তুচ্ছ মূল্যের উদ্দেশ্যে প্রচার করেছে যে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকেই অবতীর্ণ। তোমাদেরকে প্রদত্ত মহাজ্ঞান কি তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করার ব্যাপারে তোমাদের বাধা দিয়ে রাখতে পারে না? আল্লাহর শপথ! তাদের একজনকেও আমি কখনো তোমাদের উপর যা নাযিল হয়েছে সে বিষয়ে তোমাদের জিজ্ঞাসা করতে দেখিনি।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন