আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪২- সাক্ষ্যপ্রদানের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৪৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৭৮
১৬৬৮. কিভাবে হলফ নেওয়া হবে? মহান আল্লাহর বাণীঃ তারপর তারা আপনার নিকট এসে আল্লাহর নামে শপথ করে বলবে আমরা কল্যাণ এবং সম্প্রীতি ব্যতীত অন্য কিছুই চাই না (৪ঃ ৬২)।
তারা আল্লাহর নামে শপথ করে যে, তারা তোমাদেরই অন্তর্ভুক্ত (৯ঃ ৫৬)।
তারা তোমাদেরকে সন্তুষ্ট করার জন্য তোমাদের নিকট আল্লাহর শপথ করে ( ৯ঃ ৬২)। তারা উভয়ে আল্লাহর নামে শপথ করে বলবে, আমাদের সাক্ষ্য অবশ্যই তাদের সাক্ষ্য হতে অধিকতর সত্য (৫ঃ ১০৭)। কসম করার জন্য ব্যবহৃত হয় والله , بالله , تالله , নবী (সা.) বলেন, আর যে ব্যক্তি আসরের পর আল্লাহর নামে মিথ্যা শপথ করে। আল্লাহ্ ব্যতীত আর কারো নামে শপথ করা যাবে না।
তারা আল্লাহর নামে শপথ করে যে, তারা তোমাদেরই অন্তর্ভুক্ত (৯ঃ ৫৬)।
তারা তোমাদেরকে সন্তুষ্ট করার জন্য তোমাদের নিকট আল্লাহর শপথ করে ( ৯ঃ ৬২)। তারা উভয়ে আল্লাহর নামে শপথ করে বলবে, আমাদের সাক্ষ্য অবশ্যই তাদের সাক্ষ্য হতে অধিকতর সত্য (৫ঃ ১০৭)। কসম করার জন্য ব্যবহৃত হয় والله , بالله , تالله , নবী (সা.) বলেন, আর যে ব্যক্তি আসরের পর আল্লাহর নামে মিথ্যা শপথ করে। আল্লাহ্ ব্যতীত আর কারো নামে শপথ করা যাবে না।
২৪৯৯। ইসমাঈল ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক লোক রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে তাকে ইসলাম (এর করণীয়) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে লাগল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, দিনে রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায। সে বলল, আমার উপর আরও কিছু ওয়াজিব আছে? তিনি বললেন, না, নেই। তবে নফল হিসাবে পড়তে পার। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আর রমাযান মাসের রোযা। সে জিজ্ঞাসা করল, আমার উপর এ ছাড়া আরও কি ওয়াজিব আছে? তিনি বললেন, না, নেই। তবে নফল হিসাবে (রোযা) পালন করতে পার। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে যাকাতের কথাও বললেন; সে জানতে চাইল, আমার উপর এ ছাড়া আরও কিছু ওয়াজিব আছে? তিনি বললেন, না, নেই; তবে নফল হিসাবে (সাদ্কা) করতে পার। তারপর লোকটি এই বলে প্রস্থান করল, আল্লাহর কসম! এতে আমি কোন কম বেশী করব না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন সত্য বলে থাকলে সে সফল হয়ে গেল।
بَابُ كَيْفَ يُسْتَحْلَفُ قَالَ تَعَالَى: {يَحْلِفُونَ بِاللَّهِ لَكُمْ} [التوبة: 62]، وَقَوْلُهُ عَزَّ وَجَلَّ: {ثُمَّ جَاءُوكَ يَحْلِفُونَ بِاللَّهِ إِنْ أَرَدْنَا إِلَّا إِحْسَانًا وَتَوْفِيقًا}، {وَيَحْلِفُونَ بِاللَّهِ إِنَّهُمْ لَمِنْكُمْ} [التوبة: 56] وَ {يَحْلِفُونَ بِاللَّهِ لَكُمْ لِيُرْضُوكُمْ} [التوبة: 62]، {فَيُقْسِمَانِ بِاللَّهِ لَشَهَادَتُنَا أَحَقُّ مِنْ شَهَادَتِهِمَا} [المائدة: 107] «يُقَالُ بِاللَّهِ وَتَاللَّهِ وَوَاللَّهِ» وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَرَجُلٌ حَلَفَ بِاللَّهِ كَاذِبًا بَعْدَ العَصْرِ» وَلاَ يُحْلَفُ بِغَيْرِ اللَّهِ "
2678 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي سُهَيْلِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ طَلْحَةَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ، يَقُولُ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِذَا هُوَ يَسْأَلُهُ عَنِ الإِسْلاَمِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَمْسُ صَلَوَاتٍ فِي اليَوْمِ وَاللَّيْلَةِ» ، فَقَالَ: هَلْ عَلَيَّ غَيْرُهَا؟ قَالَ: «لاَ، إِلَّا أَنْ تَطَّوَّعَ» فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:180]: «وَصِيَامُ شَهْرِ رَمَضَانَ» ، قَالَ: هَلْ عَلَيَّ غَيْرُهُ؟ قَالَ: «لاَ، إِلَّا أَنْ تَطَّوَّعَ» ، قَالَ: وَذَكَرَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الزَّكَاةَ، قَالَ: هَلْ عَلَيَّ غَيْرُهَا؟ قَالَ: «لاَ، إِلَّا أَنْ تَطَّوَّعَ» ، فَأَدْبَرَ الرَّجُلُ وَهُوَ يَقُولُ: وَاللَّهِ لاَ أَزِيدُ عَلَى هَذَا، وَلاَ أَنْقُصُ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَفْلَحَ إِنْ صَدَقَ»
